আদালতের ভর্ৎসনার পর সংবাদপত্রে নিঃশর্ত ভাবে দ্বিতীয় ক্ষমাপত্র ছাপালেন রামদেব

মঙ্গলবার পতঞ্জলির তরফে একটি ক্ষমাপত্র প্রকাশ করা হয়েছিল। তবে তার আকার এতটাই ছোট ছিল, যা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় রামদেবদের। ‘বিভ্রান্তিকর এবং মিথ্যা’ বিজ্ঞাপন মামলার শুনানিতে মঙ্গলবার বিচারপতি হিমা কোহলির পর্যবেক্ষণ, ক্ষমা চেয়ে বিজ্ঞাপনটি কি সঠিক ভাবে ছাপানো হয়েছিল? নিজেদের বিজ্ঞাপন যত বড় করে ছাপাতেন, তত বড় করেই কি ক্ষমাপত্রও ছাপানো হয়েছে? বুধবার পতঞ্জলির তরফে রামদেব এবং বালকৃষ্ণ যে ক্ষমাপত্র ছাপিয়েছেন তা সংবাদপত্রের একটি পাতার এক চতুর্থাংশ। শিরোনামে লেখা, ‘জনগণের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থনা’। তার পর সেই ক্ষমাপত্রে লেখা হয়েছে, ‘‘সুপ্রিম কোর্টে চলমান বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ব্যক্তিগত ভাবে এবং আমাদের কোম্পানির তরফ থেকে অবাধ্যতার জন্য নিঃশর্ত ভাবে ক্ষমাপ্রার্থী। আমরা একই ধরনের ভুল আর দ্বিতীয় বার করব না। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মেনে চলার জন্য আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ।’’
সুপ্রিম কোর্টে শুনানির কয়েক ঘণ্টা আগে মঙ্গলবার সকালে দেশের বিভিন্ন সংবাদপত্রে পতঞ্জলির বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়েছে। তাতে ক্ষমা চেয়েছে সংস্থা। লিখেছে, ‘‘উপদেষ্টার পরামর্শের পরেও বিজ্ঞাপন প্রকাশ এবং সাংবাদিক বৈঠক করে আমরা যে ভুল করেছি, তার জন্য ক্ষমা চাইছি। এই ভুল আর হবে না। আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’’ কেন মঙ্গলবার সকালে এই ক্ষমাপত্র ছাপানো হল তা নিয়েও প্রশ্ন তোলে সুপ্রিম কোর্ট।
২০২০ সালের ২৩ জুন প্রথম বার করোনিল কিট বাজারে এনেছিল পতঞ্জলি। ‘করোনিল’ এবং ‘শ্বাসারি বটি’ নামে দু’ধরনের ট্যাবলেট এবং ‘অণু তৈল’ নামের ২০ মিলিলিটারের একটি তেলের শিশি নিয়ে তৈরি ওই কিটের দাম রাখা হয়েছিল ৫৪৫ টাকা।এই বিজ্ঞাপন নিয়ে আপত্তি জানিয়ে রামদেবের সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা করেছিল আইএমএ। আইএমএ-র অভিযোগ ছিল, পতঞ্জলির বেশ কয়েকটি বিজ্ঞাপনে অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা এবং চিকিৎসককে অসম্মান করা হয়েছে। বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে সাধারণ জনগণকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগও আনা হয়েছিল। অভিযোগ ছিল, কোভিড প্রতিরোধী না-হওয়া সত্ত্বেও শুধু করোনিল কিট বিক্রি করেই আড়াইশো কোটি টাকার বেশি মুনাফা করেছিল রামদেবের পতঞ্জলি।




Previous articleসলমন হামলায় ব্যবহৃত দ্বিতীয় বন্দুক উদ্ধার! পুলিশের হাতে আরও তথ্য
Next articleদাবি আদায়ে টাওয়ারে কৃষকরা, দিল্লিতে বাড়ছে আন্দোলনের ঝাঁঝ