আধার কার্ড থেকে রাতারাতি লোপা*ট টাকা, বাগুইআটিতে ব্যাঙ্ক জালিয়া*তিকাণ্ডে ধৃ*ত ২

ব্যাঙ্কের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে আধার কার্ড। সেই আধার কার্ডে রয়েছে চোখের রেটিনা স্ক্যান থেকে শুরু করে আঙুলের ছাপও।তাতেই বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।একান্ত ব্যক্তিগত তথ্য অনায়াসে চলে যাচ্ছে ব্যাঙ্ক জালিয়াতির হাতের মুঠোয়। তাতেই নিমেষে ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। খাস কলকাতার বাগুইআটিতেও সম্প্রতি এমন ব্যাঙ্ক জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। যার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুনঃ এবার প্রতারণার শিকার খোদ ব্যাঙ্ক আধিকারিক! উধাও ২ লক্ষ টাকা
কলকাতা পুলিশ তরফে খবর, কয়েক জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি নিজেদের ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট হোল্ডার বলে পরিচয় দিয়ে ব্যাঙ্ক থেকে এক গ্রাহকের আধার কার্ড নম্বর, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর জোগাড় করে ফেলে। এমনকি, ওই ব্যক্তির আধার কার্ডে থাকা আঙুলের ছাপের তথ্য জাল করতে সমর্থ হয় তারা।এর পরেই ওই সমস্ত তথ্য ব্যবহার করে নির্দিষ্ট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ‘আধার এনাবেলড পেমেন্ট সিস্টেম’-এর সাহায্য নিয়ে টাকা বার করে নেয় তারা।
এদিকে টাকা আচমকা অ্যাকাউন্ট থেকে চলে যেতেই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন বাগুইআটির হাতিয়ারা রোড বাসিন্দা তুষারকান্তি মুখোপাধ্যায়(৪৬)।পুলিশকে তিনি জানান,তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ওই ব্যাঙ্ক জালিয়াতেরা ২৮ হাজার ৯০০ টাকা বার করে নিতে পেরেছে ।তাঁর কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে জালিয়াতির মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। বাংলা এবং বিহারের সীমানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে দু’জনকে।
তদন্তে নেমে পুলিশ প্রথমে উত্তর দিনাজপুরের দু’জনকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের নাম মোখতার আলম, বয়স ২৩ এবং রওশন আলি, বয়স ২২। এই দু’জনের বিরুদ্ধে অন্তত আধার কার্ডের তথ্য নিয়ে এমন ছ’টি ব্যাঙ্ক জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
জানা গিয়েছে, আধার কার্ড এবং ব্যাঙ্ক জালিয়াতির খবর পাওয়ার পরেই কলকাতা পুলিশ ব্যাঙ্ক জালিয়াতি দমন শাখার একটি দল গঠন করে ঘটনাটির তদন্ত শুরু করে। খতিয়ে দেখা যায়, বাংলার ইসলামপুর এবং বিহারের আরারিয়ার কাছাকাছি কোনও এলাকা থেকে এই জালিয়াতি করা হয়েছে। পুলিশের এই বিশেষ দলটি সেখানে পৌঁছে নির্দিষ্ট এলাকায় তল্লাশি চালায়। তার পরেই বুধবার গ্রেফতার করা হয় দু’জনকে। পুলিশ সূত্রে খবর, গ্রেফতার হওয়া দু’জনের মধ্যে আঙুলের ছাপ নকল করার কাজ করেছে রওশন। আর এই গোটা কাজটি হয়েছে মোখতারের নামে নথিভুক্ত সিস্টেম থেকে।পুলিশ জানিয়েছে, দু’জনকেই আদালতে তোলা হয়েছিল। আদালত তাদের ৭ অক্টোবর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।

Previous articleভারত-কানাডা সম্পর্কের জেরে বাড়তে পারে ডালের দাম
Next articleআধার-তথ্য আড়াল করুক অর্থ দফতর: চিঠি দিয়ে সতর্ক করল কলকাতা পুলিশ