কানাডা নিয়ে আমেরিকার বিদেশ সচিবের সঙ্গে কথা জয়শঙ্করের! আর কী উঠে এল আলোচনায়?

আমেরিকা সফরে গিয়ে সে দেশের বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিকেন এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালিভানের সঙ্গে বৈঠক করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বৃহস্পতিবার সকালে (স্থানীয় সময়) ওয়াশিংটনের ওই বৈঠকে খালিস্তানি নেতা খুনের প্রসঙ্গও উঠে এসেছে বলে খবর। যদিও এ ব্যাপারে এখনও খোলসা করে কিছু জানানো হয়নি।

আরও পড়ুনঃ বিচ্ছিন্ন.তাবাদীদের গড় কানাডা: রাষ্ট্রসংঘে তীব্র আক্র.মণ জয়শঙ্করের
গত জুন মাসে খলিস্তানপন্থী সংগঠন ‘খলিস্তান টাইগার ফোর্স’ (কেটিএফ)-এর প্রধান তথা কানাডার সারের গুরু নানক শিখ গুরুদ্বার সাহিবের প্রধান নিজ্জরকে গুরুদ্বার চত্বরের মধ্যেই গুলি করে খুন করা হয়। সেই ঘটনায় ভারতের গুপ্তচর সংস্থার ভূমিকা ছিল বলে কানাডার পার্লামেন্টের জরুরি অধিবেশনে দাবি করেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এমনকি তিনি এও বলেন,এ বিষয় নিয়ে জি২০ শীর্ষ সম্মেলন চলাকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আলোচনা করেন তিনি।
ট্রুডোর ওই বিবৃতির পরে ব্লিঙ্কেন বলেছিলেন, ‘‘কানাডার প্রধানমন্ত্রী যে অভিযোগ করেছেন, তা আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখছি।’’ এই পরিস্থিতিতে ট্রুডো-বিতর্ক নয়াদিল্লি-ওয়াশিংটন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে প্রভাব ফেলতে পারে বলেও আশঙ্কা করছিলেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। এরপরই কানাডার এক ভারতীয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করা হয়। সে দেশের বিদেশমন্ত্রী মেলানি জোলি জানান, ওই ব্যক্তি ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা ‘র’ -এর কানাডার প্রধান হিসাবে দায়িত্ব সামলাতেন। ওই পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় মোদি সরকারও কানাডার এক শীর্ষ কূটনীতিককে পাঁচ দিনের মধ্যে দিল্লি ছাড়ার নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি, নিজ্জর খুনের ঘটনায় দায় অস্বীকার করে ভারত।
নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সম্মেলন চলাকালীন কানাডার বিষয়টি আংশিকভাবে হলেও ভারত-আমেরিকার সম্পর্ককে বিদ্ধ করেছে। এই আবহেই বৃহস্পতিবারের বৈঠকের আগে সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখে কুলুপ আঁটেন জয়শঙ্কর এবং ব্লিঙ্কেন।এমনকি আলোচ্যসূচি নিয়েও কিছুই জানাননি তাঁরা। বৈঠকের পরে ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে সংবাদমাধ্যমের সামনে এসে জয়শঙ্কর সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় বলেন, “এই গ্রীষ্মে আমাদের প্রধানমন্ত্রী এখানে ছিলেন। জি২০ সম্মেলনে আমেরিকা যে ভাবে সমর্থন করেছে সে জন্য ধন্যবাদ।”
অন্য দিকে, জয়শঙ্কর-ব্লিঙ্কেন বৈঠকের আগে আমেরিকার বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, “একটি বিষয় ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করেছি, নিজ্জরের হত্যায় কানাডার তদন্তে সহায়তা করতে আমেরিকা ভারতকে উৎসাহিত করেছে।” যদিও চলতি সপ্তাহেই নিউ ইয়র্কে দাঁড়িয়ে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করে জয়শঙ্কর বলেছিলেন, “কেউ যদি কোনও প্রাসঙ্গিক নথি বা তথ্য দেয়, তা হলে সব সময়েই তা তদন্ত করে দেখতে রাজি।’’ পাশাপাশি নিজ্জর হত্যা নিয়ে ট্রুডোর অভিযোগকে ‘অযৌক্তিক এবং ভিত্তিহীন’ বলেন তিনি। জয়শঙ্কর-ব্লিঙ্কেন বৈঠক শেষে কানাডা প্রসঙ্গ ঊহ্য রেখে ম্যাথু বলেন, ‘‘প্রতিরক্ষা, মহাকাশ গবেষণা এবং দূষণমুক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা নিয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে।’’

Previous articleপাকিস্তানের বালুচিস্তানে ঈদ-ই-মিলাদুনের জমায়েতে বিস্ফো*রণ!নিহ.ত অন্তত ৩৪, আহ.ত শতাধিক
Next articleবিশিষ্ট শিল্পী কমলিনীর প্রথম আধুনিক গানে জুটি বাঁধলেন জয়-শ্রীজাত