আজকের দিনে কী ঘটেছিল? চলুন দেখে নেওয়া যাক

১৯০৪

অন্নদাশঙ্কর রায়

(১৯০৪-২০০২) এদিন ওড়িশায় ঢেঙ্কানলে জন্মগ্রহণ করেন। আইসিএস অফিসার এবং খ্যাতিমান সাহিত্যিক, গবেষক, ইতিহাসবেত্তা, প্রাবন্ধিক, কবি ও ছড়াকার। ১৯২৫-এ বিএ পরীক্ষাতেও তিনি পাটনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে প্রথম স্থান লাভ করেন। ১৯২৭-এ এমএ পড়তে পড়তে আইসিএস পরীক্ষায় তিনি পূর্ববর্তী রেকর্ড ভেঙে প্রথম স্থান অধিকার করেন। তিনিই প্রথম ভারতীয় হিসেবে এ গৌরব লাভ করেন। সেই বছরেই তিনি সরকারি খরচে আইসিএস হতে ইংল্যান্ড যান। সেখানে তিনি দু’বছর ছিলেন। এই সময় তাঁর ধারাবাহিক ভ্রমণ কাহিনি ‘পথে প্রবাসে’ বিচিত্রায় প্রকাশিত হয়। ১৯৮৬-তে কলকাতায় পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি প্রতিষ্ঠিত হলে তিনি হন প্রথম সভাপতি এবং আমৃত্যু এই পদে আসীন ছিলেন।

২০০০

লেডি রানু মুখোপাধ্যায় (১৯০৬-২০০০) এদিন প্রয়াত হন। রাণুর ভাল নাম প্রীতি অধিকারী। ১৯১৭ সাল থেকে শুরু হয়ে ১৯৪০ সাল অবধি রাণুকে রবীন্দ্রনাথ মোট ২০৮টি চিঠি লেখেন। আর রাণুর লেখা মোট চিঠির সংখ্যা ৬৮। এই চিঠিগুলি প্রথমে ধারাবাহিক ভাবে ‘বিচিত্র’ পত্রিকায় ও পরবর্তী কালে বই হয়ে প্রকাশিত হয় ‘ভানুসিংহের পত্রাবলী’ নামে। স্যার বীরেন মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিয়ের পর নিজ-গুণে রাণু ইঙ্গ-বঙ্গ পরিবারের ঘরনি হয়েও রবীন্দ্রনাথ ও শান্তিনিকেতন থেকে পাওয়া তাঁর শিল্পবোধকে কাজে লাগিয়ে ভারতীয় শিল্পচর্চার জগতে ‘লেডি’ হয়ে উঠেছিলেন। তাঁর হাতে গড়া কলকাতার ‘অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টস’-এর নাম বিশ্বের শিল্পমহলে শ্রদ্ধার সঙ্গে উচ্চারিত হয়।

 

১৯৮৪

কালিদাস ভট্টাচার্য (১৯১১-১৯৮৪) এদিন প্রয়াত হন। প্রখ্যাত দার্শনিক। অধ্যাপনা শুরু করেন বিদ্যাসাগর কলেজে। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও সংস্কৃত কলেজে যুক্ত থাকার পর দর্শন বিভাগের প্রধান রূপে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন। প্রধানত তাঁরই উদ্যোগে ১৯৬৪-তে প্রতিষ্ঠিত হয় সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড স্টাডিজ ইন ফিলজফি এবং তিনি তার ডিরেক্টর হন। ১৯৬৬–’৭০ তিনি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন। অবসর গ্রহণের পর দর্শনের জাতীয় অধ্যাপক নিযুক্ত হন। ‘দেশিকোত্তম’ উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন।

১৯৪৪

জুলিয়াস সিজার এদিন নিহত হন। পম্পেইকে পরাজিত করার মধ্যে দিয়ে রোমের একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী হয়েছিলেন। অন্তত ৬০ জন রোমান সিনেটর তাঁকে হত্যার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিলেন। সিনেটর গেইয়াস ক্যাসিয়াস লঙ্গিনাস এবং মার্কাস জুনিয়াস ব্রুটাসের নেতৃত্বে রোমের পম্পেই থিয়েটার সংলগ্ন একটি স্থানে ৩৫ বার ছুরিকাঘাত করে সিজারকে হত্যা করা হয়।

১৯৩৯

জলধর সেন (১৮৬০-১৯৩৯) এদিন জন্মগ্রহণ করেন। পরিব্রাজক, সাংবাদিক, লেখক। এই তিনের ভিতরে আটকে রাখা না-গেলেও মূলত এই পরিচয়েই তিনি আপামর বাঙালির কাছে বন্দিত। কাঙাল হরিনাথের বহু শিষ্যের মধ্যে প্রথম সারিতে ছিলেন শিবচন্দ্র বিদ্যার্ণব, অক্ষয়কুমার মৈত্রেয় ও জলধর সেন। স্কুলে শিক্ষকতার সময় জলধরের কয়েকটি লেখায় সাহিত্যানুরাগের পরিচয় পাওয়া যায়। প্রধানত ‘সাহিত্য’ পত্রিকার সম্পাদক সুরেশচন্দ্রের চেষ্টায় তিনি ‘বসুমতী’ সাপ্তাহিক পত্রের সম্পাদকীয় বিভাগের দায়িত্ব পেয়েছিলেন। দীর্ঘ ২৬ বছর ভারতবর্ষ পত্রিকার সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। রজনীকান্ত সেনের লেখা ‘মায়ের দেওয়া মোটা কাপড়…’ গানটির সুরকার ছিলেন তিনি।

Previous articleঅর্জুনকে “ধান্দাবাজ” তোপ মহিলা মোর্চা সভানেত্রীর! ভাইপো বললেন “পাল্টুরাম”!
Next articleনাম ঘোষণা হতেই লড়াইয়ের ময়দানে সিপিএমের নতুন প্রজন্মের ত্রয়ী