যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের OAT যেন ম.দের ঠেক, আজই বসছে সিসিটিভি!

এই প্রসঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ বলেন, ‘‘আমি এখনও কোনও রিপোর্ট দেখিনি। তবে এসেছে শুনেছি। দেখে জানাব।’’

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস (JU Campus) চত্বরে এদিক ওদিক মদের বোতল পড়ে থাকার অভিযোগ বারবার উঠেছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপেন এয়ার থিয়েটার (Open Air Theatre) যেন আস্ত পানশালা। যতদূর চোখ যাচ্ছে শুধুই সারি সারি মদের বোতল। চক্ষু চড়কগাছ নেটিজেনদের। এটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নাকি মদের ঠেক, উঠছে প্রশ্ন। শনিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালেয়র (Jadavpur University) ওপেন এয়ার থিয়েটারের (OAT) ভিতরে পরিস্কার করতে এসেছিলেন সাফাইকর্মীরা। আর তখনই এই দৃশ্য ধরা পড়ে। একমাস পর OAT পরিষ্কার করতে এসে রাশি রাশি মদের বোতল উদ্ধার করলেন সাফাই কর্মীরা। কোথায় কর্তৃপক্ষের নজরদারি? তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে সিসিটিভি বসানো নিয়ে পড়ুয়াদের একাংশের আপত্তি কি এই কারণেই? এই প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ (Buddhadeb Sau) বলেন, “এই কারণেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকে সতর্ক করতে হবে আর তাই আজ থেকেই সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ শুরু হচ্ছে। তিনি জানান এই বিষয়ে খতিয়ে দেখতে যাদবপুরের ইসরোর প্রতিনিধি দল আসছে। ” কিন্তু শুধুমাত্র মেন ক্যাম্পাস আর হোস্টেলের গেটে কেন? ক্যাম্পাসে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ জায়গা রয়েছে। পাশাপাশি হোস্টেলের বারান্দা থেকে আলোচনায় উঠে আসা ওপেন এয়ার থিয়েটার চত্বর, কেন সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় থাকবে না তা নিয়ে ইতিমধ্যেই অসন্তোষ শুরু হয়েছে।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় বহিরাগতদের আনাগোনা নিয়ে একাধিক অভিযোগ সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ উদাসীন। ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় কি এখন টনক নড়লো না? এদিকে আবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে তৃতীয় বাড়ির জন্য চিঠি পাঠাল রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন (West Bengal Commission for Protection of Child Rights)। সূত্রের খবর, আগের পাঠানো নোটিশের প্রেক্ষিতে যে জবাব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দিয়েছেন, তাতে সন্তুষ্ট নয় কমিশন। হস্টেলের আবাসিকদের সংখ্যা থেকে শুরু করে অ্যান্টি র‌্যাগিং কমিটি সংক্রান্ত যে তথ্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে চেয়ে পাঠানো হয়েছিল, তা ঠিক ভাবে দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ করছেন চেয়ারপার্সন সুদেষ্ণা রায় (Sudeshna Roy)। পাশাপাশি, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন রেকর্ড যে ভাবে বজায় রাখা উচিত, সেটা যাদবপুরে হয়নি। ইউজিসির (UGC) গাইডলাইন ঠিকমত মানা হয়নি বলে উদ্বেগ রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের (WBCPCR ) প্রতিনিধিদের। সুদেষ্ণা রায় বলেন বিশ্ববিদ্যালয় কমিশনের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এতেই বোঝা যায় তারা কতটা দায়িত্বজ্ঞানহীন মনোভাব রাখছেন। এই প্রসঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ বলেন, ‘‘আমি এখনও কোনও রিপোর্ট দেখিনি। তবে এসেছে শুনেছি। দেখে জানাব।’’

 

Previous articlePCB’র ডাকে সাড়া BCCI-এর, এশিয়া কাপ দেখতে পাকিস্তান যাচ্ছেন বিনি-শুক্লা : সূত্র
Next articleবিশ্ব ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে প্রণয়, ছিটকে গেলেন চিরাগ-সাত্ত্বিকসাইরাজ জুটি