সিভিল সার্ভিসে বাংলার গর্ব ওয়ার্শিদ-জয়শ্রীরা, নজির রাখলেন শিক্ষার মানের

দার্জিলিংয়ের জয়শ্রী প্রধান ২০২৩ সিভিল সার্ভিসে ৫২ ব়্যাঙ্ক করেছেন। দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দিয়ে সিভিল সার্ভিসে স্থান লাভ করে জয়শ্রী

বাংলা থেকে সিভিল সার্ভিসে (CSE) নজর কাড়লেন দার্জিলিংয়ের জয়শ্রী প্রধান (Jayasree Pradhan)। গোটা দেশে সর্বোচ্চ আধিকারিক পদে চাকরি পাওয়ার জন্য যখন নামী দামী কোচিংয়ে ছোটেন অনেকে, তখন নিজের চেষ্টায় কোনও কোচিংয়ের সাহায্য় ছাড়াই সিভিল সার্ভিসে স্থান করে নেন জয়শ্রী। বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থা অবনমন নিয়ে যখন বিরোধীরা শোরগোল তুলেছেন, শিক্ষাব্যবস্থার উপর একের পর এক মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকেও জেলে যেতে হয়েছে তখন জয়শ্রী ও তাঁর মতো উত্তরের আরও দুজন তুলে ধরছেন বাংলার শিক্ষার মূল ভিত্তিকে। সেই সঙ্গে সাফল্যের সারিতে স্থান পেয়েছেন বাংলার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পড়ুয়ারাও।

দার্জিলিংয়ের জয়শ্রী প্রধান ২০২৩ সিভিল সার্ভিসে ৫২ ব়্যাঙ্ক করেছেন। দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দিয়ে সিভিল সার্ভিসে স্থান লাভ করে জয়শ্রী। দার্জিলিং লরেটো কনভেন্টের ছাত্রী জয়শ্রী আইনের ছাত্রী ছিলেন আর সেই সময়ই সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতির পরিকল্পনা নেন তিনি। তাঁর মা শরতাজ প্রধান জিটিএ-তে কর্মরতা। অন্যদিকে উত্তরের বাগডোগরার বাসিন্দা গৌতম ঠাকুরি সর্বভারতীয় স্তরে ৩৯১ স্থান লাভ করেছে। তরাই চাবাগানের বাসিন্দা অজয় মোক্তান সর্বভারতীয় স্তরে ৪৬৪ ব়্যাঙ্ক করেছেন। গৌতম দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গবেষণা সম্পূর্ণ করেছেন। তবে এবারের সাফল্য়ে তিনি সন্তুষ্ট নন, বলে আবার পরীক্ষায় বসার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর।

এমএন তরাই চা বাগানের বাসিন্দা অজয় শিলিগুড়ির স্কুলে পড়াশোনার পরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক। তবে চারবার সিভিল সার্ভিসে অসফল হওয়ার পরে পঞ্চমবারে সাফল্যের পথে তরাইয়ের অজয়। বাংলা থেকে সাফল্যের নজির রেখেছে আসানসোলের বার্নপুরের মহম্মদ ওয়ার্শিদ খানও। ওয়ার্শিদ ২০১৮ সালের ব্যাচের ডব্লুসিবিএস। বাংলার একাধিক জায়গায় বিভিন্ন সরকারি পদে কাজ করার বর্তমানে তিনি কোচবিহারের ডিএম ডিসি পদে কর্মরত। তবে সেখানেই তিনি থেমে থাকতে চাননি। তাই একদিকে যেমন দিল্লিতে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন তেমনই কলকাতা অ্যাকাডেমিক অ্যাসোসিয়েশনেও প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন।

বাংলায় সর্বভারতীয় স্তরের পরীক্ষা সহ প্রশাসনিক ক্ষেত্রের পরীক্ষার প্রশিক্ষণের জন্য যে উদ্যোগ নিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, তারই সাফল্য এবার ছাত্র-ছাত্রীদের সর্বভারতীয় স্তরে পরীক্ষার ক্ষেত্রে প্রতিফলিত হওয়া শুরু হয়েছে। সিভিল সার্ভিস ২০২৩-এর ফল অনুযায়ী অন্তত ১৫ জন এমন ব়্যাঙ্ক প্রাপ্ত রয়েছেন যারা বাংলা থেকেই এই তালিকায় জায়গা পেয়েছেন।

 

Previous articleআদালতের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল, রামনবমীর মিছিলে হাওড়া বিজেপি প্রার্থীর নেতৃত্বে অস্ত্র-ডিজে
Next articleবিজেপির গ্যারেন্টি ‘সাম্প্রদায়িক হিংসা’! জোট বেঁধে বদলে দিন: অসমে বার্তা মমতার