কথা রাখেনি মোদি সরকার, লাদাখের মাইনাস ১৭ ডিগ্রিতে প্রতিবাদে ১২৫ জন

লাদাখকে সংবিধানের ষষ্ঠ তফশিলের (sixth schedule) অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিশ্রুতি থাকলেও পাঁচ বছর ধরে তা নিয়ে কোনও উদ্যোগই নেয়নি কেন্দ্র সরকার। লাদাখের প্রতিবাদী সোনমের দাবি কাশ্মীর থেকে ভাগ হয়ে আলাদা হয়ে যাওয়ার পরেও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়নি লাদাখে।

কাশ্মীরের থেকে আলাদা করা হয়েছে লাদাখকে (Ladakh)। মোদি সরকার ২০১৯-২০ সালে এই পদক্ষেপের সময় ঝুড়ি ঝুড়ি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও তার ছিটেফোঁটাও প্রতিফলন দেখা যায়নি লাদাখের মাটিতে। বরঞ্চ একটা লোকসভা ভোটের সময় দেওয়া প্রতিশ্রুতি পরের লোকসভায় এসে সম্পূর্ণ অস্বীকার করছে মোদি সরকার, এমনটাই অভিযোগ তুলে এবার আমরণ অনশনে লাদাখের প্রতিবাদী সোনম ওয়াংচু। টানা ১২ দিন ধরে খোলা আকাশের নিচে তাঁর সঙ্গে কেন্দ্রের কাছে দাবি আদায়ে শান্তিপূর্ণ অবস্থানে ১২৫ জন লাদাখের বাসিন্দা। রবিবার থেকে সেখানেই আমরণ অনশন শুরু করলেন সোনম। দেশের ২৪তম ভাষা বিজেপিকে শেখানোই চ্যালেঞ্জ লাদাখের আন্দোলনকারীর।

লোকসভা ভোটের আগে মোদি সরকারের সাফল্যের খতিয়ানে তুলে ধরা লাদাখ নিয়ে বিপাকে বিজেপি। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি লাদাখকে সংবিধানের ষষ্ঠ তফশিলের (sixth schedule) অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিশ্রুতি থাকলেও পাঁচ বছর ধরে তা নিয়ে কোনও উদ্যোগই নেয়নি কেন্দ্র সরকার। লাদাখের প্রতিবাদী সোনমের দাবি কাশ্মীর থেকে ভাগ হয়ে আলাদা হয়ে যাওয়ার পরেও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়নি লাদাখে। এবার তাই স্থানীয়দের দাবি, আর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের (Union Territory) তকমা নয়, তাঁরা চান রাজ্যের স্বীকৃতি। সেই সঙ্গে নিজেদের ভোটাধিকারের প্রয়োগ করে নিজেদের বিধানসভা প্রতিষ্ঠা।

সোনম ওয়াংচু (Sonam Wangchuk) শুধুমাত্র গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনেই এবার নামেননি। তাঁর অভিযোগ ২০১৯-২০ সালে লাদাখের অনন্য প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদকে রক্ষা করার যে আশ্বাস মোদি সরকার দিয়েছিল, তাও ভেঙে ফেলেছে তারা। এই অনন্য প্রকৃতি একদিকে যেমন উত্তর মেরু, দক্ষিণ মেরুর পরে তৃতীয় মেরু প্রদেশ হিসাবে স্বীকৃতি পায়, তেমনই এই এলাকায় প্রায় ২০০ কোটি মানুষকে প্রতিনিয়ত বাঁচার রসদ সরবরাহ করে। অথচ এই প্রকৃতিকে রক্ষা করার কোনও উদ্যোগই বিজেপি নিচ্ছে না। উল্টো তাঁর অভিযোগ, বিজেপির নজর শুধুই তাদের শিল্পপতি ও খনি মালিক বন্ধুদের স্বার্থের দিকে।

তবে বিজেপি সরকারের কানে নিজেদের দাবি পৌঁছে দিতে এবার অভিনব কষ্টকর পথ বেছেছেন সোনম। তিনি জানান, ভারতের উত্তর-পূর্বের মানুষ দাবি করেন দেশের ২২টি ভাষার পাশাপাশি ২৩তম ভাষা যা বিজেপি বোঝে তা হল বন্দুকের ভাষা। এবার বিজেপিকে ২৪তম ভাষা শেখানোর পালা সোনমের। তিনি বিজেপিকে শান্তির ভাষা শেখাবেন লাদাখের মাইনাস ১৭ থেকে ৫-এর মধ্যে ওঠানামা করা প্রকৃতিতে খোলা আকাশের নিচে শান্তিপূর্ণ অবস্থান করে।

Previous article৪২ আসনে ঝোড়ো প্রচার তৃণমূলের, প্রার্থী জটে জেরবার বিরোধীরা
Next articleমুখোশ খুলে গেল গদ্দার পরিবারের, বিজেপির পতাকা ধরলেন শিশির