ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের পাশে রাজ্য, পুজোর আগেই ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত

মরশুমের খামখেয়ালিপনার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের পাশে রাজ্য সরকার। পুজোর আগেই যাতে তাঁরা শস্যহানির ক্ষতিপূরণের টাকা পেয়ে যান তার জন্য উদ্যোগী হয়েছে কৃষি দফতর। জানা গিয়েছে, বৃষ্টি ঘাটতির কারণে রাজ্যের প্রায় ২ লক্ষ ৪০ হাজার হেক্টর ধানি জমিতে এবার আর খরিফ মরশুমের ধান চাষ সম্ভব হচ্ছে না। প্রকৃতির এই খামখেয়ালিপনার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বহু চাষি। তাঁদের তালিকা তৈরি হচ্ছে। সেই সঙ্গে বাড়ানো হয়েছে ধানের জন্যত বিমা করার সময়সীমাও। ৩১ অগাস্ট ছিল শেষ তারিখ। যা বাড়িয়ে ১৫ সেপ্টেম্বর করা হয়েছে। অক্টোবরেই তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে কৃষি দফতর সূত্রে খবর। অগাস্ট মাসে বেশ কিছু জেলায় ভালো বৃষ্টি হলেও ধানের বীজতলা তৈরি ও রোপণের সময় পর্যাপ্ত বৃষ্টি পাওয়া যায়নি। অগাস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টির ঘাটতি ২৬ শতাংশ। মোট রাজ্যে ১২ শতাংশ।

তবে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, দুই দিনাজপুর বা দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি বৃষ্টি কম পেলেও ধান চাষে কোনও সমস্যাূ হয়নি। সমস্যা হয়েছে পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, বীরভূম, নদিয়া, মালদহ, পশ্চিম মেদিনীপুরের চাষিদের। বৃষ্টি ঘাটতি ছিল মুর্শিদাবাদে ৪৫ শতাংশ, নদিয়ায় ৩২ শতাংশ, পুরুলিয়ায় ২৯ শতাংশ, বাঁকুড়ায় ২৪ শতাংশ, বীরভূমে ৩৫ শতাংশ, বর্ধমানে ১৮ শতাংশ, মালদহে ৫ শতাংশ। নবান্ন সূত্রের খবর, এই সাত জেলায় ১৭ লক্ষ ৮৩ হাজার ১৬০ হেক্টর জমিতে গত বছর ধান চাষ হয়েছিল। কিন্তু সময়ে বৃষ্টি না হওয়ায় ২ লক্ষ ৪০ হাজার হেক্টর জমিতে এবার আর খরিফ মরশুমের ধান চাষ করা সম্ভব হচ্ছে না।

আরও পড়ুন- ওবামার সঙ্গে যৌ*ন সম্পর্কে সিনক্লেয়ার, প্রকাশ্যে বিস্ফো*রক সাক্ষাৎকার

 

Previous articleশাহরুখ ঝড়ের ল্যান্ডফলের অপেক্ষায় দেশ! প্রতিমুহূর্তে ট্যুইস্ট, দেখতেই হবে ‘জওয়ান’
Next articleচায়ের রফতানি বানিজ্যে গতি আনতে কলকাতাতেই এবার টি প্রসেসিং হাবের পরিকল্পনা