টানা বৃষ্টির মধ্যেই জল ছাড়ছে ডিভিসি!বানভাসি পরিস্থিতি হুগলিতে

হড়পা বানের তলিয়ে গিয়েছে সিকিমের একাংশ। তিস্তার জল হুড়হুড় করে সমতলের দিকে নেমে আসায় উত্তরবঙ্গেও বন্যার সম্ভাবনায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে রাজ্য প্রশাসনের। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে উদ্ধারকাজ। ত্রাণশিবিরও খোলা হয়েছে। উত্তরবঙ্গের মত পরিস্থিতি নয় রাজ্যের বাকি জেলাগুলিতে। তবে নিম্নচাপের জেরে একটানা বর্ষণে নদীর জলস্তর বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যারেজের জল ছাড়ার জেরে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে আরামবাগ মহকুমায়। ফুঁসছে মুন্ডেশ্বরী। জল বাড়ছে দামোদর, দ্বারকেশ্বরেও। ইতিমধ্যেই খানাকুলের রামমোহন ২ গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার একাধিক জায়গা প্লাবিত হতে শুরু করেছে । নদীর তীরবর্তী এলাকায় থাকা বেশ কয়েকটি পরিবারকে ইতিমধ্যেই সেকেন্দারপুর বিদ্যালয়ের অস্থায়ী ত্রাণ শিবিরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ তিস্তার ধং.সলীলার মাঝেই ধস সিকিমে, নদীগর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে জাতীয় সড়ক, আটকে বহু পর্যটক
নিম্নচাপের জেরে গত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টি হলেও হুগলিতে এখনও বৃষ্টিপাতের পরিমাণ তিরিশ শতাংশ কম। তাই জলাশয়গুলো এখনও জলধারণ করতে পারছে। চাষের তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছে জেলা কৃষি দফতর। তবে ডিভিসির ছাড়া জলে নদীগুলো বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে একাধিক নদী। নিচু এলাকায় চাষের জমিতে জল ঢুকেছে খানাকুলের দুটি ব্লকে। প্লাবিত হয়েছে একের পর এক গ্রাম। ইতিমধ্যেই হুগলি জেলায় ত্রাণ শিবির রয়েছেন ৮০৪ জন মানুষ।
বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতেই জেলা স্বাস্থ্য দফতরও তৎপর হয়েছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রমা ভুঁইয়া দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে খানাকুলের পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন। পরে আরামবাগ মেডিকেল কলেজে বৈঠক করেন। সিএমওএইচ বলেন, “বন্যার জলে নানা অসুখ হয়। তাই আগে থেকেই সাব সেন্টারগুলোতে প্যারাসিটামল, ওআরএস মজুত করা হয়েছে। সাপে কাটার জন্য এভিএস থাকছে স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে। আশাকর্মীদের কাছে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ওষুধ মজুত করে রাখা থাকছে।” চারিদিক প্লাবিত হলে যাতায়াতে সমস্যা হয়। বহুক্ষেত্রে নৌকা করে গন্তব্যে পৌঁছতে হয় স্বাস্থ্যকর্মীদের। সেইসব ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক।

Previous articleতিস্তার ধং.সলীলার মাঝেই ধস সিকিমে, নদীগর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে জাতীয় সড়ক, আটকে বহু পর্যটক
Next articleআজ রাজভবন অভিযান তৃণমূলের, কোন কোন রাস্তায় যানজট হতে পারে জেনে নিন