জাতীয় মহিলা কমিশনের মন্তব্য হাতিয়ার, সন্দেশখালি নিয়ে বিরোধীদের কুৎসার জবাব তৃণমূলের

সন্দেশখালিতে নারীনিগ্রহের অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন খোদ জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা! তাঁরা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, দিল্লিতে গিয়ে ধর্ষণ বা রাতের অন্ধকারে মহিলাদের তৃণমূলের পার্টি অফিসে ডাকার কোনও অভিযোগ গ্রামের মহিলাদের থেকে পাননি।

সন্দেশখালি নিয়ে বাম-বিজেপির নোংরা রাজনীতি ধোপে টিকল না! সন্দেশখালিতে নারীনিগ্রহের অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন খোদ জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা! তাঁরা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, দিল্লিতে গিয়ে ধর্ষণ বা রাতের অন্ধকারে মহিলাদের তৃণমূলের পার্টি অফিসে ডাকার কোনও অভিযোগ গ্রামের মহিলাদের থেকে পাননি। সুতরাং, বাংলাকে কালিমালিপ্ত করতে মা-বোনেদের ভুল বুঝিয়ে, তাঁদের ব্যবহার করছে বিজেপি! সন্দেশখালি নিয়ে সর্বত্র ভুয়ো প্রচার করা হচ্ছে! এভাবে বাংলাকে দমানো যাবে না!

এই প্রসঙ্গে বুধবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক থেকে বাম-বিজেপির মুখোশ খুলে দেয় তৃণমূল নেতৃত্ব। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “সন্দেশখালি নিয়ে ধারাবাহিকভাবে মিথ্যা অভিযোগ ও কুৎসা চলছে। যদি কোনও ব্যক্তি অন্যায় করে থাকে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ প্রশাসন। ব্যবস্থা নিচ্ছে দল। কিন্তু নারী নির্যাতনের নামে যে ভয়ঙ্কর, কুৎসিত ও মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে, আমরা তার বিরোধিতা করছি। জাতীয় মহিলা কমিশন পর্যন্ত বলছে, এমন অভিযোগ তাঁরা পাননি।”

কুণালের সংযোজন, “বিজেপির মুখপাত্র গৌরব ভাটিয়া বাংলাকে কালিমালিপ্ত করতে খুব কুৎসিত মন্তব্য করেছেন, বাংলাকে বদনাম করতে গিয়ে জঙ্গল রাজের কথা বলছেন। আমরা বলছি, বাংলা জঙ্গল রাজ নয়। জঙ্গল রাজ হল উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানা, কেন্দ্রের রিপোর্ট বলছে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতেও সবচেয়ে বেশি ধর্ষণ, নারী নির্যাতন, শিশু ও তপশিলিদের উপর অত্যাচার হয়। এবং প্রতিটি রাজ্য বিজেপির ডবল ইঞ্জিন।”

এদিন কেন্দ্রের তথ্য পরিসংখ্যান তুলে কুণাল বলেন, “কেন্দ্রের রিপোর্টে মহিলাদের উপর বেশি নির্যাতন হয় উত্তরপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রে। তপশিলিদের জাতি উপজাতিদের উপর বেশি অত্যাচার হয় উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানায়। সবচেয়ে বেশি অপহরণের ঘটনা হরিয়ানা ও অসমে। শিশুদের উপর নির্যাতনের এগিয়ে উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও মধ্যপ্রদেশে। উল্টোদিকে, কেন্দ্রের রিপোর্ট বলছে মহিলাদের জন্য দেশের মধ্যে সবচেয়ে নিরাপদ শহর কলকাতা। একসঙ্গে অনেকগুলি কুৎসাকে সামনে এনে বাংলার সুনাম নষ্ট করা হচ্ছে, বাংলার ভাবমূর্তি নষ্ট করা হচ্ছে।”

বিরোধীদের কুৎসার জবাব দিয়ে কুণাল আরও বলেন, “যদি কোনও ঘটনা ঘটে থাকে, মহিলারা নয় ভয়ে বললেন না। কিন্তু সিপিএমের নিরাপদ সরদার, বিজেপির বিকাশ সিং মুখে কুলুপ এঁটে বসেছিল। সম্পূর্ণ মিথ্যাচার। সন্দেশখালিতে যদি কোনও অভিযোগ থেকে থাকে, তাহলে সেটা সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত স্তরে। এর সঙ্গে রাজ্য সরকার বা রাজ্যের উন্নয়ন নিয়ে কোনও অভিযোগ নেই। দিল্লিতে বসে বাংলার নামে কুৎসা হচ্ছে। স্মৃতি ইরানি ধর্মের নামে সুড়সুড়ি দিচ্ছেন। গৌরব ভাটিয়ারা সাংবাদিক বৈঠক করে যে উস্কানি দিচ্ছেন, তাদের নামে মামলা হওয়া উচিত।”

অন্যদিকে, বিএসএফের গাফিলতিতে চোপড়ার চারটি শিশুর মৃত্যু হল, তা নিয়ে নিশ্চুপ। তাই আমাদের প্রশ্ন, চোপড়ার বিএসএফের গাফিলতিতে চারটি শিশুর মৃত্যু হল, তার জন্য কেন কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ইস্তফা দেবেন না?” রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, “আমাদের দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তৃণমূলের তরফে চোপড়ার চারটি পরিবারের হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বিএসএফ ক্যাম্পের বাইরে প্রতিবাদ চলছে।”

Previous articleআগামী মে মাসেই সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা, দিনক্ষণ ঘোষণা UPSC-এর
Next articleফের উত্তপ্ত মণিপুর: সেনা চৌকিতে হামলা জনতার, পাল্টা গুলিতে মৃত যুবক