দ্রুত বকেয়া আদায়ে হবে কেন্দ্র-রাজ্য বৈঠক, সময়সীমা বেঁধে সমস্যার সমাধানে জোর মুখ্যমন্ত্রীর

একশো দিনের কাজের টাকা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সঙ্গে বৈঠকে (Meeting) আওয়াজ তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। দ্রুত বকেয়া দেয় কেন্দ্র ও রাজ্যের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা বসে বৈঠক করবেন সময়সীমা বেঁধে সমাধানে জোর দিয়েছে তৃণমূল (TMC)। মঙ্গলবার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের মধ্যে একমাত্র বাংলা যাদের জন্য কেন্দ্রীয় বাজেটে ১০০ দিনের টাকা বরাদ্দ করা হয়নি। বুধবার নয়া সংসদ ভবনে তৃণমূলে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)-সহ নয় তৃণমূল সাংসদ নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, কেন্দ্র ও রাজ্যের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা আলোচনা করে সমাধান সূত্র বের করবেন বলে এদিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বাংলার দাবি নিয়ে ফের আওয়াজ তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, “দেশের মধ্যে একমাত্র বাংলা ১০০ দিনের টাকা পাচ্ছে না। আবাস যোজনার টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রেও টাকা বন্ধ করে দিয়েছে।” কেন্দ্রকে তীব্র আক্রমণ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ১৫৫ টা কেন্দ্রীয় দল বাংলায় পরিদর্শন করেছে কিন্তু কোন ত্রুটি খুঁজে পায়নি। কেন্দ্রীয়দলকে রাজ্যের তরফে সব ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। তারপরেও টাকা দেয়নি কেন্দ্র। এক লাখ ১৬ হাজার কোটি টাকা বাকি বাংলার বকেয়া। গরিবের টাকা বন্ধ করে রাখা ঠিক নয়- উস্মা প্রকাশ করে বলেন মমতা।

বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি আগেও তিনবার প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে দেখা করেছি, এবারও দেখা করলাম। প্রধানমন্ত্রী আজ বলেছেন তাদের আধিকারিক এবং আমাদের আধিকারিক মিলে যৌথ বৈঠক করবে”। এই বিষয় তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এটার একটা সময়সীমা থাকা উচিত। সেই কথা সমর্থন করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন দ্রুত বৈঠক করে সমস্যার সমাধান করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী সব কথা মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন। এদিন বেলা ১১ টা থেকে ২৫ মিনিট প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক হয়। ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, শতাব্দী রায়-সহ দশ জন সাংসদ।

তৃণমূলের তরফ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে যে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন এর অন্তর্গত গ্রামীণ এবং গুরুত্বপূর্ণ জনস্বাস্থ্য কর্মসূচির জন্য তহবিল সরবরাহ করে। আশা কর্মী, গর্ভবতী মহিলাদের সরাসরি অর্থ প্রদান, অ্যাম্বুলেন্স এর পরিষেবা, বিনামূল্যে ডায়ালাইসিস এবং ডায়াগনস্টিক পরিষেবা, ইমিউনাইজেশন পরিষেবা ইত্যাদি প্রদান করে। এই তহবিলটি জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের অধীনে নিয়োজিত ২১,৫০০কর্মীদের অর্থ প্রদানের জন্যও ব্যবহৃত হয়।

অথচ গত অর্থবছর ২০২২-২৩এর শেষ ত্রৈমাসিক থেকে, কেন্দ্রের অনুদান অনিয়মিত হয়েছে। আমরা এখনও পর্যন্ত মোট ১৬১৪ কোটি টাকার মধ্যে ৫৫৭ কোটি টাকা পাইনি। চলতি অর্থবর্ষে এখনো পর্যন্ত ১৬৭৪ কোটি টাকার মধ্যে আমরা পেয়েছি শুধুমাত্র ৫৩৫.৫৬ কোটি টাকা।

ব্যয় সম্পর্কিত সমস্ত মানদণ্ড এবং অন্যান্য শর্তাবলী পূরণ করা সত্ত্বেও। এনএইচএম এর খাতে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর, থেকে কোনও অর্থ রিলিজ করা হয়নি। সম্প্রতি, এনএইচএমের ডাইরেক্টরের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছে, বলা হয়েছে ফান্ড রিলিজ করা যাবে না
স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা কেন্দ্রগুলির ব্র্যান্ডিং করা হবে বিশেষভাবে কেন্দ্রের নিয়ম অনুযায়ী। বিশেষত রংয়ের ক্ষেত্রে ।

 

 

 

Previous articleফের শহরে অ.গ্নিকাণ্ড! পু.ড়ে ছাই দোকানঘর, ঝ.লসে মৃ.ত্যু বৃদ্ধার
Next articleপ্রেসিডেন্ট হওয়ার ‘অযোগ্য’! নির্বাচনের আগেই সুপ্রিম নির্দেশে অ.ন্ধকারে ট্রাম্পের ভবিষ্যৎ