আগামী ৪৮ ঘণ্টায় আরও শ.ক্তি বাড়িয়ে ভূখণ্ডের কাছাকাছি ঘূর্ণিঝ.ড় ‘মিগজাউম’

আরও শক্তি বাড়িয়ে প্রবল বেগে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দক্ষিণ ভারতের দুই রাজ্য তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশে আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড়টি। যার প্রভাবে বাংলা এবং ওড়িশায় প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যেই, উপকূল জুড়ে বাড়ানো হয়েছে সতর্কতা। এদিকে মঙ্গলবার পর্যন্ত ওড়িশা এবং অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু এবং পুদুচেরিতে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

তামিলনাড়ু রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই মানুষকে সতর্ক করে বিপজ্জনক স্থান এড়িয়ে চলা এবং সমুদ্রের আশেপাশে ‘সেলফি’ না তুলতে কড়া নির্দেশিকা জারি করেছে। এছাড়া অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকায় বসবাসকারীদের জেলা ও স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় ত্রাণ শিবিরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে খবর। জাতীয় আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। যা অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তামিলনাড়ুর উপকূলীয় অঞ্চলগুলির জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। অন্যদিকে, আগাম সতর্কতা অবলম্বন করে রবিবার থেকে বুধবার পর্যন্ত তামিলনাড়ু থেকে ১০০ টিরও বেশি দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল করেছে দক্ষিণ-পূর্ব রেল।

আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়ে ঘূর্ণিঝড়টি ক্রমশ শক্তি বাড়িয়ে সমতলের দিকে এগোচ্ছে। ‘মিগজাউম’ নামের ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে তামিলনাড়ুর নেল্লোর এবং অন্ধ্রপ্রদেশের মছলিপত্তনমের কাছাকাছি কোনও সমতলে। আশঙ্কা করা হয়েছে, ল্যান্ডফলের সময় ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ৮০ থেকে ৯০ কিলোমিটার। এদিকে বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ আরও তীব্রতর হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়েছে এবং ৩ ডিসেম্বর সকালের মধ্যে তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এই মুহূর্তে গভীর নিম্নচাপটি চেন্নাই থেকে প্রায় ৪২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে বিরাজ করছে। এটি একটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পরে, ৪ ডিসেম্বর সকালের মধ্যে দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশ এবং সংলগ্ন উত্তর তামিলনাড়ুর জলসীমায় পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে এবং তারপরে উপকূলে সমান্তরালভাবে সরে যাবে এবং একদিন পরে নেলোর এবং মাছিলিপত্তনমের মধ্যে ল্যান্ডফল করবে। এছাড়াও ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় তামিলনাড়ুর চার জেলা এবং দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশের পক্ষ থেকে এনডিএমএ-এর সাহায্য চাওয়া হয়েছে। উভয় রাজ্যেই সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সোমবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের উপকূল ও ওড়িশা সংলগ্ন জেলাগুলিতে আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে পারে। বুধবার ও বৃহস্পতিবার হাল্কা বৃষ্টি হতে পারে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, কলকাতা, হুগলি, ঝাড়গ্রামে।

 

 

Previous articleহায়দরাবাদকে ২-০ গোলে হারিয়ে কী বললেন জুয়ান?
Next articleঐশ্বর্যর সঙ্গে বি.চ্ছেদ পাকা? জল্পনা উস্কে দিল অভিষেকের সাম্প্রতিক ছবি