আজ এএফসি কাপের ম‍্যাচে নামছে মোহনবাগান, শুরুতেই গোল পেতে চায় বাগান ব্রিগেড

তুলনামূলক ভাবে দুর্বল মাছিন্দ্রার বিরুদ্ধে শুরুতেই গোল তুলে নেওয়া লক্ষ্য জুয়ানের। আরেক বিদেশ হুগো বৌমোসকেও শুরু থেকে খেলানোর পরিকল্পনা রয়েছে বাগান কোচের।

ডার্বি অতীত। হতাশার ডার্বি ভুলে আজ ফের মাঠে নামছে মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। এএফসি কাপের ম্যাচে আজ বাগানের প্রতিপক্ষ নেপালের মাছিন্দ্রা এফসি। ম্যাচের আগে বাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দ যতই মুখে মাছিন্দ্রাকে সমীহ করার কথা বলুন, ইস্টবেঙ্গলের কাছে হারের জ্বালা ভুলতে বুধবার মাছিন্দ্রার বিরুদ্ধে বড় ব্যবধানে জিততে চান। এমনকি তেতে রয়েছেন ফুটবলাররাও।

দুই বিদেশি তারকা জেসন ক‍্যামিন্স ও আর্মান্দো সাদিকু ডার্বিতে হতাশ করেছিলেন। মাছিন্দ্রা ম্যাচে শুরু থেকেই দুজনকে মাঠে নামিয়ে দিতে পারেন মোহনবাগান কোচ। সঙ্গে জুড়ে দিতে পারেন গতবারের সর্বোচ্চ গোলদাতা দিমিত্রি পেত্রাতোসকেও। তুলনামূলক ভাবে দুর্বল মাছিন্দ্রার বিরুদ্ধে শুরুতেই গোল তুলে নেওয়া লক্ষ্য জুয়ানের। আরেক বিদেশ হুগো বৌমোসকেও শুরু থেকে খেলানোর পরিকল্পনা রয়েছে বাগান কোচের। সঙ্গে অনিরুদ্ধ থাপা ও সাহালের মতো জাতীয় দলের দুই তারকা মিডফিল্ডার তো রয়েইছেন। সব মিলিয়ে নেপালের ক্লাবের বিরুদ্ধে পূর্ণশক্তির দল মাঠে নামছেন জুয়ান।

এদিকে, কাগজে-কলমে পিছিয়ে থাকা মাছিন্দ্রা কিন্তু লড়াই করার আগাম প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। নেপালি ক্লাবের কোচ কিশোর কুমার বলছেন, “মোহনবাগান দারুণ শক্তিশালী দল। ওদের বিদেশিরা সবাই অভিজ্ঞ এবং ইউরোপীয় ফুটবলে খেলেছে। ভারতের জাতীয় দলেরও বেশ কয়েকজন ফুটবলার রয়েছে। তবে আমার দল মাঠে নেমে লড়াই করবে। এক ইঞ্চি জমিও ছাড়বে না।” চার বিদেশি নিয়ে এএফসি কাপের এই ম্যাচ খেলতে এসেছে মাছিন্দ্রা। নাইজেরিয়ার স্ট্রাইকার অফেজ ওলাওয়ালে ও ডিফেন্ডার করিম ওমলোজা। ক্যামেরুনের মিডফিল্ডার আন্দেজ নিয়া ও জাপানের ইউতা সুজুকি। এঁদের মধ্যে ওমলোজা আবার ভারতীয় ফুটবলের পরিচিত মুখ। মহামেডান স্পোর্টিং ও টালিগঞ্জ অগ্রগামীর হয়ে চুটিয়ে আই লিগ ও কলকাতা লিগে খেলেছেন। মোহনবাগানের জার্সি গায়ে একটা মরশুম খেলে যাওয়া নেপাল জাতীয় দলের বিমল মাগারও রয়েছেন মাছিন্দ্রাতে।

আরও পড়ুন:আজ ডুরান্ডে ইস্টবেঙ্গলের সামনে পাঞ্জাব এফসি, ম‍্যাচ জয় লক্ষ‍্য কুয়াদ্রাতের

 

 

 

Previous articleমৃ.ত ছাত্রের প্রতিবেশিদের মৌন মিছিল যাদবপুরের ক্যাম্পাসে
Next articleজি ২০-সম্মেলনে এবার সত্যজিতের ‘পথের পাঁচালী’!