নজরে লোকসভা! পরিবেশ সংক্রান্ত ছাড়পত্র ছাড়াই কল্যাণী AIIMS-র উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর

রবিবার রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্যদের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, কল্যাণী এইমস-এর পরিবেশ সংক্রান্ত যে ছাড়পত্র থাকা প্রয়োজন তা নেই।

ভোট বড় বালাই। আর সেকারণে লোকসভা নির্বাচনকে (Loksabha Election) মাথায় রেখে বাংলায় নিজেদের অবস্থান আরও পাকাপাকি করতে বদ্ধপরিকর কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) সরকার। লক্ষ্য একটাই ভোটের আগে ধর্মের পাশাপাশি কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা একাধিক আটকে রাখা প্রকল্পের উদ্বোধন। রবিবার বিতর্ক সত্ত্বেও সবকিছুকেই ‘ডোন্ট কেয়ার’ করে কল্যাণী এইমসের ভার্চুয়াল উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রক পর্ষদ (Pollution Control Board) পরিবেশ সংক্রান্ত ছাড়পত্র না দিলেও তড়িঘড়ি গাজোয়ারি করে হাসপাতালের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর। সূত্রের খবর, কেন্দ্রের হাইকম্যান্ডকে এদিন সকালে সমস্যার কথা জানালেও নিজের অবস্থানে অনড় থাকেন প্রধানমন্ত্রী। সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী রবিবারই কল্যাণী এইমসের উদ্বোধন হবে। আর সেই মতোই এদিন বিকেলে রাজকোট (Rajkot) থেকে ভার্চুয়ালি কল্যাণী এইমসের (Kalyani AIIMS) উদ্বোধন করেন মোদি।

রবিবার রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্যদের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, কল্যাণী এইমস-এর পরিবেশ সংক্রান্ত যে ছাড়পত্র থাকা প্রয়োজন তা নেই। আর সেকারণেই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে এখনই তা এই হাসপাতালকে দেওয়া যাবে না বলেও জানানো হয়। আর এই সার্টিফিকেট ছাড়া কোনও হাসপাতালে পরিষেবা চালু রাখা যায় না বলেও জানানো হয়। তারপরও সবকিছু নিষেধ অমান্য করে গায়ের জোরেই কল্যাণী এইমসের উদ্বোধন করলেন। আর মোদির এমন পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিরোধীদের অভিযোগ, বাংলায় নিজের ইমেজ পরিষ্কার করতে যা খুশি তাই করে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে এসব করে আখেরে লাভের লাভ কিছুই হবে না। বাংলায় ধর্মের রাজনীতি কোনওভাবেই মেনে নেবে না মানুষ।

দুদিনের গুজরাট সফরে রবিবার প্রধানমন্ত্রী এইমস কল্যাণীর পাশাপাশি এইমস মঙ্গলগিরি, এইমস বাথিন্ডা এবং এইমস রায়বেরেলিরও উদ্বোধন করেন। রাজকোটে এদিন এইমস-এর উদ্বোধনে মোদির সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য, মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল ছাড়াও বিশিষ্টরা। যদিও এইমস-এর তরফে জানানো হয়েছে, তারা নাকি সমস্ত নথি সময়েই জমা দিয়েছিল। এমন পরিস্থিতিতে রোগীদের পরিষেবা প্রদানের কথা মাথায় রেখে অন্তর্বিভাগ চালু রাখা হবে বলেও এইমস কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি তিন বছর আগে যে বর্হিবিভাগগুলি চালু করা হয়, সেগুলিও সচল রাখা হবে বলে খবর। তবে রবিবার উদ্বোধন হলেও কল্যাণী এইমসের ভবিষ্যৎ নিয়েই এবার বড় সমস্যার কথা জানাল রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। তবে তারপরও সুপ্রিম নির্দেশ না মেনে কীভাবে পরিষেবা স্বাভাবিক থাকে সেদিকে অবশ্যই নজর থাকবে। তবে লোকসভার আগে মোদির সব চেষ্টা যে মাঠে মারা গেল তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

Previous articleবিক্ষোভ থেকে উদ্ধার করেই আটক অজিত মাইতিকে
Next articleবিজেপি বিরোধী জোটের ভরসা তৃণমূলই, এবার উদ্যোগী লালু-অখিলেশ