শহরের ‘কিড.নি’কে জবরদখল মুক্ত করতে বদ্ধ পরিকর রাজ্য, শুরু সমীক্ষা

পূর্ব কলকাতার জলাভূমিকে জবরদখল মুক্ত করতে বদ্ধ পরিকর রাজ্য সরকার (State Governor)। সমীক্ষার কাজ শুরু করেছে ভূমি দফতর। জাতীয় পরিবেশ আদালত এবং কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে সামনে রেখে ভূমি দফতরের অধীন অফ ল্যান্ড রেকর্ড অ্যান্ড সার্ভে পূর্ব কলকাতা জলাভূমি এলাকার অন্তর্ভুক্ত ৩৭ টি মৌজায় বসবাসকারীদের জমি রেকর্ড সংগ্রহ করেছে। বিভিন্ন সরকারি দফতরের হাতে থাকা জমির তালিকাও প্রস্তুত করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে জলাভূমির প্রকৃত দখলদারদের খুব সহজেই চিহ্নিত করা যাবে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।

জলাভূমি এলাকায় পূর্ত ,সেচ, মৎস্য দফতরের মত একাধিক দফতরের জমি রয়েছে। ৩৭ মৌজায় ১১০টি গ্রামে প্রায় দেড় লক্ষ মানুষের বসবাস রয়েছে। জমির মালিক ছাড়াও বর্গাদার, বৈধ পাট্টাধারী বসবাসকারীদেরও তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এছাড়া, ১২ হাজার হেক্টর জুড়ে ছড়িয়ে থাকা ওই জলাভূমি এলাকায় বিভিন্ন সরকারি দফতরের হাতে থাকা জমিরও তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। কলকাতা (Kolkata) ও বিধান নগর পুরনিগম এবং কয়েকটি পঞ্চায়েতের খাস জমি রয়েছে ওই জলাভূমিতে। ভূমি দফতর সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে ৩৭টি মৌজার মধ্যে ৩৬টি মৌজার জমি সংক্রান্ত সমীক্ষার কাজ শেষ হয়েছে। অত্যন্ত দ্রুত শেষ করে আদালতের কাছে রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে।

শহরের কিডনি (Kedney) বলে পরিচিত পূর্ব কলকাতা জলাভূমি রক্ষায় পাঁচ বছর মেয়াদী পরিকল্পনা মাস্টার প্ল্যান তৈরি করা হয়েছে। সেটি তৈরি হচ্ছে পুর, পঞ্চায়েত এবং রাজ্য পুলিশের সহযোগিতায়। পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে, কেউ এই জলাভূমি নষ্ট করলে কীভাবে তা আটকানো হবে। মৎস্যচাষ এবং কৃষিকাজের জন্য একে আরও উর্বর করা সম্ভব কি না, দেখা হবে সেটাও। এই জলাভূমির গুরুত্ব বোঝাতে স্কুলস্তর থেকেই শুরু হবে প্রচারমূলক কর্মসূচি। চলবে গবেষণা। মাটির দূষণ ঠেকাতে জৈব পদ্ধতিতে চাষের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে স্থানীয় কৃষকদের। এলাকায় বাসিন্দাদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নেও পদক্ষেপ করা হবে।

আরও পড়ুন- ১৭ মাস পর স্বস্তি! নবাব মালিককে দু’মাসের অন্তর্বর্তী জামিনের ‘সুপ্রিম’ নির্দেশ

Previous article১৭ মাস পর স্বস্তি! নবাব মালিককে দু’মাসের অন্তর্বর্তী জামিনের ‘সুপ্রিম’ নির্দেশ
Next articleধূপগুড়িতেও সাগরদিঘি মডেল! উপনির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণা সিপিএমের, সমর্থন কংগ্রেসের