অসময়ে জল ছাড়ল ডিভিসি, বিজেপির পঞ্চায়েতে অসমাপ্ত বাঁধ ভেঙে প্লাবিত খানাকুল

বিজেপি পরিচালিত চিংড়া (Chingra) পঞ্চায়েত সেই বালি দিয়ে বাঁধ মেরামতির কাজ করেনি। চলাচলের জন্য় রাস্তা তৈরি হলেও বাঁধ তৈরি না হওয়ায় মুণ্ডেশ্বরীর (Mundeswari) জল

চাষের সময়ে জল পাননি মানুষ। এবার মাঠে ফসল থাকা অবস্থায় আচমকা ডিভিসি (DVC) জল ছাড়ায় প্লাবিত হুগলির খানাকুলের (Khanakul) চিংড়া পঞ্চায়েতের একাধিক গ্রাম। গ্রামবাসীদের ক্ষোভ কয়েকমাস ধরে বাঁধ তৈরির জন্য বালির বস্তা এলেও তা বাঁধ তৈরি করেনি বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েত। ফলে আলু (potato) চাষের ব্যাপক ক্ষতির মুখে এলাকার কৃষক পরিবারগুলি। শনিবার মধ্যরাত থেকে জমির ফসল বাঁচাতে প্লাবিত খেতে নামতে হয় গ্রামবাসীদের।

খানাকুলে মুণ্ডেশ্বরীর (Mundeswari river) নিম্নস্তরে ফের জল বাড়ার কারণে ভাঙল বাঁধ। শনিবার রাত ৩টে থেকে বাঁধ ভেঙে জল ঢুকতে থাকে চিংড়া পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বলাইচক, রঞ্জিতবাটি, কুমারচক প্রভৃতি একাধিক গ্রামে। গ্রামবাসীদের দাবি, পঞ্চায়েতের তরফ থেকে বাঁধ তৈরিই হয়নি। সেপ্টেম্বরে ডিভিসির (DVC) জলে প্লাবিত হয়ে গিয়েছিল খানাকুলসহ হুগলি ও পাশ্বর্বর্তী পূর্ব মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা। জল কমার পরে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে ফের গোটা এলাকায় বিভিন্ন নদীবাঁধ মেরামতি ও নতুন করে তৈরির কাজ শুরু হয়। গ্রামবাসীদের দাবি, কয়েকমাস ধরে চিংড়া পঞ্চায়েতে বাঁধ মেরামতির জন্য বালির বস্তা এসেছিল। বিজেপি পরিচালিত চিংড়া (Chingra) পঞ্চায়েত সেই বালি দিয়ে বাঁধ মেরামতির কাজ করেনি। চলাচলের জন্য় রাস্তা তৈরি হলেও বাঁধ তৈরি না হওয়ায় মুণ্ডেশ্বরীর (Mundeswari) জল ঢুকে পড়ে গ্রামগুলিতে।

প্লাবিত গ্রামের বাসিন্দাদের দাবি, অন্যান্য পঞ্চায়েত এলাকায় জল ঢোকেনি। অথচ চিংড়া পঞ্চায়েতে শনিবার রাত থেকে রবিবার পর্যন্ত ক্রমশ অবস্থার অবনতি হচ্ছে। তার জন্য সময় মতো বাঁধ না তৈরি হওয়াকেই দুষছেন তাঁরা।

সেই সঙ্গে ডিভিসি-কেও (DVC) পরিস্থিতির জন্য দায়ী করছেন তাঁরা। গ্রামবাসীদের দাবি, যে সময়ে বোরো চাষের জন্য জল প্রয়োজন ছিল কৃষকদের তখন জল পাননি তাঁরা। পাম্প ভাড়া করে জলের যোগান দিতে হয়েছে তাঁদের নিজেদের খেতে চাষ করার জন্য। এরপর দীর্ঘ পরিশ্রমে আলু (potato) ও ধানের (paddy) চাষ করেছেন এলাকার কৃষকরা। আর সেই ফসল যখন প্রায় পরিপক্ক সেই সময় ডিভিসির ছাড়া জলে তা নষ্ট হওয়ার উপক্রম। প্রয়োজনে চাষের জল না পেয়ে সুদিনে দুর্দিন বয়ে আনা ডিভিসির জল ছাড়ায় প্লাবনকে তাঁরা মানুষের তৈরি প্লাবন বলে দাবি করছেন।