মেঘালয়ে বাঙালি খুন, নিরাপত্তার দাবি ও প্রতিবাদে বাংলা পক্ষ

কেন মেঘালয়ে গিয়ে বাঙালিরা জাতি বিদ্বেষের শিকার হবেন। মেঘালয়ে বসবাস করা বাঙালিদের নিরাপত্তার দাবি

বিনা প্ররোচনায় ভিন রাজ্যে থাকা বাঙালিরা সম্প্রতি বারবার আক্রান্ত হয়েছেন। এবার মেঘালয়ে (Meghalaya) বিনা প্ররোচনায় খুন হতে হল এক বাঙালিকে। এমনকি খুনের দুদিন পরেও পুলিশ এই খুনের তদন্তে কোনও কিনারা করতে পারছে না। ঘটনায় মেঘালয় ভবনের (Meghalaya House) সামনে প্রতিবাদে সামিল বাংলা পক্ষ (Bangla Paksha)। শনিবার তাঁরা কলকাতার মেঘালয় ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখান। মেঘালয়ে বাঙালি অধিবাসীদের সুরক্ষার দায়িত্ব নিতে অনুরোধ জানানো হয় মেঘালয় প্রশাসনকে।

গত বুধবার ২৭ মার্চ মেঘালয়ের ইছামতি (Ichamati) এলাকায় সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (CAA) প্রতিবাদে একটি সভা হয়। সভার আয়োজন খাসি স্টুডেন্ট্স ইউনিয়নের (KSU) পক্ষ থেকে করা হয়েছে বলে দাবি করা হলেও কেএসইউ (KSU) নেতৃত্ব এরকম কোনও সভার কথা অস্বীকার করেন। সভার পরই ওই এলাকায় একটি দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা এক যুবক ও একটু দূরের এক পাড়ায় এক যুবকের উপর অজানা আততায়ীরা বিনা প্ররোচনায় হামলা চালায়। পাথরে থেঁৎলে খুন করা হয় দুজনকে। মেঘালয়ের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী ইছামতি এলাকা আদিবাসী ও সাধারণ নাগরিকদের সমস্যায় জেরবার হয়েছে বেশ কয়েকবার। সিএএ আইনে এই এলাকা তালিকাভুক্ত এলাকার বাইরে। তারপরেও কেন এখানে সভার আয়োজন করা হয় তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।

শনিবার বাংলাপক্ষের তরফ থেকে দাবি করা হয়, কলকাতা শহরে অন্যান্য রাজ্যের মতো মেঘালয়ের বাসিন্দারাও রয়েছেন। তাঁরা বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত হয়ে স্বচ্ছন্দে জীবন যাপন করেন। তবে কেন মেঘালয়ে গিয়ে বাঙালিরা জাতি বিদ্বেষের শিকার হবেন। মেঘালয়ে বসবাস করা বাঙালিদের নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে সংগঠনের পক্ষ থেকে অরিন্দম চ্যাটার্জী বলেন, “আমরা মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে চাই যে দ্রুত ব্যবস্থা নিন। বাঙালি মেঘালয়ের মানুষকে আপন করে নিয়েছে। কখনও সম্পর্ক খারাপ হলে দায় মেঘালয় সরকারের।”

Previous articleউপ-সংশোধনাগারে শাহজাহানকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পেল ইডি!
Next articleআবগারি মামলায় বয়ান রেকর্ড! ইডি দফতরে হাজির কেজরিওয়াল সরকারের আরেক মন্ত্রী