আজকের দিনে কী ঘটেছিল জানেন কি?

১৮৭০

চিত্তরঞ্জন দাশ

(১৮৭০-১৯২৫) এদিন জন্মগ্রহণ করেন। কৃতী ছাত্র, সফল আইনজীবী, বাগ্মী, জননেতা— এমন নানা অভিধাতেই তাঁকে ধরা যায়। চিত্তরঞ্জনের একমাত্র অভীষ্ট ছিল, প্রিয় স্বদেশের স্বাধীনতা। তাই দেশের মানুষ তাঁকে ‘দেশবন্ধু’ অভিধায় অভিহিত করেন। ১৯২০-তে নাগপুর কংগ্রেসের কিছু দিন পরের ঘটনা। বাড়িতে এসে স্ত্রী বাসন্তীদেবী ও ছেলে চিররঞ্জনকে দেশবন্ধু বললেন, ‘জানি, তোমাদের অনেক কষ্ট সহ্য করতে হবে, কিন্তু কী করব? আমি যে আর এর মধ্যে থাকতে পারছি না।’ দু’জনেই উৎসাহের সঙ্গে সম্মতি দিলেন। আইনজীবীর পেশা ত্যাগ করলেন। চিত্তরঞ্জনের দান বাংলার সর্বত্র, নিজের ভদ্রাসনটি পর্যন্ত জাতির সেবায় রেখে গিয়েছেন তিনি।

১৯৭৪ নটসূর্য অহীন্দ্র চৌধুরি

(১৮৯৫-১৯৭৪) এদিন প্রয়াত হন। অভিনয়কে পেশা হিসেবে গ্রহণ করার অল্পকাল পরেই খ্যাতি ও প্রতিষ্ঠা লাভ করেন। প্রায় শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। সেগুলোর মধ্যে বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য ‘চিরকুমার সভা’, ‘কঙ্কাবতীর ঘাট’, ‘শেষ উত্তর’ ‘সোনার সংসার’ ইত্যাদি। মঞ্চে স্মরণীয় অভিনয় ‘মিশর কুমারী’, ‘চন্দ্রগুপ্ত’, চাঁদ সদাগর’, ‘বিজয়া’, ‘প্রফুল্ল’ প্রভৃতি নাটকে। সংগীত নাটক অ্যাকাডেমির পুরস্কার পেয়েছেন। ডিলিট পেয়েছেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। তাঁর অভিনয় জীবনের স্মৃতিকথা ‘নিজেরে হারায়ে খুঁজি’।

২০১২ যাত্রাসম্রাট শান্তিগোপাল পাল

(১৯৩৪-২০১২) এদিন চলে গেলেন। শান্তিগোপাল নামে পরিচিত হলেও তাঁর পোশাকি নাম ছিল বীরেন্দ্রনারায়ণ পাল। সবাই ডাকত শান্তিরাম বা শান্তিরঞ্জন বলে। অভিনয়ের প্রতি অসম্ভব ঝোঁকের কারণেই ছাত্রজীবনেই যাত্রাজগতে আত্মপ্রকাশ। অভিনয়ের শুরু নট্ট কোম্পানিতে। দীর্ঘ দিন ধরে এখানে কাজ করেছেন। পরবর্তী কালে নিজ উদ্যোগে গড়ে তোলেন এক নতুন দল— ‘তরুণ অপেরা’। যাত্রাজগতে তাঁর অনবদ্য কয়েকটি পালা— লেনিন, কার্লমার্ক্স, আমি সুভাষ বলছি, মাও জে দঙ, ওথেলো, টিপু সুলতান।

১৮৮৭

বিপিনবিহারী গঙ্গোপাধ্যায়

(১৮৮৭-১৯৫৪) এদিন উত্তর চব্বিশ পরগনার হালিশহরে জন্মগ্রহণ করেন। স্বদেশি আন্দোলনের প্রথম যুগের রাজনীতিক ব্যক্তিত্ব, ব্রিটিশ-বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন নেতা এবং অগ্নিযুগের বিপ্লবী পুরুষ। দুই হাতে পিস্তল চালাতে পারতেন। রডা অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। জীবনের প্রায় সিকি শতাব্দী কারাগারে বন্দি অবস্থায় কেটেছে। ১৯৫২-তে বীজপুর বিধানসভা থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হন। অমর কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে বিপিনবিহারীর ভাগনে।

২০১১ ভূপেন হাজারিকা

(১৯২৬-২০১১) এদিন সুরলোকে চলে গেলেন। ‘মানুষ মানুষের জন্য’, ‘বিস্তীর্ণ দুপারে’, ‘আমি এক যাযাবর’, ‘সাগর সঙ্গমে’-সহ আরও অনেক জনপ্রিয় গানের স্রষ্টা। অসংখ্য জনপ্রিয় গানের কারিগর এই শিল্পীর দরাজ কণ্ঠে গাওয়া গানগুলো সব প্রজন্মের মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে। ভারতীয় চলচ্চিত্র ও সংগীতে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৭৭ সালে ভারত সরকারের পদ্মশ্রী ও ২০০১ সালে পদ্মভূষণ লাভ করেন। মরণোত্তর ভারতরত্ন দেওয়া হয় তাঁকে।

১৯০৫ ধীরাজ ভট্টাচার্য

(১৯০৫-১৯৫৯) এদিন জন্ম নেন। ‘হানাবাড়ি’ ছবিতে জয়ন্তের ভূমিকায় তাঁর অভিনয় দর্শকদের মুগ্ধ করেছিল। পুলিশ থেকে নায়ক হয়েছিলেন ধীরাজ।

১৫৫৬ পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধ এদিন আকবরের বাহিনী সম্রাট হেমচন্দ্র বিক্রমাদিত্য ওরফে হিমুর বাহিনীকে পরাস্ত করেন। এই যুদ্ধের ফলে নিভু নিভু করতে থাকা মোঘল সাম্রাজ্য নতুন করে জেগে উঠল। আর উজ্জ্বল শিখায় জ্বলতে থাকা হিমুর সাম্রাজ্য এক ঝটকায় সম্পূর্ণ নিভে গেল। দিল্লির মসনদে বসলেন মোঘল সম্রাট আকবর।

 

 

 

 

Previous articleআজ ইডেনে ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা, আটে আট লক্ষ‍্য রোহিতদের
Next article১৯ ঘণ্টা অতিক্রান্ত! রাত পেরলেও হাওড়ার রাইস মিলে তল্লাশি জারি ইডির