‘জিততেই হবে, স্বপ্ন সত্যি করার এর থেকে বড় সুযোগ আর পাব না’: শামি

সেমি-ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে জীবনের সেরা বোলিংটা করলেন মহম্মদ শামি। নিজের দক্ষতায় স্মরণীয় করে রাখলেন শততম এক দিনের ম্যাচ। মাথায় রেখেছিলেন ২০১৫ ও ২০১৯ বিশ্বকাপকে। দুটোতেই ভারত ব্যর্থ হয়েছিল। বুধবার ওয়াংখেড়ে ম্যাজিকের পর মহম্মদ শামি বললেন, খুব হতাশ হয়েছিলাম তখন। এবার সুযোগ সামনে এসেছে। স্বপ্ন সত্যি করার এর থেকে বড় সুযোগ আর পাব না। কারণ, জানি না আবার বিশ্বকাপে এরকম জায়গায় আমরা খেলতে পারব কি না।

একটা সময় হারের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। আর সেটা ড্যারেল মিচেলের ভয়ঙ্কর ব্যাটিংয়ের জন্য। এই মিচেলকে নিয়ে ফ্রিঞ্চের মতো অনেকেই সাবধান করেছিলেন। তবে শামি বলছেন, ম্যাচ ঘুরেছে কেন উইলিয়ামসন আউট হওয়ার পর। এই উইলিয়ামসনের ক্যাচ পড়েছিল শামির হাত থেকে। তাঁর উইকেট নিয়ে মানরক্ষা করেছেন। শামি বললেন, আমি সুযোগের অপেক্ষায় ছিলাম। ক্যাচ পড়ে যাওয়ার পর খুব খারাপ লেগেছে। কিন্তু হাল না ছেড়ে শেষ পর্যন্ত লড়ে গিয়েছি।

মুম্বইয়ে রাতের দিকে যে শিশির পড়ে, সেটা এদিন কমই ছিল। শামি বলছেন এতে তাঁদের সুবিধা হয়েছে। না হলে বল গ্রিপ করতে অসুবিধা হত। কিন্তু এমন ৫৭ রানে ৭ উইকেটের গোপন রহস্য কী? শামি জানালেন, উইকেটে ঘাস ছেঁটে ফেলার পর তাঁরা সুবিধা পেয়েছেন। বল আরও স্লো হয়েছে। নিউজিল্যান্ড ব্যাটারদের তাতে খেলতে অসুবিধা হয়েছে।

সাদা বলের ক্রিকেটে একসময় ব্রাত্য ছিলেন। কিন্তু এই নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধেই দ্বিপাক্ষিক সিরিজে দলে ফিরেছিলেন। শামি অবশ্য আর পিছন ফিরে তাকাতে চান না। পাখির চোখের মতো বিশ্বকাপকেই দেখছেন এখন।

আরও পড়ুন- ‘বিরাট’ ইনিংসে মাতল বলিউড! ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে তারকার মেলা, ফাইনালে ভারত

Previous articleবিরাটের দিনেও ‘ফোকাসে’ শামি! ওয়াংখেড়েতে কিউই ব.ধ করে বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারত
Next article৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন