ইচ্ছাকৃত গাফিলতিতে কড়া শাস্তি! পরোক্ষে হুঁশিয়ারি মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের

ইচ্ছাকৃত গাফিলতিতে কোনও রেয়াত নয়। আর সেকারণেই এবার বড়সড় শাস্তির দাওয়াই জাতীয় নির্বাচন কমিশনের (Election Commission)। হ্যাঁ, সূত্রের খবর এমনটাই। জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারদের নিয়ন্ত্রণ করা থেকে শুরু করে ভোট পরবর্তী হিংসা (Post Poll Violence) সবকিছু আয়ত্তে আনতেই বিশেষ পদক্ষেপের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। আর নির্বাচন কমিশনের পরোক্ষ হুঁশিয়ারিতে বেশ খানিকটা ব্যাকফুটে আধিকারিকরা। দু’দিনের রাজ্য সফরে এসে একথাই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার (Rajeev Kumar)। তিনি সাফ জানিয়েছেন, কর্তব্যে ইচ্ছাকৃত কোনও গাফিলতিতে জেলাশাসক বা পুলিশ সুপারের মতো পদমর্যাদার অফিসাররও ছাড় পাবেন না। কমিশনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কর্তব্যে গাফিলতির ক্ষেত্রে শুধু অপরাসণেই সীমাবদ্ধ থাকবে না কমিশন। দৃষ্টান্ত তৈরি করতে কড়া এবং স্থায়ী শাস্তির সুপারিশ করতে পারে তারা। তবে কমিশনের এমন সিদ্ধান্তকে রীতিমতো হুঁশিয়ারি বলেই মনে করছে অভিজ্ঞ মহল। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এর আগেও দেশে বহুবার নির্বাচন হলেও চলতি বছর এমন পদক্ষেপে কিছুটা হলেও আশঙ্কার মেঘ দেখা যাচ্ছে। যদিও রাজ্যের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা নিয়মমাফিক কাজ করলেও ভোটের আগে এমন পদক্ষেপের পিছনে গেরুয়া রাজনীতিকেই কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে।

সূত্রের খবর, এমন ক্ষেত্রে তাঁদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে পদক্ষেপের সুপারিশ করতে পারে কমিশন। তাতে অভিযোগের ধরণ অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া হবে বলে খবর। তবে গুরুতর অভিযোগ প্রমাণিত হলে ‘সার্ভিস রেকর্ডে’ তার প্রভাব পড়তে পারে। পাশাপাশি ধাক্কা খেতে পারে বেতন বৃদ্ধির প্রক্রিয়াও। এমনকি, আরও গুরুতর অভিযোগ সামনে এলে ক্ষেত্রে অভিযুক্তের চাকরিজীবনেও প্রভাব পড়তে পারে বলে খবর। তবে শুধুমাত্র ভোটের সময় কমিশনের আওতাধীন থাকলেও, রাজ্য সরকারের কাছেই শেষপর্যন্ত দায়বদ্ধ থাকতে হয় আইএএস, আইপিএস-দের। এতদিন কর্তব্যে গাফিলতিতে সাধারণত কোনও অফিসারকে পদ থেকে অপসারণ করত দিল্লির নির্বাচন সদন। কিন্তু নির্বাচনের পরে কমিশনের নিয়ন্ত্রণ উঠলে অফিসারেরা ফের রাজ্য সরকারের অধীনেই চলে আসেন। সে ক্ষেত্রে কমিশনের দেওয়া সাজার প্রভাব তেমন আর থাকে না। প্রশাসকদের মতে, মূলত এই জায়গাটিতেই পরিবর্তন আনতে চাইছে কমিশন।

এ বারের নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখাই কমিশনের কাছে অন্যতম চ্যালেঞ্জ। সূত্রের দাবি, প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকেই কমিশনের ইঙ্গিত, ভোট পরবর্তী হিংসা রোখার পথ খোঁজার কাজ চলছে। তাতে তাদের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগ করা যায় কি না, তা নিয়েও কমিশনের অন্দরে চলছে ভাবনাচিন্তা। বিশেষজ্ঞদের মতে, এর অর্থ, ভোটের পরে আরও কিছুদিন কমিশনের নিয়ন্ত্রণ থেকে যেতে পারে।

Previous articleআয়কর সংক্রান্ত আপিল ট্রাইবুনালের রায়ে নতুন করে অস্বস্তিতে কংগ্রেস
Next articleBreakfast Sports : ব্রেকফাস্ট স্পোর্টস