আইনের তোয়াক্কা না করেই টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র! মোদি সরকারের বিরুদ্ধে গ.র্জে উঠলেন অমিত মিত্র  

অমিত মিত্র বলেন রাজ্যের আসন্ন বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে নতুন বিনিয়োগ আকর্ষনের পাশাপাশি পুরনো বিনিয়োগের সর্বশেষ অবস্থাও তুলে ধরতে চায় রাজ্য সরকার।

কেন্দ্রের মোদি সরকারের বিরুদ্ধে এবার গর্জে উঠলেন রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টা অমিত মিত্র (Amit Mitra)। শনিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রের ‘তুঘলকি শাসন’-র তীব্র বিরোধিতা করেন তিনি। অমিত মিত্রের অভিযোগ, কেন্দ্রের মোদি সরকার (Modi Govt) আইনের তোয়াক্কা না করেই একশো দিনের কাজ সহ একাধিক প্রকল্পে রাজ্যের প্রায় ছ’হাজার কোটি টাকা আটকে রেখেছে। আর সেকারণে যত দিন যাচ্ছে গ্রামীণ কর্মসংস্থানের পথ ধীরে ধীরে বন্ধের মুখে।

তবে এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো এবং গণতন্ত্র ধ্বংস করারও অভিযোগ সামনে আনেন অমিত মিত্র। তিনি বলেন, বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলিতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এমনকি, বহু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের লাইসেন্স বাতিল করা হচ্ছে। কিন্তু উল্টোদিকে আরএসএস-এর প্রভাবিত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলি কী ভাবে বিদেশী অনুদান পাচ্ছে, তা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তোলেন। অমিত মিত্র এদিন আরও বলেন, কেন্দ্রের মোদি সকারের হাতে বিচারব্যবস্থা আক্রান্ত হচ্ছে। অন্তত ৭০ টি কলোজিয়াম এখনও বকেয়া আছে। তবে বেআইনিভাবে বকেয়া আটকে রাখার বিরুদ্ধে কেন রাজ্য আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছে না, সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন অনেক সেচ্ছাসেবী সংস্থা এই বিষয় নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। রাজ্য সরকার সেই সব মামলার গতিপ্রকৃতির দিকে সবসময় কড়া নজর রাখছে।

অন্যদিকে, এদিন অমিত মিত্র বলেন রাজ্যের আসন্ন বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে (BGBS) নতুন বিনিয়োগ আকর্ষনের পাশাপাশি পুরনো বিনিয়োগের সর্বশেষ অবস্থাও তুলে ধরতে চায় রাজ্য সরকার। বাণিজ্য সম্মেলন শুরু হওয়ার পর থেকে গত ১২ বছরে  রাজ্যে কি পরিমান বিনিয়োগ এসেছে তার বর্তমান অবস্থা কি তাও বিস্তারিত ভাবে প্রকাশ করা হবে। রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী বলেন, শিল্পে বিনিয়োগের ফলে এখনও পর্যন্ত কত কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য ভাণ্ডার তৈরি করা হচ্ছে। প্রতিটি দফতরের অধীনে কি পরিমাণ প্রকল্প রূপায়নের হয়েছে ইতিমধ্যেই  নির্দিষ্ট বয়ানে তা প্রত্যেক দফতরকে তথ্য দিতে বলা হয়েছে। তাতে বিনিয়োগের স্থান, বাস্তবায়নের দিনক্ষণ, বিনিয়োগের প্রকৃতি সবিস্তারে দ্রুত জানাতে বলা হয়েছে। এবছর ২১ ও ২২ নভেম্বর বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের আসর বসতে চলেছে। এদিন নবান্নে সম্মেলনের প্রস্তুতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান আর্থিক উপদেষ্টা অমিত মিত্রের পৌরহিত্যে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক বসে। সেখানে এপর্যন্ত সম্মলন আয়োজনের অগ্রগতি আলোচিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত বিভিন্ন দফতরের সচিবরা নিজেদের পরিকল্পনা তুলে ধরেন। বিভিন্ন বনিকসভা ইতিমধ্যেই দিল্লি, মুম্বাইয়ের মতো শহরে রাজ্যের বাণিজ্য সম্মেলনের প্রচারে রোড শোয়ের আয়োজন করেছে। সেই সব কর্মসূচিতে কেমন সাড়া মিলেছে সেকথা বণিকসভার প্রতিনিধিরা তুলে ধরেন।

 

 

 

 

Previous articleসংবর্ধিত কুমোরটুলির মহিলা মৃৎশিল্পী চায়না পাল
Next articleদেশের ভবিষ্যৎ নেতা অভিষেক: প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাতে বললেন রাজ্যপাল