তাঁত শিল্পে অভূতপূর্ব সাফল্যে বাংলা পেল স্কচ অ্যাওয়ার্ড, মিলেছে গভর্নমেন্ট ডিজিটেক পুরস্কারও

ফের রাজ্য সরকারের উন্নয়নের মুকুটে স্বীকৃতির পালক। তন্তুজের (Tantuja) মাধ্যমে তাঁত ও বস্ত্র শিল্পের প্রসারে রাজ্যের কাজের জন্য “স্টার অফ গভর্নেন্স- স্কচ অ্যাওয়ার্ড ইন হ্যান্ডলুম অ্যান্ড টেক্সটাইলস” বিভাগে মিলল স্কচ পুরস্কার (Scotch Award)। রাজ্যের তাঁত শিল্পীদের পাশে দাঁড়ানোর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) উদ্যোগের স্বীকৃতি স্বরূপ মিলল এই পুরস্কার। এছাড়া মুখ্যমন্ত্রীর মস্তিষ্ক প্রসূত ভবিষ্যত ক্রেডিট কার্ড প্রকল্পের জন্যও পুরস্কার (Award) এসেছে রাজ্য সরকারের ঘরে। সর্বভারতীয় আর্থিক বিষয়ক সংবাদপত্র ইকোনমিক টাইমস গোষ্ঠীর কাছ থেকে ওই প্রকল্পের জন্য ২০২৩ সালের গভর্নমেন্ট ডিজিটেক পুরস্কার পেয়েছে রাজ্য।

রাজ্য সরকারের হাত ধরে লাভের মুখ দেখছেন বাংলার তাঁত শিল্পীরা। বাম জমানার রুগ্ন তাঁত শিল্পী সমবায় ‘তন্তুজ’ আজ সাবলম্বী। বাম আমলের শেষ আর্থিক বছর ২০১০-১১ তে তন্তুজের ব্যবসার পরিমাণ ছিল ৫৩ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে বাৎসরিক ক্ষতি ছিল ১৪৮ কোটি টাকা। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে ২০২১ ২২ আর্থিক বছরের সংস্থার ব্যবসার পরিমাণ বেড়ে হয়েছে ৩৪৮.৫ কোটি টাকা, যার মধ্যে নেট মুনাফা ১৯.৫ কোটি টাকা। এক সময় ঋণে ডুবে থাকা ওই সংস্থা এখন লাভজনক। সরকারের থেকে অর্থ সাহায্যও নিতে হচ্ছে না। এমনকী, চলতি বছরের শেষে নিট মুনাফা থেকে তন্তুজ রাজ্য সরকারকে ডিভিডেন্ট দিতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন রাজ্যের প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তথা তন্তুজের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ আধিকারিক স্বপন দেবনাথ।

শুধু ব্যবসায়িক থেকে লাভজনক হয়ে ওঠাই নয়, তাঁত শিল্পীদের উৎপন্ন উৎপন্ন বিপণনের মাধ্যমে তাদের স্বনির্ভর করে তোলার স্বীকৃতিতে একাধিক পুরস্কার পেয়েছে তন্তুজ। এর মধ্যে ভারত সরকারের দেওয়া দুটি জাতীয় পুরস্কারের পাশাপাশি দুটি স্কচ পুরস্কার রয়েছে। যার একটি মিলেছে অতি সম্প্রতি স্কুল পড়ুয়াদের ইউনিফর্ম সরবরাহের প্রকল্পের জন্য। এবার আরও একটি মিলল ইজ অফ ডুইং বিজনেস বিভাগে।

আরও পড়ুন- বুথের ভিডিও ফুটেজ নষ্ট হল কীভাবে? বেলডাঙার বিডিওকে  ভর্ৎসনা বিচারপতির

 

 

 

 

 

Previous articleহাত গুটিয়ে বসেছিল মণিপুর সরকার: ডবল ইঞ্জিনকে কটাক্ষ তৃণমূলের
Next articleদেশের বৈদেশিক মুদ্রা ভাণ্ডারে ধাক্কা, কমলো ডলার সঞ্চয়