রামকে হা.তিয়ার করেও বিফলে চেষ্টা! ফ্লপ গ.দ্দার শুভেন্দুর ‘ভ.ণ্ডামি’-র চ.ক্রান্ত

মাথায় জোড়া প্ল্যান থাকলেও তা কাজে লাগল না। রামের নামে বিজেপির (BJP) ভণ্ডামিকে একেবারেই পাত্তা দিল না বাংলা (West Bengal)। সোমবার সেই ছবিই সামনে এল। এদিন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা গদ্দার শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) রামের (Ram) নামে ধর্মীয় ভেদাভেদের লক্ষ্যে শহরের রাজপথে অনেক ছোটাছুটি করলেও মরসুমের শীতলতম দিনে সামান্য উত্তাপও ছড়াতে ব্যর্থ শুভেন্দু। বিগত কয়েকদিন ধরে লাগাতার চেষ্টা করেছেন দলের হাইকম্যান্ডের চোখে একটু নিজের দাপাদাপির প্রমাণ দিয়ে নিজের আখের গোছাবেন। কিন্তু তা আর হল কই? সোমবার রামমন্দির প্রতিষ্ঠা উপলক্ষ্যে কলকাতায় (Kolkata) এক মিছিলের আয়োজন করেছিলেন গদ্দার শুভেন্দু। মাথায় গেরুয়া তিলক, গায়ে গেরুয়া বসন, হাতে গেরুয়া পতাকা নিয়ে বুক ফুলিয়ে সপ্তাহের প্রথম কর্মব্যস্ত দিনে শহরকে অচল করতে রাস্তায়ও নেমেছিলেন। কিন্তু হাতে গোনা বিজেপি সমর্থক ছাড়া এদিন শুভেন্দুর ধর্মের নামে এই বিভাজনের খেলায় একেবারেই পাত্তা দেননি মানুষ। অগত্যা নিজেই একটু ছোটাছুটি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় একেবারে বাঘ হয়ে উঠলেন শুভেন্দু। লিখলেন, কলকাতায় (Kolkata) গেরুয়া সুনামি।

মূলত দুই কারণে এদিনের যাত্রা শুভেন্দুর। প্রথমত, যেভাবেই হোক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এদিনের ‘সংহতি মিছিল’ বানচাল করতে হবে।

দ্বিতীয়ত, লোকসভা নির্বাচনের আগে ধর্মের সুড়সুড়ি দিয়ে বাংলায় বিভাজনের জোর চেষ্টা। তবে এদিন শুভেন্দুর উদ্দেশ্য বা বিধেয় যাই থাকুক রাজনৈতিক মহলের মতে, যেখানে অযোধ্যায় ‘দেশের প্রধান পুরোহিত’ নরেন্দ্র মোদি রামমন্দির দেশের মানুষকে ভুল বুঝিয়ে রামমন্দির উদ্বোধন করলেন, চেষ্টা করলেন লোকসভা ভোটের আগে ফাটকা খেলে মানুষের মন কিছুটা হলেও বুঝতে। সেখানে বাংলায় বিজেপির তথৈবচ হাল হলেও ঘোলা জলে মাছ ধরতে গদ্দার সাউডলাইনে বসে থাকবেন তা হয় নাকি? আর সেকারণে সকাল সকাল উত্তর কলকাতার গণেশ টকিজের বৈকুণ্ঠপুর মন্দির থেকে চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ের রাম মন্দির পর্যন্ত যাবে রামের নামে শোভাযাত্রায় পা মেলান শুভেন্দু। এদিন একেবারে ঢাক ঢোল পিটিয়ে , মা দুর্গার ছবি নিয়ে শহরের বুকে রীতিমতো সার্কাস দেখালেন বিরোধী দলনেতা। কলকাতা হাই কোর্টের অনুমতি পেয়ে শুভেন্দুর দেখানো পথে এদিনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে শ্রীরাম সেনা। তবে বাংলার মানুষের কাছে সেই অনুষ্ঠানের গ্রহণযোগ্যতা নিয়েই উঠল প্রশ্ন।

সোমবার অযোধ্যায় উদ্বোধন হল রাম মন্দিরের। রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর শুধু অযোধ্যায় নয়, এদিন রামের ঘাড়ে সবকিছু চাপিয়ে কার্যত গোটা দেশেই ‘রামরাজ্য’ তৈরির একটা প্রয়াস থাকলেও, বাংলার মানুষ যে এসব ঘৃণ্য রাজনীতিতে নেই তা শুভেন্দুর মিছিল দেখেই স্পষ্ট। উল্লেখ্য, সোমবার কলকাতায় সব ধর্মের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ‘সংহতি মিছিলে’ পা মেলান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলায় যে ধর্মের রাজনীতি বরদাস্ত করা হবে না সেই বার্তা দিতেই তৃণমূল নেত্রীর এমন বিশেষ ভাবনা। তবে এর সঙ্গে রামমন্দির উদ্বোধনের কোনও যোগাযোগ নেই বলেই আগেই জানিয়েছিলেন মমতা। এদিনের মিছিলে মানুষের উপস্থিতি আরও একবার বিজেপিকে বার্তা দিল বাংলা আর যাই হোক বিভাজনের রাজনীতি বরদাস্ত করবে না।

 

 

 

Previous articleঅযোধ্যায় মহাধূমধাম, তবে কোথায় গেলেন তিন খান
Next articleকালীঘাটে পুজো দিয়ে সংহতি যাত্রা মমতার, নেতৃত্বে অভিষেকও: জনপ্লাবনে ভাসল রাজপথ