আজ সুপার কাপের ফাইনাল, ট্রফি জয় লক্ষ্য লাল-হলুদ

লাল-হলুদ তাঁবুতে শেষবার কোনও সর্বভারতীয় ট্রফি ঢুকেছিল প্রায় এক যুগ আগে। ২০১২ সালে ট্রেভর মর্গ্যানের কোচিংয়ে ফেডারেশন কাপ জয়ই জাতীয়

আজ সুপার কাপের ফাইনাল। ফাইনালে ইস্টবেঙ্গলের মুখোমুখি ওড়িশা এফসি। মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে আরও একটা সর্বভারতীয় ট্রফির ফাইনাল খেলতে নামছে ইস্টবেঙ্গল। ডুরান্ড কাপ ফাইনালে মোহনবাগানের কাছে হেরে রানার্স হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল ক্লেটন সিলভাদের। রবিবার সুপার কাপের ফাইনালে লাল-হলুদের প্রতিপক্ষ ওড়িশা এফসি। যারা আবার ঘরের মাঠে খেলবে। পাশাপাশি গতবারের চ্যাম্পিয়ন।

লাল-হলুদ তাঁবুতে শেষবার কোনও সর্বভারতীয় ট্রফি ঢুকেছিল প্রায় এক যুগ আগে। ২০১২ সালে ট্রেভর মর্গ্যানের কোচিংয়ে ফেডারেশন কাপ জয়ই জাতীয় স্তরে ইস্টবেঙ্গলের শেষ সাফল্য। কার্লোস কুয়াদ্রাত কি পারবেন ১২ বছরের ট্রফি-খরা কাটাতে! লাল-হলুদের স্প্যানিশ কোচ বলছেন, ‘‘ফুটবলাররা মানসিক ও শারীরিকভাবে খুব ভাল জায়গায় রয়েছে। এই টুর্নামেন্টে আমরা দুর্দান্ত ফুটবল খেলেছি। তবে ট্রফি জিততে না পারলে, সব পরিশ্রম ব্যর্থ হয়ে যাবে। ক্লাব অনেক দিন কোনও বড় ট্রফি জেতেনি। তাই আমার ফুটবলাররা সর্বস্ব দিয়ে ঝাঁপাবে। ডুরান্ড কাপ ফাইনালে হেরে গিয়েছিলাম। তাই এবার যেভাবেই হোক সুপার কাপ জিততে চাই।’’

কুয়াদ্রাতের জন্য সুখবর, জাতীয় দলের দুই ফুটবলার মহেশ সিং ও লালচুংনুঙ্গাকে ফাইনালে পাচ্ছেন। জোড়া কার্ডের জন্য সেমিফাইনাল খেলতে পারেননি স্প্যানিশ মিডফিল্ডার বোরহা হেরেরা। তিনিই রবিবার শুরু থেকে মাঠে নামবেন। তবে মহেশ ও লালচুংনুঙ্গাকে শুরু থেকেই খেলাবেন কিনা, সেই প্রশ্ন শনিবার হেসে এড়িয়ে গিয়েছেন লাল-হলুদ কোচ। তাঁর মন্তব্য, ‘‘সেরা দলই মাঠে নামবে।’’ একই সঙ্গে প্রতিপক্ষ সম্পর্কে কুয়াদ্রাতের মুখে সমীহের সুর। তিনি বলেন, ‘‘আমরা যেমন ধারাবাহিকভাবে ভাল খেলছি, তেমন ওড়িশাও খুব ভাল খেলছে। অনেকদিন ওরা কোনও ম্যাচ হারেনি। তাই ম্যাচটা আমাদের জন্য খুব কঠিন হতে চলেছে। দুর্ভাগ্যবশত একটা দলকে হারতে হবে। তবে আবারও বলছি, যেভাবেই হোক ট্রফি জিততে চাই।’’ ২০১৪ সালে সুপার কাপের ফাইনালে উঠেও বেঙ্গালুরু এফসির কাছে ১-৪ গোলে হেরে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। সেই সময় বেঙ্গালুরুর সহকারী কোচ ছিলেন কুয়াদ্রাত। তিনি বলছেন, ‘‘সেই সময়টা আলাদা ছিল। আমি ভাগ্যবান যে ইস্টবেঙ্গলের মতো ঐতিহ্যশালী ক্লাবের কোচ হতে পেরেছি।’’

এদিকে আজকের ম্যাচ নিয়ে ওড়িশার কোচ সের্জিও লোবেরা বলছেন, ‘‘ঘরের মাঠে খেলব, তাই জেতার জন্য দায়বদ্ধতা থাকছে। ইস্টবেঙ্গল শক্তিশালী দল। এই মুহূর্তে দলটা ভাল ছন্দে রয়েছে। তবে আমরা ফাইনালটা উপভোগ করতে চাই। এএফসি কাপে মোহনবাগান, বসুন্ধরা কিংসের মতো দলকে হারিয়েছি। এই টুর্নামেন্টে মুম্বই, গোয়ার মতো শক্তিশালী দলকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছি। কাপ জেতার জন্য আমার ফুটবলাররা নিজেদের দুশো শতাংশ উজাড় করে দেবে।’’

আরও পড়ুন- Breakfast Sport : ব্রেকফাস্ট স্পোর্টস


Previous articleনেতাজিকে ‘হাইজ্যাক’ করার চেষ্টা বর্তমান ‘হিন্দু’ শাসকের, ক্ষুব্ধ সুভাষ-কন্যা
Next articleEntertainment: ‘গুরুতর ‘ অসুস্থ মিমি! উদ্বেগ অনুরাগীদের