হিজা.ব নিয়ে ত্রিপুরায় ধুন্ধু.মার! ছাত্রীদের স্কুলে ঢুকতে বাধা, VHP-র ক্ষো.ভের মুখে ‘প্রতিবাদী’ ছাত্র

ত্রিপুরার সেপাহীজালা জেলার বিলাসগড় সাব ডিভিশন এলাকার ঘটনা। এই এলাকার ঐতিহ্যবাহী পুরনো স্কুল কড়ইমুড়া দ্বাদশ শ্রেণি বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের সিংহভাগই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। এই বিদ্যালয়ের অধিকাংশ ছাত্রী হিজাব পরেই স্কুলে যায়।

হিজাব (Hijab) বিতর্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। কর্ণাটকের (Karnataka) হিজাব বিতর্কের ছায়া এবার ডবল ইঞ্জিন পরিচালিত ত্রিপুরাতেও (Tripura)। সূত্রের খবর, ইসলাম ধর্মাবলম্বী কয়েকজন ছাত্রী হিজাব পরে স্কুলে যেতে চাইলেই সমস্যার সূত্রপাত। খবর কানে আসা মাত্রই বিক্ষোভ দেখিয়ে স্কুলে ঢোকার আগেই ছাত্রীদের আটকে বিক্ষোভ দেখানোর অভিযোগ ওঠে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (VHP) বিরুদ্ধে। আর এই ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে বেধড়ক মারধর করা হয় দশম শ্রেণির এক ছাত্রকে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চরম সমালোচনার মুখে পড়েছে ত্রিপুরার বিজেপি সরকার (BJP Govt)। পাশাপাশি স্কুলের মতো জায়গায় কীভাবে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের দাপাদাপি বাড়ল তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।

ত্রিপুরার সেপাহীজালা জেলার বিলাসগড় সাব ডিভিশন এলাকার ঘটনা। এই এলাকার ঐতিহ্যবাহী পুরনো স্কুল কড়ইমুড়া দ্বাদশ শ্রেণি বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের সিংহভাগই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। এই বিদ্যালয়ের অধিকাংশ ছাত্রী হিজাব পরেই স্কুলে যায়। কিন্তু দিন কয়েক আগে এই স্কুলে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ রীতিমতো লিখিতভাবে ছাত্রীদের হিজাব পরায় নিষেধাজ্ঞা জারির দাবি জানায়। স্কুল সূত্রে খবর, সপ্তাহখানেক আগে স্কুলেরই একদল প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীর একটি দল, যারা নিজেদের একটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত বলে দাবি করেছিল, তারা মুসলিম ছাত্রীদের স্কুলের ভিতর হিজাব পরে আসা নিয়ে প্রতিবাদ করে। তাদের দাবি, হিজাব পরা বিজেপি সরকারের নির্ধারিত ইউনিফর্মের সঙ্গে একেবারেই সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এরপরই স্কুলে হিজাব পরে আসা নিষিদ্ধ ঘোষণা করার জন্য প্রধান শিক্ষকের কাছে আবেদনও জানায় তারা।

কিন্তু শুক্রবার তা সত্ত্বেও বেশ কয়েকজন ছাত্রী হিজাব পরেই স্কুলে ঢুকতে যায়। তাতেই আপত্তি জানিয়ে তাদের স্কুলে ঢুকতে বাধা দেয় ওই সংগঠনের সদস্যরা। এরপরই দশম শ্রেণির এক পড়ুয়া সেই ঘটনা দেখেই প্রতিবাদ করে। তাতেই তাকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তবে সবকিছু দেখেও নাকি চুপ ছিলেন প্রধান শিক্ষক থেকে শুরু করে অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষারাও। কেউ ওই ছাত্রকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেননি। এরপর ঘটনার কথা জানাজানি হতেই প্রতিবাদে স্থানীয়রা পথ অবরোধ করেন। যদিও আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, অভিযুক্তরা সকলেই বহিরাগত, স্কুলের সঙ্গে তাদের কোনও যোগাযোগ নেই। এটি সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা নয় বলেও দাবি জানিয়েছে তারা। ঘটনায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

 

 

Previous articleএক হাতেই ২২ গজের ল.ড়াই, অভিষেক – সাইয়ামির ট্রেলারে মুগ্ধ মহারাজ!
Next articleরাস্তা থেকে উদ্ধার কমল হাসানের সহঅভিনেতার দে.হ, মৃ.ত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা