উৎসবকে আরও রঙিন করে বড়দিনেই শুরু সঙ্গীতমেলা

গোটা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় পাঁচ হাজারেরও বেশি সঙ্গীতশিল্পী, সঞ্চালক, যন্ত্রশিল্পী অংশ নেবেন এই উৎসবে

জাঁকিয়ে শীতকে উপভোগ করতে বাঙালি যখন হৈ হৈ করে বেরিয়ে পড়েছে, ঠিক তখনই বাঙালির উৎসবে নতুন পালক জুড়তে চলেছে রাজ্য সরকার। প্রতিবছরের মতো এবছরও বড়দিনের (Christmas) দিনই উদ্বোধন হতে চলেছে বাংলা সঙ্গীতমেলা ও বিশ্ববাংলা লোকসংস্কৃতি উৎসব। এবছর ১১টি মঞ্চে গোটা শহরজুড়ে পরিবেশিত হবে বাংলা সংস্কৃতির গ্রাম থেকে শহরের সবধরনের ফ্লেভার।

২৫ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন বিকাল ৫টা থেকে শুরু হবে গান ও লোকসংস্কৃতির (folk culture) অনুষ্ঠান। রবীন্দ্রসদন, শিশির মঞ্চ, মহাজাতি সদন, হেদুয়া পার্ক, মধুসূদন মুক্তমঞ্চ, একতারা মুক্তমঞ্চ, দেশপ্রিয় পার্ক, নেতাজিনগরের ঋষি অরবিন্দ পার্ক মুকুন্দপুর ফুটবল মাঠ, রাজ্য সঙ্গীত আকাদেমি মুক্তমঞ্চ এবং চারুকলা পর্ষদ সংলগ্ন মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠান দেখার সুযোগ পাবেন সাধারণ মানুষ।

গোটা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় পাঁচ হাজারেরও বেশি সঙ্গীতশিল্পী, সঞ্চালক, যন্ত্রশিল্পী অংশ নেবেন এই উৎসবে। একদিকে যেমন থাকবে বাংলা ব্যান্ডের নবীনতম সদস্য, তেমনই শোনা যাবে প্রবীণ প্রজন্মের ব্যান্ডের গানও। আর এই বাংলা ব্যান্ডের গান শুনতে যেতে হবে দেশপ্রিয় পার্কে।

বাংলার ঐতিহ্যবাহী শিল্প ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে প্রতিদিন দুপুর ২টো থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত গগনেন্দ্র প্রদর্শশালায় ‘বাংলার আদিবাসী হস্তশিল্প’ নামে একটি প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাংলা সঙ্গীতমেলা উপলক্ষে রবীন্দ্রসদন- নন্দন প্রাঙ্গণে অস্থায়ী স্টল তৈরি করে গান নিয়ে বই, রকমারি হস্তশিল্পের প্রদর্শনী ও বিক্রয়ের ব্যবস্থা। সেই সঙ্গে থাকছে বাহারি খাবারের স্টল।

Previous article২৭ লক্ষ টাকার সদুত্তর দিতে পারলেন না বিকাশরঞ্জন
Next article৪৮ ঘণ্টায় গাজায় মৃত ৩৯০ জন, কড়া হুঁশিয়ারি নেতানিয়াহুর