বাংলা সহায়তা কেন্দ্রগুলিতে চালু হচ্ছে একাধিক নয়া পরিষেবা

রাজ্যের মানুষের সুবিধার্থে বাংলা সহায়তা কেন্দ্রগুলিতে আরও বেশ কিছু নতুন পরিষেবা যুক্ত করা হচ্ছে। বর্তমানে এই কেন্দ্র গুলি থেকে ৪০ ধরনের পরিষেবা পাওয়া যায়। এর সঙ্গে পরিযায়ী শ্রমিকদের নাম নথিভুক্তিকরণ, হকারদের ঋণ সংক্রান্ত আবেদন, দূরপাল্লার সরকারি বাসের বুকিং, সংখ্যলঘু ঋণ, ট্রাফিক ফাইন, স্কুল-কলেজে ভর্তির জন্য টাকা জমা করার মতো পরিষেবা যুক্ত করা হচ্ছে বলে নবান্নে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে। এর ফলে মানুষ নির্ঝঞ্ঝাটে আরও অনেক সরকারি প্রকল্প ও পরিষেবার সুযোগ পাবেন।

ইতিমধ্যে হকারদের ঋণের আবেদন এবং পরিযায়ী শ্রমিকদের নাম তোলার প্রক্রিয়া এই সহায়তা কেন্দ্র থেকে শুরু হয়েছে। সম্প্রতি এক বৈঠকে আরও কয়েকটি পরিষেবা চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এবার থেকে বর্ধমান শিলিগুড়ি সহ অন্যান্য দূরবর্তী জায়গায় যেতে গেলে সরকারি বাসের বুকিং করতে অসুবিধা হবে না। এমনকী অনলাইনেও সমস্যা হলে বাংলা সহায়তা কেন্দ্র তার মুশকিল দূর করবে। সরকারি আধিকারিকদের মতে, এক ছাতার তলায় যাবতীয় পরিষেবা যাতে মানুষ পেতে পারে তার ব্যবস্থা করাই সরকারের মূল লক্ষ্য।

গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দাদের ক্ষেত্রে বিএসকে অত্যন্ত কার্যকারী হয়ে উঠেছে। তার কারণ অনেক জায়গাতে ইন্টারনেটের সমস্যা আছে। আবার বহু মানুষ এখনও অনলাইন মাধ্যমের সঙ্গে সড়গড় হননি। প্রায় প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে এই সহায়তা কেন্দ্র খোলা হয়েছে বলে সেই নাগরিকরা সেখানে গিয়ে নানা পরিষেবা নিতে পারছেন। জানা গিয়েছে, বিদ্যুৎ বিল জমা দেওয়ার কাজ সব থেকে বেশি হচ্ছে এই বিএসকেগুলিতে। এছাড়াও স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের এনরোলমেন্ট এবং কেওয়াইসি আপলোড করার কাজও হচ্ছে। আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রেও প্রতিদিন সরকারের বিপুল রাজস্ব আদায় হচ্ছে। প্রায় প্রতিটি জেলাতেই গড়ে কয়েক লক্ষ টাকা করে লেনদেন হচ্ছে প্রতিদিন।

আরও পড়ুন- পরিবহণ দফতরের বিশেষ উদ্যোগ, ভিড় ছাড়াই দুর্গাপুজোর স্বাদ পাবেন শহরবাসী!

Previous articleIPC-র সঙ্গে নতুন বিলের কোনও পার্থক্য নেই: মত আইনজীবীদের
Next article“সংবাদ প্রতিবেদন কীভাবে অপরাধ হিসেবে গণ্য হতে পারে?” এডিটরস গিল্ড মামলায় সুপ্রিম কোর্ট