মুর্শিদাবাদকে ‘রায়গঞ্জ’ হতে দেবেন না: রোড শো থেকে অভিষেকের নিশানায় সেলিম

২০১৯ সালে রায়গঞ্জের ফলটা দেখবেন। আজ এই ভোটগুলো তৃণমূল পেলে রায়গঞ্জে তৃণমূল জিতত। কে জিতল? ভোট কেটে জিতল বিজেপি

বাংলায় বাম-কংগ্রেস ভোট কাটুয়া। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে তৃণমূল এই বিবৃতিকে সামনে রেখে যে প্রচার চালিয়েছে বুধবার সেটাই পরিসংখ্যান দিয়ে প্রমাণ করে দিলেন তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রে বাম-কংগ্রেস জোটের হয়ে যখন প্রচার চালাচ্ছেন দুই দলের শীর্ষনেতারা তখন তাঁদের ভোটে কীভাবে ২০১৯ সালে বিজেপির জয় সম্ভব হয়েছিল, রায়গঞ্জের উদাহরণ দিয়ে তা পেশ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়।

মুর্শিদাবাদ ও বহরমপুরের তৃণমূল প্রার্থীদের নিয়ে রোড শো করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এই দুই কেন্দ্রের মধ্যে বহরমপুরের কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরি, মুর্শিদাবাদের প্রার্থী সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। এই জোটের দুই প্রার্থীই ভোট কাটতে দাঁড়িয়েছেন বলে দাবি করে অভিষেক বলেন, “এই তথাকথিত সিপিএম-কংগ্রেসের জোটের প্রার্থী মহম্মদ সেলিম ২০১৯ সালে রায়গঞ্জ থেকে দাঁড়িয়েছিল। ১ লক্ষ ৮৩ হাজার ভোট পেয়ে বিজেপির দেবশ্রী চৌধুরীকে জিততে সাহায্য করেছিল। আরেকদিকে ছিল দীপা দাশমুন্সি। প্রায় ৮৪ হাজার ভোট পেয়ে দেবশ্রী চৌধুরী বিজেপির প্রতিনিধিকে মহম্মদ সেলিম আর দীপা দাশমুন্সি জিতিয়েছিল। কখনও দাঁড়াবেন রায়গঞ্জে, কখনও উত্তর কলকাতায়। আবার কখনও ভোট কাটতে মুর্শিদাবাদে আসবেন।”

বিজেপির কোনও পদক্ষেপের বিরুদ্ধেই কখনও সিপিএম-কংগ্রেসকে সরব হতে বা প্রতিবাদ করতে দেখা যায়নি, মুর্শিদাবাদের মানুষের কাছে সেই অভিযোগ তুলে সতর্ক করেন অভিষেক। তিনি বলেন, “কংগ্রেস সিপিএমের নেতারা বেইমানি করতে পারে। এখান থেকে মহম্মদ সেলিম দাঁড়িয়েছে। খালি ২০১৯ সালে রায়গঞ্জের ফলটা দেখবেন। আজ এই ভোটগুলো তৃণমূল পেলে রায়গঞ্জে তৃণমূল জিতত। কে জিতল? ভোট কেটে জিতল বিজেপি। আমি অনুরোধ করব মুর্শিদাবাদকে দ্বিতীয় রায়গঞ্জ হতে দেবেন না।”

বিজেপি বিরোধী শক্তিগুলি বাংলায় একসঙ্গে লড়লে রাজ্যে বিজেপির পরিস্থিত কী হত, সেই প্রসঙ্গে না গিয়েও তৃণমূল একাই বিজেপিকে রাজ্য থেকে নির্মূল করতে পারে বলে দাবি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি দাবি করেন, “বিজেপির নেতারা এখন লাইন দিয়ে রয়েছেন তৃণমূলে কবে ঢুকবেন। আমরা দরজা বন্ধ করে রেখেছি। যদি খুলি দল উঠে যাবে।” এরপরই বিজেপি থেকে বাবুল সুপ্রিয় ও অর্জুন সিংয়ের সেই সময়ে তৃণমূলে যোগের উদাহরণ দিয়ে দাবি করেন, “ঠিক টাইমে দরজা খুলব। এই দলটাকে উঠিয়ে দেব বাংলা থেকে, আমি কথা দিয়ে যাচ্ছি।”

Previous articleআমরা ধনী, গরীব দেশে কেন খেলতে যাব? সেওয়াগের মন্তব্যে চর্চা তুঙ্গে
Next articleহাজার ঘণ্টা পেরোলেও কেন্দ্রের শ্বেতপত্র কোথায়? ফের কটাক্ষ তৃণমূলের