শীর্ষ আদালতের (Supreme Court) কলমের খোঁচায় এক ঝটকায় চাকরি হারিয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মী। কিন্তু তাদের পাশে আছে রাজ্য সরকার (Govt of WB)। শুক্রবার চাকরিহারাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। উপস্থিত থাকবেন এসএসসির (SSC) চেয়ারম্যান এবং শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরাও। দুপুর ২টো নাগাদ বিকাশ ভবনে এই বৈঠক শুরু হবে বলে জানা গেছে। মিটিং-এর পরই সব দাবি দাওয়া ভালো করে বিশ্লেষণ করে আগামী সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টের রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন জানাবে স্কুল সার্ভিস কমিশন। ইতিমধ্যেই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। চাকরিহারাদের সমস্যার সমাধানে আশাবাদী ব্রাত্য।

গত ৩ এপ্রিল সুপ্রিম রায় ঘোষণার পরেই চাকরি হারাদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু যে প্রতিশ্রুতি নয়, তার প্রমাণ মিলেছে শিক্ষা দফতরের পোর্টালেও। কোনও স্কুলে সরকারি তরফে কোনও টার্মিনেশন লেটার যায়নি। বৃহস্পতিবার এক বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে দেওয়ার সাক্ষাৎকারে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জট খোলা সম্ভব। সেই কারণে আন্দোলনে না গিয়ে সদর্থক মনোভাব নিয়ে সরকারের সঙ্গে চাকরি হারানো শিক্ষক- শিক্ষা কর্মীদের আলোচনায় বসা দরকার। রাজ্য সরকার, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী পাশে আছেন। তাই ভরসা রাখতে হবে। আন্দোলনরত শিক্ষকদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, “আন্দোলন নয়, কাজে ফিরুন।” ব্রাত্যর কথায়, “কারা কী করছেন, নিশ্চয়ই আদালত খেয়াল রাখবে। শিক্ষকরা ক্লাসে গেলে, তাঁদেরই সুবিধা। আলোচনা এবং আন্দোলন দুটো একসঙ্গে চলতে পারে না। ওরা (আন্দোলনরত শিক্ষক) শুক্রবার পর্যন্ত দেখে নিতে পারতেন। আমরা তো আলোচনা করতে চাইছি। মুখ্যমন্ত্রী তো আলোচনা করতে ডেকেছেন, আলোচনা করেছেন। আমরা কোনও দেওয়াল রাখতে চাই না।” সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে আশাবাদী শিক্ষামন্ত্রী এদিন সাক্ষাৎকারে বলেন, চাকরি তো এই সরকারই দিয়েছিল। সেই চাকরি চলে যাওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে চাকরিহারাদের ডেকে মানসিক, প্রশাসনিক ও আইনিভাবে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া চাকরি যাতে চলে যায় তার জন্য কিছু লোক উঠে পড়ে লেগেছিলেন। তাঁরাই আজকে কুমিরের কান্না কাঁদছে। ব্রাত্য বসুর মতে, চাকরিহারাদের আরও ধৈর্য-ধরা উচিত। আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছে রাজ্য। চাকরিহারাদের পাশে রাজ্য সরকার ছাড়া আর কেউ নেই।

–

–



–


–

–

–

–
–

–
