ক্রস-ভোটিং তিন রাজ্যে, হিমাচলে CRPF-এর সঙ্গে উধাও কংগ্রেস বিধায়করা

ক্রস ভোটিংয়ে হিমাচল প্রদেশে পরাজয়ের মুখে কংগ্রেসের প্রার্থী অভিষেক মনু সাংভি। অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টির (Samajwadi Party) সাত বিধায়ক বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে। তবে এই পরিস্থিতিতেও কর্ণাটকে নিজেদের অবস্থা বেশ খানিকটা মজবুত রাখতে পেরেছে কংগ্রেস।

রাজ্যসভার ভোট ঘিরে দিনভর ব্যাপক নাটকীয়তায় ক্রস ভোটিং-এ সন্ধ্যা পর্যন্তও প্রকাশ করা গেল না ফলাফল। মাত্র ১৫ আসনের ভোট ঘিরে দেশের তিন রাজ্যে দলীয় বিধায়কদের ওপর কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের চাপ প্রয়োগের অভিযোগে ব্যস্ত থাকতে হল কংগ্রেস ও বিরোধীদের। ক্রস ভোটিংয়ে হিমাচল প্রদেশে পরাজয়ের মুখে কংগ্রেসের প্রার্থী অভিষেক মনু সাংভি। অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টির (Samajwadi Party) সাত বিধায়ক বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে। তবে এই পরিস্থিতিতেও কর্ণাটকে নিজেদের অবস্থা বেশ খানিকটা মজবুত রাখতে পেরেছে কংগ্রেস।

সন্ধ্যা পর্যন্ত কর্ণাটকের তিনটি আসনে জয় লাভ করল কংগ্রেস। যদিও সেখানে ক্রস ভোটিংয়ের (cross voting) দাবি বিজেপি-জেডি(এস) জোটের। কংগ্রেস প্রার্থী অজয় মাকেন, ডঃ সৈয়দ নাসির হুসেন, জি সি চন্দ্রশেখর জয় লাভ করেন। একটি আসনে বিজেপি প্রার্থী নারায়ণ বন্দাগে জয়ী হন। কংগ্রেস বিধায়কদের ধন্যবাদ জানান উপমুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার। তাঁর দাবি কংগ্রেস নেতা-বিধায়কদের ঐক্যবদ্ধ থাকার ফল এই রাজ্যসভা ভোটে এই জয়।

তবে উত্তরপ্রদেশে ভোট গণনার কাজ স্থগিত হয়ে যায় বিজেপি জোট বিধায়কদের বিরোধের কারণে। ভোট নিয়ে বিরোধিতা করে গণনা প্রক্রিয়া থামিয়ে দেওয়ার আগে সমাজবাদী পার্টির সাত বিধায়ক ক্রস ভোট করেন বলেই জানতে পারেন দলের প্রধান অখিলেশ যাদব। দুটি আসন নিশ্চিত বলেও দাবি করেন তিনি। তবে যে তিনটি আসনে সমাজবাদী পার্টি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে তার মধ্যে তৃতীয় আসনটি পরীক্ষামূলকভাবেই রাখা রয়েছে, এমনটাই দাবি অখিলেশের। তাঁর দাবি, ‘কে সত্যিকারের বন্ধু এবং অন্তর থেকে কে পিডিএ(PDA) -র (পিছিয়ে পড়া, দলিত ও সংখ্যালঘু) সঙ্গে আছে তা চিহ্নিত করার জন্য তৃতীয় আসন ছাড়া হয়েছিল। এখন সেটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে, তাই তৃতীয় আসনেও আমরাই জিতলাম।’

ক্রস ভোটিং আর ঘোড়া কেনাবেচার সবথেকে বড় নাটকের পর্দা উঠেছে হিমাচল প্রদেশে। ভোট গণনা চলাকালীন হঠাৎই উধাও ৫-৬ জন কংগ্রেস বিধায়ক। হিমাচল প্রদেশে একটি আসনেই রাজ্যসভার ভোট হয়। সেখানেই সকাল থেকে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ৯টি ক্রস ভোট হয় বলে অনুমান দলের। তবে ফলাফল প্রকাশের আগেই মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সুখু দাবি করেন তাঁর দলের ৫-৬ জন বিধায়ককে CRPF ও হিমাচল প্রদেশ পুলিশ তুলে নিয়ে গিয়েছে। তাঁদের পরিবার তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তিনি সেই বিধায়কদের কাছে সংবাদ মাধ্যমে অনুরোধ জানান যোগাযোগ করার জন্য। আর এই নাটকের যবনিকা না পড়ায় হিমাচল প্রদেশের আসন থেকে কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা অভিষেক মনু সাংভির রাজ্যসভা যাত্রা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।

Previous articleদলীয় নির্দেশ মেনে জেলায় জেলায় ‘জনগর্জন’ সভার প্রস্তুতি তুঙ্গে
Next articleরঞ্জিতে রেকর্ড, ১০ ও ১১ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে শতরান মুম্বইয়ের এই দুই ব্যাটারের