“দ্যাখ কেমন লাগে”! কুণালের মানহানি মামলায় আদালতে যেতেই হল বিমান-সেলিম-শতরূপকে

মেট্রোপলিটন আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে জামিন নিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম এবং শতরূপ ঘোষ। আইনি প্রক্রিয়ায় জামিন একটি অঙ্গ হলেও এই বিষয়টিকে কুণাল ঘোষের নৈতিক জয় হিসেবেই দেখছে রাজনৈতিক মহল।

হারের হ্যাট্রিক করা সিপিএমের চারআনার নেতার অসভ্যতামির খেসারত। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক
কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) করা মানহানির মামলায় অবশেষে আদালতে যেতেই হল বর্ষীয়ান বিমান বসু (Biman Basu), মহম্মদ সেলিমকে (Md Selim)। এই দুই নেতার সঙ্গে ‘বাচাল’ শতরূপকেও (Shatarup Ghosh) আদালতে গিয়ে জামিন (Bail) নিতে হল। এদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন কুণাল ঘোষের আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী।

আজ, বৃহস্পতিবার মেট্রোপলিটন আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে জামিন নিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম এবং শতরূপ ঘোষ। জামিন আইনি প্রক্রিয়ার একটি অঙ্গ হলেও, এই বিষয়টিকে কুণাল ঘোষের নৈতিক জয় হিসেবেই দেখছে রাজনৈতিক মহল। কারণ, কুণাল ঘোষ মানহানি মামলা করার পর সিপিএমের এই নেতাদের মধ্যে যেন ‘ও কোনও ব্যাপার নয়, দেখে নেবো…’ টাইপের একটা মনোভাব লক্ষ্য করা গিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁদের আদালতের চৌকাঠে গিয়ে জামিন নিতেই হল। এদিনের ঘটনা জানার পর সুদূর স্পেনের মাদ্রিদ থেকে কুণাল ঘোষের টিপ্পনী “আসতে তো হল কোর্টে। দ্যাখ কেমন লাগে!”

মাস কয়েক আগে ‘সর্বহারা’ সিপিএম নেতা ‘হোলটাইমার’ শতরূপ ঘোষের বিলাসবহুল গাড়ি কেনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন কুণাল ঘোষ। তার প্রেক্ষিতে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে মুজফফর আহমেদ ভবনে সিপিএমের রাজ্য দফতরে বসে শতরূপ কুণালকে অপমান করেন, ব্যক্তিগত আক্রমণ করে আপত্তিজনক মন্তব্য করেন। কুণালকে ‘টেস্ট টিউব বেবি’ বলে আক্রমণ করেন শতরূপ। তাঁর ‘টেস্ট টিউব বেবি’ মন্তব্যে কুণালের পরিবারকেও অপমান করা হয়েছে, এমনটাই আদালতে জানিয়েছিলেন কুণালের আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী। শুধু তাই নয়, তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদককে ‘তাজ্যপুত্র’ বলেও মন্তব্য করেছিলেন শতরূপ। অভিযোগ, তাতে সায় ছিল সিনিয়র বিমান বসু এবং মহম্মদ সেলিনের। কারণ, আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে সিপিএমের দফতরে বসে শতরূপ সাংবাদিক বৈঠক করে এই অপমানজনক কথা বলেছে। স্বাভাবিকভাবেই সেই ঘটনার দায় সিনিয়র বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু ও সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের উপরেও বর্তায়। তাই একযোগে তিন জনের বিরুদ্ধেই মানহানি মামলা করেন কুণাল।

উল্লেখ্য, সিপিএম নেতা শতরূপ ঘোষের গাড়ি নিয়ে কুণাল ঘোষ প্রশ্ন তুলে বলেছিলেন, ২০২১ সালে নির্বাচনী হলফনামায় যেখানে মাত্র ২ লক্ষ টাকা সম্পত্তি দেখিয়েছিলেন শতরূপ, সেখানে মাত্র দুই বছরের ব্যবধানে ২০২৩ সালে কীভাবে ২২ লাখি গাড়ির মালিক হলেন তিনি। সিপিএমের হোলটাইমার হয়ে এত দামি গাড়ি চড়াটা কি নীতিবিরুদ্ধ নয়? কুণালের সেই মন্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে প্রেস কনফারেন্স করে আপত্তিকর মন্তব্য করেন শতরূপ। তাঁর কথায়, “আমার বাবা আছে। সবার বাবা থাকে। তাঁরা গিফটও দেন। আশা করি কুণালবাবুরও ছিলেন, যদি না উনি টেস্ট টিউব বেবি হয়ে থাকেন।” শুধু তাই নয়, কুণাল ঘোষের বেনামি ভাই থাকতে পারে বলেও কটাক্ষ করেছিলেন।

 

 

 

Previous articleনতুন বাড়িতে ফেরা হল না, অনন্তনাগে হত মেজরের পরিবার বাকরুদ্ধ
Next articleবিনাশকালে বুদ্ধিনাশ! মাদ্রিদ থেকে CEC বিলের প্রবল বিরোধিতার নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর