জন্মে শিশু সাথী থেকে মৃত্যুতে সমব্যথী। বাংলার মানুষের জীবন চক্রে প্রায় ৭০টি জনমুখী প্রকল্প জীবনযাত্রার মান বদলে দিয়েছে। যা বাংলার গণ্ডি পেরিয়ে শুধু দেশ নয়, দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিদেশেও সমাদৃত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের এই প্রকল্পগুলির মধ্যে স্বাস্থ্যসাথী অত্যন্ত জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এই সেই স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প
সাফল্যের সরণিতে নয়া মাইলফলক স্পর্শ করল।
আরও পড়ুনঃ Hooghly: স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে বিনামূল্যে পরিষেবা দিয়ে নজির মা সারদা হাসপাতালের
২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত এই পরিসংখ্যান বলছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত এই প্রকল্পের মাধ্যমে গত ৬ বছরে সম্পূর্ণ নিখরচায় চিকিৎসা পেয়েছেন প্রায় ৬০ লক্ষ মানুষ। আর এর জন্য রাজ্য সরকারের খরচ হয়েছে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা। প্রকল্প ঘোষণার সময় থেকেই আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে সাড়া ফেলে দেওয়া এই উদ্যোগ। ৬ বছর পর সরকারি পরিসংখ্যান থেকেই স্পষ্ট, মুখ্যমন্ত্রীর বাস্তব দূরদর্শিতা।
ক্যান্সারের চিকিৎসা হোক কিংবা ডায়ালিসিস, স্টেন্ট বা পেসমেকার বসানো— এসবের প্রয়োজন হলে কয়েক বছর আগেও সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের মাথায় কার্যত বাজ পড়ত। স্বাস্থ্যসাথী আসার পর আমূল বদলে গিয়েছে সেই চিত্র। কার্ড করিয়ে চিকিৎসা পেতে শুরু করেছে লক্ষ লক্ষ মানুষ। দুয়ারে সরকার শিবির চালুর পর এই প্রকল্পের উপভোক্তা সংখ্যা লাফিয়ে বাড়তে শুরু করে। ১ কোটি থেকে বেড়ে তা এখন ৯ কোটি হয়েছে। উপকৃত পরিবার প্রায় ২ কোটি ৪৩ লক্ষ।
