মতুয়া গড়ে দাঁড়িয়ে সিএএ নিয়ে শান্তনু ঠাকুর সহ বিজেপি নেতাদের চ্যালেঞ্জ বাংলা পক্ষর

হাতে তথ্য সম্বলিত আইনের কাগজ নিয়ে প্রতিটা শব্দ পড়ে পড়ে উদ্বাস্তু বাঙালিদের সতর্ক করতে ঠাকুরনগর চলোর ডাক দিয়েছিল বাংলা পক্ষ। গাইঘাটা থানার সামনে স্থানীয় মতুয়া সহ উদ্বাস্তু বাঙালিদের নিয়ে বিরাট এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে বাঙালির স্বার্থে লড়াই করা বাংলা পক্ষ। পড়ে শোনানো হয় ১১মার্চ, ২০২৪ সালে প্রকাশিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের নিয়মের নথি৷

নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে গেলে–

১. নিজেকে অবৈধ বাংলাদেশি বা পাকিস্তানি ঘোষণা করতে হবে।

২. বাংলাদেশ বা পাকিস্তানের নথি না থাকলে আবেদনই করত পারবে না৷

৩. তারপরও নাগরিকত্বের কোনও গ্যারান্টি নেই।

তথ্য ও প্রমাণ দিয়ে প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ ছোঁড়া হয় সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের দিকে।

বাংলা পক্ষর চ্যালেঞ্জ-

১. শান্তনু ঠাকুর, জগন্নাথ সরকার, নিশীথ প্রামাণিকরা প্রকাশ্যে আইনটা পড়ে পড়ে এবং তার বাংলা তর্জমা করে বাঙালিকে শোনাক।

২. একজন আবেদন করুক পোর্টালে এবং কী কী ডকুমেন্ট লাগছে তার ভিডিওগ্রাফি করুক সবার সামনে এবং তা প্রেস কনফারেন্সে প্রকাশ করুক।

৩. দেশভাগের বলি হয়েছে মূলত বাঙালি। তাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সিএএ নিয়মের এই নথি বাংলা ভাষায় প্রকাশ করুক যাতে সব উদ্বাস্তু বাঙালি বুঝতে পারে।

সভায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক চট্টোপাধ্যায়, সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি, শীর্ষ পরিষদ সদস্য মনন মন্ডল এবং মতুয়া মহাসংঘের সম্মানীয় সুধাংশু গোঁসাই মহাশয়।

গর্গ বলেন, “বাংলা পক্ষ তথ্য ও যুক্তি দিয়ে বোঝায়। ওদের ক্ষমতা নেই কাগজ পড়ে শোনানোর। বাংলা পক্ষ কাগজ দেখাচ্ছে যাতে উদ্বাস্তু বাঙালিরা কাগজ না দেখায়। এই সিএএ হিন্দু বাঙালির মারণফাঁদ। অধৈধ বাংলাদেশি ঘোষণা করে এবং বাংলাদেশের ডকুমেন্ট দিতে তবেই কেন নাগরিকত্বের আবেদন? কারোর কাছে বাংলাদেশের ডকুমেন্ট নেই। তারপরও মোদির আইনে নাগরিকত্বের গ্যারান্টি নেই কেন? আমরা জানতে চাই। কেন নিঃশর্ত নাগরিকত্ব নেই?।”

কৌশিক বলেন, “গুরুচাঁদ ঠাকুর ও হরিচাঁদ ঠাকুরের পুণ্য মাটিতে আমরা মতুয়া সহ সকল উদ্বাস্তু বাঙালির অধিকারের জন্য লড়ছি। হরিচাঁদ ও গুরুচাঁদ ঠাকুররের উত্তরসুরী হয়ে শান্তনু ঠাকুর নিজে ভোটে জেতার জন্য লাখ লাখ মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষের জীবন নিয়ে ছেলেখেলা করছেন। এটা লজ্জাজনক। বিজেপি উদ্বাস্তু বাঙালিকে ঠকিয়েছে। আমাদের আবারও ভিটেমাটি হারা করতে চায় বিজেপি।”

আরও পড়ুন- মর্যাদার কৃষ্ণনগরে মহুয়ার বিরুদ্ধে চমক বিজেপির, প্রার্থী হতে পারেন রাজবাড়ির রানিমা অমৃতা!

 

Previous articleমর্যাদার কৃষ্ণনগরে মহুয়ার বিরুদ্ধে চমক বিজেপির, প্রার্থী হতে পারেন রাজবাড়ির রানিমা অমৃতা!
Next articleনির্বাচনী বন্ড নিয়ে ‘ঢিলেমি’ নয়! এসবিআই-কে সময়সীমা বেঁধে ‘সম্পূর্ণ তথ্য’ প্রকাশের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের