চলছে চরম তাপপ্রবাহ! হিট স্ট্রোকের চিকিৎসায় হাসপাতালে পৃথক ওয়ার্ড খোলার নির্দেশ স্বাস্থ্য দফতরের

প্রবল তাপপ্রবাহের কারণে সাধারণের সুরক্ষায় প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে হিট স্ট্রোক এর চিকিৎসায় একটি করে পৃথক ওয়ার্ড খোলার নির্দেশ দিল রাজ্য সরকার। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে প্রতিটি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ও হাসপাতাল সুপারদের এই মর্মে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে।

শুক্রবার থেকেই কলকাতার পারদ ৪০ ডিগ্রি অতিক্রম করছে। দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি। সকাল ৯টাতেই অনুভূত হচ্ছে বেলা ১২টার প্রখর তাপদাহ! বেলা বাড়লে বইছে লু। তীব্র তাপদাহে বাড়ছে হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে রাজ্যে বেশ কয়েকজন হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন। ঘটেছে মত্যুর ঘটনাও। সূত্রের খবর, জ্বালাপোড়া গরমের কথা মাথায় রেখে এবার রাজ্যের প্রত্যেক হাসপাতালে হিট স্ট্রোকের জন্য বিশেষ ওয়ার্ড চালু করার উদ্যোগ নিল স্বাস্থ্য দফতর। হিটস্ট্রোকের জন্য চালু করা বিশেষ এই ওয়ার্ডে কী কী ব্যবস্থা রাখতে হবে, এ বিষয়ে একটি নির্দেশিকাও জারি করেছে স্বাস্থ্য ভবন।

আরও পড়ুন- ৪০০ পার নয়, ওরা পগার পার হবে: বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ মমতার

প্রতিটি হাসপাতালকে এজন্য একটি বিশেষ ঘরে ন্যূনতম দু’টি বেড রাখতে বলা হয়েছে। সেই ঘরে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা বা হাইস্পিড পাখার ব্যবস্থা রাখতে হবে। এছাড়াও আপৎকালীন পরিস্থিতির বিভিন্ন ওষুধ, থার্মোমিটার, পোর্টেবল ইসিজি মেশিন প্রভৃতি রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ভিজে তোয়ালে, পর্যাপ্ত ঠান্ডা জল, বরফ, রাখতে বলা হয়েছে।তীব্র তাপদাহের কারণে প্রতিদিন কতজন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন, তাঁদের কী ধরনের সমস্য়া থাকছে- এই সংক্রান্ত রিপোর্টও জমা দিতে বলা হয়েছে।স্বাস্থ্য দফতরের এমন নির্দেশের পরই রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে হিট স্ট্রোকের জন্য বিশেষ এই ওয়ার্ড তৈরির তৎপরতা তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে দিনের বেলা ১১টা থেকে ৪টে পর্যন্ত একান্ত প্রয়োজন না থাকলে বাইরে না বেরানোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। একান্ত বেরাতে হলেও ছাতা, পানীয় জল সঙ্গে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন।

 

Previous articleতাপপ্রবাহের জেরে লাল সর্তকতা! চিড়িয়াখানায় বাঘের খাঁচায় ফ্যান, ভাল্লুকের জন্য এয়ারকুলার
Next articleরবিবার কোহলিকে নিয়ে আলাদা পরিকল্পনা কেকেআরের