প্রতিহিংসার রাজনীতির শিকার অনুব্রত! বীরভূমে দাঁড়িয়ে ইন্দিরার জরুরি-অবস্থা মনে করালেন মমতা

বীরভূমে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রের প্রতিহিংসার রাজনীতি নিয়ে সরব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রবিবার, সিউড়ির (Suri) সভা থেকে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) গ্রেফতারির প্রসঙ্গে তুলে নাম না করে বিজেপি-কে তুলোধনা করেন মমতা। আটের দশকে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর আমলে জারি করা এমার্জেন্সির প্রসঙ্গ তুলে কটাক্ষ করেন তিনি। প্রশ্ন তোলেন কতজন বিরোধীদলের নেতা গ্রেফতার হয়েছে? তাঁর কথায়, এখন বীরভূমের মানুষের মনে রয়েছেন ‘কেষ্ট’।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী মঞ্চে আসার সময়ই আশপাশ থেকে অনুব্রত মণ্ডলের নামে স্লোগান দেওয়া হয়। মঞ্চে বক্তৃতায় সেকথাও উল্লেখ করে তৃণমূল সভানেত্রী বলেন, “আমি তো আসতে আসতে দেখলাম ইয়ংরাও অনুব্রতর নাম করছে। আমি তো শিখিয়ে দিইনি।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) কথায়, “সিউড়ি, বীরভূমে চক্রান্ত করছে। কেষ্টকে কতদিন জেলে পুরে রেখে দিয়েছে। ওর নামে অভিযোগ থাকলে, আপনাদের নেতার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ আছে, কটা ব্যবস্থা নিয়েছেন।” বিনা বিচারে জেলে আটকে রাখার অভিযোগের প্রসঙ্গে টেনে আনেন আটের দশকে কংগ্রেস আমলের জরুরি অবস্থার কথাও। সেই সময় বিনা কারণে হাজার হাজার বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মীদের জেলে ভরার অভিযোগ উঠেছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নাম না করে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, “পিএম‌এল‌এ নামে কী একটা আইন করে রেখেছে। বিনা বিচারে এক একজনকে বছরের পর বছর জেলে আটকে রেখে যদি তুমি মনে করো ভোট করবে তাহলে তোমরা ভুল ভাবছো। ইমার্জেন্সির সময় ইন্দিরা গান্ধী ২০০০ জনকে জেলে পুরে রেখে ভোট করেছিলেন।‌ কিন্তু তিনি নির্বাচনে হেরে গিয়েছিলেন।”

এরপরই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আজকে কেষ্টকে কতদিন জেলে পুরে রেখেছে। কিন্তু মানুষের মন থেকে ওকে বের করতে পারেনি। ও কাজ করতে জানে। ওর বিরুদ্ধে যদি কোনও অভিযোগ থাকে তাহলে আপনাদের নেতাদের বিরুদ্ধে তেমন অভিযোগ হাজারটা রয়েছে।” শুভেন্দু অধিকারী-সহ দলবদলুদের নাম না করে তিনি কটাক্ষ করে বলেন, “আমি কি পারি না গদ্দারদের অ্যারেস্ট করতে। আমি গদ্দারদের একটু সুযোগ দিচ্ছি। সুতো ছাড়ছি। এরা দিল্লির দয়ায় রাজনীতি করে। দিল্লি রাগ করলে এরা ঘরে বসে থাকে।”

এর আগেও কেষ্টর পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। অনুব্রত বিজেপি-র প্রতিহিংসামূলক রাজনীতির শিকার বলে অভিযোগ করেন তিনি। কালীঘাটে বীরভূমে জেলা সংগঠনের বৈঠকে জেলা সভাপতির পাশে থাকারই কথা জানিয়েছিলেন মমতা। এদিনও তাঁর মুখে সেই মন্তব্যই শোনা গেল।

Previous articleবোলপুরে মুখ্যমন্ত্রীর ‘স্বপ্নের প্রকল্প’, বিশ্ব বাংলা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্বোধন করলেন মমতা
Next articleজয় দিয়ে রঞ্জিট্রফির অভিযান শেষ করল বাংলা, সতীর্থদের কাঁধে চেপে ইডেন ছাড়েন মনোজ