সরকার পুলিশকে গুলি চালাতে নির্দেশ দেয়নি, চাঞ্চল্যকর দাবি হাসিনা পুত্রের

তাঁর দাবি, "ওঁরা পুলিশের উপর বন্দুক চালিয়ে হামলা চালায়। বাংলাদেশে কোথা থেকে এল এই সব আগ্নেয়াস্ত্র? ছাত্রদের হাতে অস্ত্র এল কোথা থেকে?

পুলিশের গুলির সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের ছাত্র। তাঁর শরীর ফুঁড়ে পুলিশের গুলি বেরিয়ে যাওয়ার ছবি বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের আগুনে ঘি ঢেলেছিল। অথচ পুলিশকে এভাবে গুলি চালানোর নির্দেশই নাকি দেননি শেখ হাসিনা। যে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর উপর নির্মমভাবে ছাত্রদের উপর গুলি চালানোর অভিযোগ, তিনি নাকি আদৌ গুলি চালানোর নির্দেশ দেননি, দাবি হাসিনা পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের। সেই সঙ্গে কোনওভাবে গণহত্যা না হয়, তা নিশ্চিত করতেই হাসিনা দেশ ছেড়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।

অরাজকতার পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা সহ কয়েক দফা দাবিতে কর্মবিরতিতে বাংলাদেশ পুলিশ। সেই পরিস্থিতিতে চাঞ্চল্যকর দাবি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পুত্রের। তিনি দাবি করেন, “পুলিশ হিংসা বন্ধের চেষ্টা করেছিল এবং তা করতে গিয়ে তাঁদের মধ্যে অনেকে গুলি চালান, যার কোনও অনুমোদন ছিল না। আমাদের সরকার কাউকে আক্রমণ করার নির্দেশ দেয়নি। আমাদের সরকার কখনই পুলিশকে গুলি চালানোর নির্দেশ দেয়নি। … আমরা সঙ্গে সঙ্গে অত্যধিক পুলিশ বাহিনী ব্যবহার করা পুলিশ আধিকারিকদের সাসপেন্ড করি।”

সেই সঙ্গে সজীবের দাবি গণভবনের বাইরে গণহত্যা যাতে না হয়, তার জন্যই তড়িঘড়ি দেশ ছেড়েছিলেন হাসিনা। তিনি বলেন, গণভবনে যাতে কোনওভাবেই অনুপ্রবেশ না হয় তার জন্য সবরকম ভাবে প্রস্তুত ছিল পুলিশ ও সেনাবাহিনী। সেই দিনই লংমার্চ করে ভবনের দিকে বিপুল সংখ্যক মানুষের আসার খবর পাওয়া যায়। কিন্তু সাধারণ মানুষ জোর করে ভবনে ঢুকতে চাইলে গুলি চলতে পারে, গণহত্যাও হতে পারে। এমন আশঙ্কা থেকে সেই দিনই গণভবন তথা বাংলাদেশ ছাড়েন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, দাবি সজীবের।

সেই সঙ্গে ছাত্রদের নাম করে উগ্রপন্থীরা পুলিশের উপর হামলা চালিয়েছিল বলেই দাবি করেন তিনি। তাঁর দাবি, “ওঁরা পুলিশের উপর বন্দুক চালিয়ে হামলা চালায়। বাংলাদেশে কোথা থেকে এল এই সব আগ্নেয়াস্ত্র? ছাত্রদের হাতে অস্ত্র এল কোথা থেকে? সুতরাং ওরা ছাত্র ছিল না। এটা ছিল একটা উন্মত্ত জনতা। এটা ছিল উগ্রপন্থা যাকে উস্কানি দেওয়া হয়েছিল গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের পতনের জন্য।”

Previous article‘নীরজের জন্যই জ্যাভলিনের কথা জানতে পারি’ : সাইনা
Next articleঅবাঞ্ছিত! পুরো সিভিক ভলান্টিয়ার সমাজকে মেশানো ঠিক না, দাবি কুণালের