শুক্রবার থেকে গাজায় শুরু যু.দ্ধবিরতি! নেতানিয়াহুকে একগুচ্ছ শর্ত হা.মাসের

তবে বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, হামাসের দাবি, ইজরায়েলের জেলে বন্দি ১৫০ প্যালেস্টাইনিকে মুক্তি দিতে হবে। তার বদলে চার দিনে ৫০ জন পণবন্দিকে ছাড়া হবে।

প্রথমে স্থির হয়েছিল বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হবে যুদ্ধবিরতি (ceasefire)। কিন্তু শেষমেশ শুক্রবার থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার কথা বিধ্বস্ত গাজা (Gaza) ভূখণ্ডে। বৃহস্পতিবারই কাতারের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি জানিয়েছিলেন, শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হবে। এদিকে সরকারি ভাবে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা হলে টানা সপ্তম সপ্তাহ ধরে চলা সংঘর্ষে খানিকটা লাগাম পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে ইজরায়েল (Israel) সরকার জানিয়েছে, চুক্তির শর্ত মাথায় রেখে হামাস (Hamas) ইজরায়েল থেকে অপহরণ করা ২৪০ জনের মধ্যে অন্তত ৫০ জনকে মুক্তি দেবে। এ ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে ১৩ জন মহিলা এবং শিশুকে। তবে তার বিনিময়ে ইজরায়েলের জেলে বন্দি (Hostage) ঠিক কত জন প্যালেস্টাইনিকে মুক্তি দেওয়া হবে, তা এখনও স্পষ্ট করে জানানো হয়নি।

এদিকে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার আগেও হামাসকে নিয়ে চিন্তা থেকেই যাচ্ছে ইজরায়েলের। ইজরায়েলি সেনার মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতির অজুহাতে হামাস গাজায় সন্ত্রাস শুরু করতে পারে। তবে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু অবশ্য আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, সংঘর্ষ বিরতি শেষ হওয়ার পরে তাঁরা হামাসের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে চান।

তবে বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, হামাসের দাবি, ইজরায়েলের জেলে বন্দি ১৫০ প্যালেস্টাইনিকে মুক্তি দিতে হবে। তার বদলে চার দিনে ৫০ জন পণবন্দিকে ছাড়া হবে। শুধু তাই নয়, তারা শর্ত দিয়েছে, প্রতি এক জন পণবন্দি পিছু তিন জন প্যালেস্টাইনিকে মুক্তি দিতে হবে। তবে হামাসের এই শর্তে ইজরায়েল রাজি হবে কি না, তা নিয়েই জোর চর্চা চলছে। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু আবার পাল্টা শর্ত হামাসের সামনে রেখেছেন। তিনি জানিয়েছেন, প্রতি ১০ পণবন্দির মুক্তিতে অতিরিক্ত এক দিন যুদ্ধবিরতি রাখা হবে। তবে নেতানিয়াহুর এই শর্তে হামাস কি রাজি হবে কী না এখন সে দিকেই তাকিয়ে আন্তর্জাতিক মহল।

 

 

 

 

Previous articleমুক্তির আগেই ১০০ কোটির ক্লাবে শাহরুখের ‘ডাঙ্কি’!
Next articleরাজস্থানে ভোটের আগের দিনও গেহলট-পাইলেট দ্ব.ন্দ্ব, মুখ্যমন্ত্রীর মুখ নিয়ে ধোঁয়াশা কংগ্রেসে