বিজেপি শাসিত রাজ্যে বেতন পাচ্ছেন না অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা!

বাজেটে বড় বড় প্রতিশ্রুতির বুলি কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Government) কিন্তু বাস্তবে কতটা ফল মিলছে। বিজেপির (BJP)ডবল ইঞ্জিন সরকার মানুষকে যে ক্রমাগত বঞ্চনা করে চলেছে ফের তার প্রমাণ মিলেছে মধ্যপ্রদেশে (MP)। বাজেটে কেন্দ্রের তরফে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহকারীদের জন্য বড় ঘোষণা করা হয়েছে, কিন্তু আসল ছবিটা হল এই কর্মীরা গত ৩ মাস ধরে প্রাপ্য বেতনই পাননি। একাধিকবার স্মারকলিপি জমা দেওয়া সত্ত্বেও সরকার সেই কথা কানেও তুলছে না বলেই অভিযোগ তাঁদের। মধ্যপ্রদেশের বিক্ষুব্ধ অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা (Anganwadi staff)বলছেন এর থেকে দিনমজুরি করাও ভাল ছিল।

শ্যামবতী ভারতী ভোপাল থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে ফান্দা কালানে থাকেন। অঙ্গনওয়াড়িতে কাজ করেন। অঙ্গনওয়াড়ি ছাড়াও অন্যান্য সরকারি প্রকল্পে কাজ করতে হয়। কিন্তু প্রাপ্য বেতন পান না।  শ্যামবতীর কথায়, বাড়ির অবস্থা ভাল নয়। স্বামী অসুস্থ, সন্তানের স্কুলের ফি দেওয়া যাচ্ছে না। ধার চাইতে গেলে বন্ধক রাখতে বলা হচ্ছে। তাঁর কথায় যদি সোনা বা গয়না থাকবে তাহলে কি এই কথা টাকার জন্য হাপিত্যেশ করার প্রয়োজন হত? আরেক কর্মী অরুণা কির বলছেন, আজকাল প্রতিবেশীরাও বিদ্রুপ করছেন। কাজ করি কিন্তু টাকা পাইনা। ‘লাডলি বেহনা’ প্রকল্পে টাকা দেওয়ার বাজেট আছে মোদি সরকারের কাছে কিন্তু শ্রমিকদের বেতন দেওয়ার বাজেট নেই, অভিমানী অরুণা। অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী গঙ্গা বলছেন,”আমরা প্রতি মাসে ৬৫০০ টাকা সম্মানী পাই, যা ৩ মাস ধরে পাইনি।” বৃহস্পতিবার ভোপালের কালেক্টরেট অফিসে স্লোগান ও বিক্ষোভ দেখান অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা। মহিলা ও শিশু উন্নয়ন অধি দফতরেরর কর্মকর্তা ও সুপারভাইজাররাও সময়মতো বেতন পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন।  প্রজেক্ট অফিসার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং ইউনাইটেড মোর্চা সংঘের আহ্বায়ক ইন্দ্রভূষণ তিওয়ারি বলেছেন, যে রাজ্যের ৩৫ টি জেলার ৬০ হাজারেরও বেশি অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী এবং সহকারীরা গত ৩ মাস ধরে সাম্মানিক পাননি। একইভাবে ৩০০ প্রকল্প কর্মকর্তা ও প্রায় তিন হাজার সুপারভাইজারও গত দুই মাসের বেতন থেকে বঞ্চিত। বেতন না পাওয়ায় সবার আর্থিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। এ বিষয়ে আমাদের ইউনিয়নের পক্ষ থেকে মন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। মোদি সরকার যতই সাধারণ মানুষের পাশে থাকার কথা বলুক, সবটাই যে ভোট সর্বস্ব তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।


Previous articleনরেন্দ্রপুরকাণ্ডে হাই কোর্টের একক বেঞ্চের নির্দেশে কোনও হস্তক্ষেপ করল না ডিভিশন বেঞ্চ
Next articleবেকায়দায় পড়ে ‘উভয়পক্ষের গ্রহণযোগ্য’ আসনবন্টনের পক্ষে সওয়াল কংগ্রেসের