হারের হ‍্যাটট্রিক মোহনবাগানের, কেরালার কাছে হেরে কী বললেন বাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো?

হারের কারণ জানিয়ে ফেরান্দো বলেন,"গত সাত দিনে আমরা চারটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলেছি। নর্থইস্ট, মুম্বই, গোয়া ও কেরালার বিরুদ্ধে। যখন একেকটা ম্যাচে আমরা তিন-চারজন করে খেলোয়াড়কে খুইয়েছি

আইএসএল-এ হারের হ‍্যাটট্রিক মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট-এর। গতকাল কেরালা ব্লাস্টার্সের কাছে ১-০ গোলে হারতেই হারের হ‍্যাটট্রিক করে জুয়ান ফেরান্দোর দল। আইএসএলে মুম্বই সিটি এফসি, এফসি গোয়া ও কেরালা ব্লাস্টার্সের কাছে পরপর হারল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। যা বিগত কোন আইএসএলেই হয়নি মোহনবাগানের সঙ্গে। মোহনবাগানের এমন পারফরম্যান্স নিয়ে উঠছে সমালোচনা। বাগানের এমন পারফরম্যান্সে হতাশ কোচ জুয়ান ফেরান্দো।

হারের কারণ জানিয়ে ফেরান্দো বলেন,”গত সাত দিনে আমরা চারটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলেছি। নর্থইস্ট, মুম্বই, গোয়া ও কেরালার বিরুদ্ধে। যখন একেকটা ম্যাচে আমরা তিন-চারজন করে খেলোয়াড়কে খুইয়েছি, তখন সব কিছুই কঠিন মনে হয়েছে। মনে হয়েছে সবাই আমাদের বিরুদ্ধে। এখন আমরা খুবই খারাপ অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। সময় যত গড়াবে, ততই এই দুঃসময়টা আশা করি কেটে যাবে।”

এরপরই জুয়ান আরও বলেন,”যে খেলোয়াড়রা চোট পেয়ে বসে রয়েছে, তারা মাঠে না ফিরলে এই সমস্যার সমাধান করা যাবে না। গত তিন ম্যাচে আমরা কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে খেলেছি। চোট-আঘাত, কার্ড সমস্যায় জর্জরিত ছিলাম আমরা। আমাদের এখন চোট-আঘাত সেরে ওঠার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। আশা করি, আর কোনও চোট হবে না। তবে এত সমস্যার মধ্যেও দল কিন্তু লড়ছে। আজ যেমন দ্বিতীয়ার্ধে লড়াই করেছে ছেলেরা। এটা অবশ্যই ইতিবাচক ব্যাপার।”

কেরালা ম‍্যাচে দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে অন্য মোহনবাগানকে দেখা যায়। বিশেষ করে আক্রমণে। প্রথমার্ধে যেখানে কোনও শটই নিতে পারেনি দল, সেখানে দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম ১৫ মিনিটে মধ্যে চারটি শট নেয় মোহনবাগান, যার মধ্যে একটি ছিল গোলে। কিন্তু কেন প্রথমার্ধে তাঁর দল ভাল পারফরম্যান্স দেখাতে পারেনি, তা নিয়ে কোচ বলেন, “প্রথমার্ধে পরিস্থিতি খুবই কঠিন ছিল। একে তো গত ম্যাচে হেরে আমরা এই ম্যাচে নেমেছিলাম। অনেকেই ছোটখাটো চোট নিয়ে খেলতে নেমেছিল, যার ফলে তাদের আত্মবিশ্বাসও কম ছিল। এক গোল খেয়ে যাওয়ার পরে একটা ভয়ও কাজ করেছে আমাদের খেলোয়াড়দের মনে। আরও বড় ব্যবধানে হারার ভয়।”

তবে দ্বিতীয়ার্ধে যেভাবে খেলায় ফেরে মোহনবাগান, তাতে খুশি বাগান কোচ। এই নিয়ে তিনি বলেন,”দ্বিতীয়ার্ধে যে লড়াইটা করেছে ওরা, তাতে আমি খুশি। ওই সময়ে মাথা ঠাণ্ডা রেখে ঝুঁকি নেওয়াটা জরুরি ছিল ঠিকই। কিন্তু বেশ কঠিন ছিল। ওরা যে সেই ঝুঁকিটা নিতে পেরেছে, এটাই অনেক। দ্বিতীয়ার্ধের পারফরম্যান্সের পর আশা করি, দলের ছেলেরা সামান্য হলেও আত্মবিশ্বাস ফিরে পাবে। আমাদের এরপর সুপার কাপের প্রস্তুতি নিতে হবে। তখন এই সামান্য আত্মবিশ্বাসটা কাজে লাগবে আমাদের। এরপরে আমরা হাতে সময় পাব। এই সময়ে আশা করি দলের ছবিটা অনেকটাই পাল্টে যাবে এবং পরের পর্যায়ে আশা করি আমরা ছন্দে ফিরে আসব।”

আরও পড়ুন:পন্থের সঙ্গে প্র.তারণা করা ক্রিকেটার গ্রে.ফতার পুলিশের জালে

 

 

Previous articleরুশ সেনা থেকে ‘উধাও’ শতাধিক নেপালি! ক্রেমলিনের কাছে জবাব তলব নেপালের
Next articleগৃহবধূরা বেকার নন,সংসারে ওঁদের কাজের আর্থিক মূল্যও রয়েছে: নির্দেশ হাই কোর্টের