আজকের দিনে কী ঘটেছিল? চলুন দেখে নেওয়া যাক

১৮৮১

ফিওদর দস্তয়েভস্কি (১৮২১-১৮৮১) এদিন শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। পৃথিবী ছেড়ে চলে যাওয়ার দু’মাস আগে দস্তয়েভস্কি সম্পূর্ণ করে গিয়েছিলেন তাঁর শেষ উপন্যাস ‘দ্য ব্রাদার্স কারামাজ়ভ’। সেই উপন্যাস তিনি উৎসর্গ করে যান আনাকে, যার হাত ধরে তিনি জিতেছিলেন অনেক বাজি। মানুষের মন বড় ভাল বুঝতেন দস্তয়েভস্কি, আর তাঁর মন নিয়ে মনস্তত্ত্ববিদরা এখনও মাথা ঘামিয়ে চলেছেন। তাঁর জুয়ার আসক্তিকে ‘কম্পালসিভ গ্যাম্বলিং’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। দারিদ্রের অন্ধকার গুহা থেকে বেরিয়ে আসার দুর্দম ইচ্ছে তাঁর জুয়া খেলার বড় কারণ। তবে দস্তয়েভস্কির চিঠিপত্র পড়লে বোঝা যায়, জুয়ায় জেতার ব্যাপারে এক অদ্ভুত আত্মপ্রত্যয় জন্ম নিয়েছিল তাঁর মনে। জুয়ার বাজি জেতার অলীক পারদর্শিতা নিয়ে তৈরি অদ্ভুত অহমিকা দস্তয়েভস্কির মতো জুয়াড়িদের জুয়ার টেবিলে টেনে নিয়ে যায়। ‘দ্য গ্যাম্বলার’ উপন্যাসের নায়কের মধ্যে ঠিক এই মানসিকতাই আমরা লক্ষ‌্য করি। এই অহমিকাতে ‘ক্রাইম অ্যান্ড পানিশমেন্ট’-এর নায়ক বিবেককে অগ্রাহ্য করতে চেয়েছিল, তার করুণ পরিণতিই উপন্যাসে দেখিয়েছেন দস্তয়েভস্কি।

 

১৮৭৯

রাজা সুবোধচন্দ্র বসু মল্লিক (১৮৭৯-১৯২০) এদিন জন্মগ্রহণ করেন। সুবোধচন্দ্র কোনও রাজপরিবারে জন্মাননি, রাজা উপাধিও পাননি। ১৯০৫ সালের ৯ নভেম্বর যখন বাংলায় ‘ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’ তৈরি নিয়ে কথা হচ্ছিল, তখন তিনি এক লক্ষ টাকা দান করেছিলেন ভিত্তিপ্রস্তরের জন্য। সেদিন থেকেই লোকমুখে তিনি পরিচিত ‘রাজা’ সুবোধ মল্লিক নামে। তিনি বাংলার গুপ্ত বিপ্লবী দলের নেতৃত্ব স্থানীয় ব্যক্তি ছিলেন।

১৯০৯

শৈল চক্রবর্তী (১৯০৯-১৯৮৯) এদিন জন্মগ্রহণ করেন। বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী, কার্টুনিস্ট ও ইলাস্ট্রেটর। পুত্র দীপক ওরফে চিরঞ্জিত স্বনামধন্য অভিনেতা ও বিধায়ক। শৈল চক্রবর্তী চিত্রকলায় স্বশিক্ষিত ছিলেন। দৈনিক বসুমতীর পাতায় শিবরাম চক্রবর্তীর কলম ‘বাঁকা চোখে’র সঙ্গে তাঁর কার্টুন বিশেষ জনপ্রিয়তা অর্জন করে। তিনিই একমাত্র শিল্পী যিনি রবীন্দ্রনাথের জীবদ্দশায় তাঁর লেখায় ইলাস্ট্রেশন করেন। শারদীয় আনন্দবাজার পত্রিকায় ১৩৪৭ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত হয় ‘ল্যাবরেটরি’। সেটিতে অলংকরণ শিল্পী ছিলেন শৈল। লেখক হিসেবেও কৃতী ছিলেন। যুগান্তর পত্রিকায় তাঁর লেখা মজাদার সায়েন্স ফিকশন প্রকাশিত হত। ‘ছোটদের ক্রাফট’ গ্রন্থের জন্য ভারত সরকারের তরফে তাঁকে রাষ্ট্রীয় পুরস্কার দেওয়া হয়। দেশে-বিদেশে তাঁর আঁকা ছবির প্রদর্শনীও হয়েছে।

১৯০২

মণীশ ঘটক (১৯০২-১৯৭৯) এদিন জন্মগ্রহণ করেন। সাহিত্যিক হিসেবে ‘কল্লোলে’ আত্মপ্রকাশ করেন তিনি যুবনাশ্ব ছদ্মনাম নিয়ে। “সে দিন যুবনাশ্বের অর্থ যদি কেউ করত ‘জোয়ান ঘোড়া’, তা হলে খুব ভুল করত না, তার লেখায় ছিল সেই উদ্দীপ্ত সরলতা।” লিখেছেন অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত তাঁর ‘কল্লোল যুগ’ গ্রন্থে। ভাই ঋত্বিক ঘটক, কন্যা মহাশ্বেতা দেবী, পুত্রবধূ গীতা ঘটক। ‘বর্তিকা’র শেষ শারদ সংখ্যার সম্পাদকীয়তে লিখেছিলেন, ‘আমার শেষ প্রার্থনা এই যে যাঁর লিখবার কিছু ক্ষমতা আছে তিনি অন্তত দিনে তিন ঘণ্টা আপনমনে লিখে যাবেন, রাতারাতি বড়লোক হবার আশা ত্যাগ করে’।

১৯৭৯ বনফুল (১৮৯৯-১৯৭৯) এদিন প্রয়াত হন। আসল নাম বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়। জন্ম বিহারের পূর্ণিয়া জেলার মনিহারি গ্রামে। সাহেবগঞ্জের স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন, হাজারিবাগের কলেজ থেকে আইএসসি। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারি পড়া আর প্যাথলজিতে শিক্ষানবিশির সময়টুকুই যা বাংলায় থাকা। ১৯২৭-এ বিয়ে, সংসারপাতা; আজিমগঞ্জের মিউনিসিপ্যাল হাসপাতালে চাকরি। তার দু’বছর পর ভাগলপুরে ল্যাবরেটরি খুলে ক্লিনিক্যাল প্যাথলজিস্ট হিসেবে প্র্যাকটিস শুরু করেছেন বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায় তথা বনফুল। বাংলার বাইরেই তাঁর ‘সিরিয়াস’ সাহিত্যজীবনেরও শুরু; বনফুলের ছেলে অসীমকুমার মুখোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘…প্রায় ৩৩ বছর বয়স থেকে নিয়মিত সাহিত্যচর্চা শুরু করলেও ৪০ বছর বয়সের মধ্যেই তিনি অতি বিখ্যাত হয়ে পড়েন’।

 

১৯৭৯ কমলকুমার মজুমদার (১৯১৪-১৯৭৯) এদিন চলে গেলেন। সাহিত্যিক ও শিল্পী। তাঁর প্রধান গল্প ‘নিম অন্নপূর্ণা’, ‘শ্যাম নৌকা’, ‘গোলাপ সুন্দরী’, ‘সুহাসিনীর পমেটম’ ইত্যাদি। ‘অন্তর্জলি যাত্রা’, ‘পিঞ্জরে বসিয়া সুখ’ ইত্যাদি তাঁর লেখা উল্লেখযোগ্য উপন্যাস। তাঁর ভাষা আপাতকঠিন হলেও শব্দসৌন্দর্য ও গভীরতায় অনেক লেখককে আকৃষ্ট করেছিল। ফরাসি সাহিত্যেও বিদগ্ধ ছিলেন।

 

 

 

 

Previous articleGold Silver Rate: আজ সোনা রুপোর দাম কত? জেনে নিন এক ঝলকে
Next articleরাজ্যে ফিরল শীত! সরস্বতী পুজোয় বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানাল হাওয়া অফিস