যাতায়াতের বিমান ভাড়া, থাকার হোটেল দিলেই কলকাতায় যাবো”, সিবিআই-কে ইমেল নারদকর্তার

আগামী সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টায় কলকাতার নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ম্যাথুকে।নারদাকাণ্ডে তাঁর কাছ থেকে আরও কিছু প্রশ্নের উত্তর জানতে চান সিবিআই আধিকারিকরা

ফের নারদা তদন্তে গতি আনছে সিবিআই। প্রায় ৩ বছর পর আবার নারদাকাণ্ড নিয়ে নাড়াচাড়া করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ফের একবার নারদকর্তা ম্যাথু স্যামুয়েলকে তলব করেছে সিবিআই। আগামী সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টায় কলকাতার নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ম্যাথুকে।নারদাকাণ্ডে তাঁর কাছ থেকে আরও কিছু প্রশ্নের উত্তর জানতে চান সিবিআই আধিকারিকরা। সিবিআইয়ের দাবি, ম্যাথুর মোবাইলের ফরেন্সিক রিপোর্ট তাদের হাতে এসেছে। সেখান থেকে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে এসেছে তদন্তকারীদের।

তাঁর হাজিরা প্রসঙ্গে জবাব দিতে গিয়ে সিবিআই তলবের প্রেক্ষিতে ই-মেল মারফত জবাব দিলেন ম্যাথু স্যামুয়েলস। ই-মেলে সিবিআই-কে যে চিঠি লিখেছেন ম্যাথু স্যামুয়েল লিখেছেন তার বয়ান এইরকম, “আমি সিবিআই কলকাতা অফিস থেকে একটি সমন পেয়েছি। আমাকে ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩-এ হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এর আগে যখন নতুন তদন্তকারী অফিসার আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন, তখন আমি তাঁকে খুব স্পষ্টভাবে জানিয়েছিলাম যে পর্যাপ্ত পরিবহণ ভাড়া ছাড়া, আমি হাজির হব না। আমি ইতিমধ্যে এই মামলার জন্য কলকাতার অফিসে এবং দিল্লিতে সিবিআই সদর দফতরে ১০ থেকে ১২ বার হাজিরা দিয়েছি। কিন্তু আমাকে কোনওবারই কোনও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি। উপরন্তু সিবিআই এবং তেহেলকার আগের মামলা চলাকালীন, আমি সিবিআই এবং সিবিআই ট্রায়াল কোর্টে ৫০০ বারের বেশি হাজির হয়েছি। এটা রেকর্ডে রয়েছে যে সিবিআই তখন আমাকে ২০০৭ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত যাতায়াতের ভাড়া বাবদ মোট ২৩ হাজার টাকা দিয়েছিল। আমি এই বিষয়টি কলকাতায় সিবিআই আধিকারিকদের জানিয়েছি। তাঁরা এর আগে কলকাতায় আমার যাতায়াতের ভাড়া এবং থাকার জায়গার ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, কিন্তু তাঁরা তা করতে ব্যর্থ হয়েছে।”

তাঁর আরও সংযোজন, “এই তদন্তের দায়িত্বে থাকা নতুন অফিসার বলেছেন যে, তাঁরা শুধুমাত্র ট্রেনের টিকিট দিতে পারবেন। এখানে আমি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরতে চাই। তেহেলকা মামলায় আমি দেখেছি, প্রাক্তন সিবিআই কর্মকর্তা, ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এবং অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের জন্য বিমানের টিকিট দেয় সিবিআই। এখানে আমি একজন গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী এবং বেশিরভাগ জিজ্ঞাসাবাদের দিন, যা সাধারণত সকাল ১১ টায় শুরু হয় এবং সন্ধ্যা ৪ টেয় শেষ হয়, এক গ্লাস জলও দেওয়া হয় না। এবারও মনে হচ্ছে কলকাতায় এর পুনরাবৃত্তি করতে চায় সিবিআই। আমি বিনীতভাবে জানাচ্ছি যে, সিবিআইকে অবশ্যই আমার বিমান ভাড়া এবং কলকাতায় থাকার খরচ বহন করতে হবে। কারণ, কলকাতায় আমার ট্রেনে যেতে লাগবে ৩ দিন। আবার ট্রেনে ফিরতে লাগবে ৩ দিন। একজন সাংবাদিক হিসেবে এত দীর্ঘ সময় ট্রেনে ভ্রমণ করার জন্য সময় দেওয়া আমার সাধ্যে কুলোবে না।”

আরও পড়ুন- মামলার রায়দানের আগে অভিষেকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নয়: ইডিকে মৌখিক নির্দেশ বিচারপতির

 

 

Previous articleমামলার রায়দানের আগে অভিষেকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নয়: ইডিকে মৌখিক নির্দেশ বিচারপতির
Next articleস্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক এড়াল ক্ষু.ব্ধ I.N.D.I.A., কারণ কী!