আজ কী ঘটেছিল?

লক্ষ্মীনারায়ণ রায়চৌধুরি(১৮৬৬-১৯৩৩) এদিন জন্মগ্রহণ করেন। ভারত উপমহাদেশের প্রথম পেশাদার আলোকচিত্রী-চিত্রকরদের মধ্যে অন্যতম। তিনি ১৮৬৬ সালে লাহোর শহরে রায়চৌধুরি অ্যান্ড কোম্পানি-ফোটোগ্রাফার্স অ্যান্ড আর্টিস্টস নামে একটি সংস্থা স্থাপন করেন। বাড়িতে একটি ছোট ঘরকে ডার্করুম হিসাবে ব্যবহার করতেন। এর আগে মুখাবয়ব এঁকে তা থেকে তিনি তৈলচিত্র তৈরি করতেন। রাজপরিবারের সদস্যদের বেশ কিছুক্ষণ তাঁর সামনে বসে থাকতে হত এবং সে-কারণে তাঁরা বিরক্ত হতেন। পর্দাপ্রথার কারণে রাজপরিবারগুলিতে মহিলা সদস্যদের তৈলচিত্র আঁকতে লক্ষ্মীনারায়ণের অসুবিধা হত। ক্যামেরা কিনে ব্যবসা শুরু করার পর আর সে-সব সমস্যা রইল না।

১৮৫৯ লর্ড কার্জন (১৮৫৯-১৯২৫) এদিন জন্ম গ্রহণ করেন। পুরো নাম জর্জ নাথানিয়েল কার্জন। তিনি ছিলেন ডার্বিশায়ারের চতুর্থ ব্যারন স্কার্সডেলের জ্যেষ্ঠ পুত্র। ১৮৯৯ থেকে ১৯০৫ পর্যন্ত ভারতের ভাইসরয় ছিলেন। ১৯০৫ সালে অবিভক্ত বাংলা প্রেসিডেন্সিকে বিভাজন করা তাঁর তুমুল সমালোচিত সিদ্ধান্তগুলির অন্যতম। ডেনিস জাড তাঁর ‘দ্য লায়ন অ্যান্ড দ্য টাইগার- দ্য রাইস অ্যান্ড ফল অফ দ্য ব্রিটিশ রাজ, ১৬০০-১৯৪৭’ বইয়ে লিখেছেন, ‘কার্জনের আশা ছিল, ভারতকে চিরকাল রাজশাসনের অধীনে রাখা যাবে। কিন্তু তাঁর বাংলাভাগ পরবর্তীতে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনকে শক্তি জোগায়।’

১৯৬৬ লালবাহাদুর শাস্ত্রী (১৯০৪-১৯৬৬) এদিন তাসখন্দের হোটেলে মারা যান। ভারতের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী। তাসখন্দ থেকে নিয়ে এসে তাঁর দেহ যখন দিল্লি বিমানবন্দরে নামানো হয় তখন গোটা শরীরটা নীল হয়ে গিয়েছিল। দেখে স্তম্ভিত হয়ে যান অনেকেই। মুখটা পর্যন্ত নীল। কপালের দু’পাশে স্পষ্ট সাদা ছোপ। ওই অবস্থা দেখে স্ত্রী ললিতা শাস্ত্রী তখনই বলেছিলেন, ‘‘এটা স্বাভাবিক মৃত্যু নয়।” যদিও ৬১ বছর বয়সি লালবাহাদুর শাস্ত্রী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন বলেই সে-সময় সরকারি ভাবে ঘোষণা করা হয়েছিল।

১৯২৮ টমাস হার্ডি (১৮৪০-১৯২৮) এদিন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ইংরেজ কথাশিল্পী, নাট্যকার ও কবি। কবিতা লেখার পাশাপাশি উপন্যাস লিখে সারা বিশ্বে তাঁর জীবৎকালেই বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। বর্তমানেও তিনি সমানভাবে বিশ্বে সমাদৃত। কথাশিল্পী হিসেবে তাঁর গভীর জীবননিষ্ঠা, বাস্তববাদ, কৌতুকবোধ ও মনস্তাত্ত্বিক পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা তাঁকে বিশ্বের প্রথম সারির লেখকে পরিণত করেছে। টেস অফ দ্য ড’আরবারভিলস, ফার ফ্রম দ্য ম্যডিং ক্রাউড, দ্য মেয়র অফ কাস্টারব্রিজ, জুড দ্য অবসকিউর তাঁর জনপ্রিয় উপন্যাস।

 

১৮৮১ মাখনলাল সেন (১৮৮১-১৯৬৫) এদিন ঢাকার সোনারঙে জন্মগ্রহণ করেন। এমএ পড়ার সময় বিপ্লবী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। পুলিনবিহারী দাস গ্রেফতার হওয়ার পর অনুশীলন সমিতির নেতা হন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা বিভাগে যোগ দেন। ঢাকার সোনারং ন্যাশনাল স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।

২০০৮ এডমন্ড হিলারি (১৯১৯-২০০৮) এদিন প্রয়াত হন। নিউজিল্যান্ডের একজন পর্বতারোহী এবং অভিযাত্রী। ১৯৫৩-র ২৯ মে তিনি ব্রিটিশ অভিযাত্রী দলের অংশ হিসেবে শেরপা তেনজিং নোরগের সঙ্গে এভারেস্টের চূড়ায় ওঠেন। দুনিয়ার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এভারেস্টে সেই প্রথম মানুষের পদচিহ্ন পড়ল।

Previous articleমেসিকে নিয়ে তোপ পিএসজির সভাপতির, কী বললেন তিনি?
Next articleকেন আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে নেই শ্রেয়স-ঈশান? মুখ খুললেন দ্রাবিড়