আজকের দিনে কী ঘটেছিল? চলুন দেখে নেওয়া যাক

১৯৫০

ভারতের সংবিধান এদিন থেকে কার্যকর হয়। সাধারণতন্ত্র দিবস হিসেবে দিনটি পালিত হয়। সাধারণতন্ত্র হল সাধারণের জন্য সাধারণের তৈরি শাসনব্যবস্থা। ‘আমরা সবাই রাজা আমাদের এই রাজার রাজত্বে’। সংবিধান নাগরিকদের সেই অধিকার দিয়েছে। তাঁরা দাবি করতে পারেন রাষ্ট্রের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে প্রত্যেকের জন্য সমান ব্যবহার ও পক্ষপাতহীন নিরাপত্তা এবং মৌলিক প্রয়োজনগুলির। শাসক নিরপেক্ষ ভাবেই পারেন। কারণ, এই প্রজাদের ক্ষমতাতেই শাসকের ক্ষমতা নির্মিত হয়। নাগরিকেরও তেমন অধিকারের সীমা বুঝে নেওয়ার মতোই আছে কর্তব্য-দায়িত্ব। ক্ষমতা আর দায়িত্ব হাত ধরাধরি করে চলে বলেই অধিকারের সীমা জেনে নেওয়া জরুরি। নিরঙ্কুশ-নিঃসংশয় প্রশ্ন করার স্বাধীনতা চেয়েই তো একদিন পথে নেমেছিলেন পরাধীন ভারতের মানুষ। সংবিধান সেই পবিত্রতম গ্রন্থ, যা আমাদের নিজস্ব মত প্রকাশের আর অন্যের মতের প্রতি সহিষ্ণুতার কথা একই সঙ্গে লিপিবদ্ধ করেছে। প্রতিটি নাগরিকের সংশয়ের সব বিন্দু নিরসন করা আদর্শ হলেও হয়তো সব সময় সম্ভব নয়। কিন্তু গণতন্ত্রের মূল ভাবনা তো এটাই যে, সংখ্যাগুরুর সুর-স্বরের আড়ালে যেন সংখ্যালঘুর সুর-স্বর ঢেকে না যায়। তা না হলে যে সংগীতের, জাতীয় সংগীতের প্রাথমিক শর্তটিই বিঘ্নিত হয়! এ-শর্ত বজায় রাখার ঐতিহ্য ভারতের চিরকালীন আর তাকে মান্যতা দিতেই সাধারণতন্ত্রের উদযাপন। সম্প্রদায় নির্বিশেষে আমাদেরই পূর্বপ্রজন্ম স্বাধীনতার যুদ্ধে অংশ নিয়ে, চূড়ান্ত নির্যাতন সহ্য করে, প্রাণের মূল্যে এই স্বাধীনতা এনেছেন। তাই এই স্বাধীনতা, এই সাধারণতন্ত্র আমাদের প্রত্যেকের। ধর্মনিরপেক্ষ ভারতের মূল সুর ছুঁয়ে থাকুক আমাদের।

১৮৪৪

স্যার গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায় (১৮৪৪-১৯১৮) এদিন কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। কলকাতা হাইকোর্টের বাঙালি বিচারপতি ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভারতীয় উপাচার্য। ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দে ইংরেজ সরকার তাঁকে নাইটহুড এবং কলকাতা বিশ্বাবিদ্যালয় তাঁকে সম্মানসূচক ডক্টরেট উপাধি প্রদান করে । স্যার গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায় ‘জ্ঞান ও কর্ম’, ‘শিক্ষা’, ‘এ ফিউ থটস অন এডুকেশন’ এবং ‘দি এডুকেশন প্রবলেম ইন ইন্ডিয়া’ নামে চারটি বই লেখেন। যাদবপুর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।

২০১৮

সুপ্রিয়া দেবী (১৯৩৩-২০১৮) এদিন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বাংলা সিনেমায় মহানায়ক উত্তমকুমারকে ঘিরে যে নায়িকাবৃত্ত, তার প্রথম দুই নাম অবশ্যই সুচিত্রা সেন এবং সুপ্রিয়া দেবী। উত্তম-সুপ্রিয়ার সম্পর্ক একটা সময় বাংলা সিনেমা জগতের ‘হট টপিক’ ছিল। সোনার হরিণ, শুন বরনারী, উত্তরায়ণ, সূর্য্যশিখা, সবরমতী, মন নিয়ে-র মতো বহু ছবিতে উত্তমকুমারের বিপরীতে মুখ্য ভূমিকায় দেখা গিয়েছে তাঁকে। তবে তাঁর অভিনয় দক্ষতার সবচেয়ে আলোচিত দুই ছবি অবশ্যই ঋত্বিক ঘটকের ‘মেঘে ঢাকা তারা’ এবং ‘কোমল গান্ধার’। তাঁর লেখা ‘আমার উত্তম’ বইটি একসময় যথেষ্ট সাড়া ফেলেছিল। ২০১১ সালে বঙ্গবিভূষণ এবং ২০১৪-এ পদ্মশ্রী পুরস্কারে সম্মানিত করা হয় তাঁকে।

১৯৩০

এই দিনটিকে স্বাধীনতা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। মহাত্মা গান্ধী দিনটির নাম দিয়েছিলেন, ‘স্বতন্ত্রতা সংকল্প দিবস’। ১৯২৯ সালের বছর শেষে পূর্ণ স্বরাজ আনার শপথ নেওয়া হয় পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর নেতৃত্বে। এরপরেই ১৯৩০ সালের ২৬ জানুয়ারি প্রথম স্বাধীনতা দিবস পালিত হয়। পরে ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘটিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করে ভারত।

২০০১

গুজরাতের ভুজে ভয়ংকর ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৭.৭। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয় প্রায় ১২ লক্ষ ঘর-বাড়ি৷ প্রাণ হারান ১৩ হাজারেরও বেশি মানুষ৷ আহত হন লক্ষাধিক মানুষ। সে-সময় ওই ভূমিকম্পের প্রভাব পাকিস্তানের উপরও পড়েছিল।

 

 

 

Previous articleBreakfast news : ব্রেকফাস্ট নিউজ
Next articleএকনজরে আজকের পেট্রোল-ডিজেলের দাম