জামাইষষ্ঠী মানেই খাসির মাংস, ইলিশ মাছ, দই-চিনি আর আদরের ভোজ। কিন্তু এই উৎসব কেবল গল্পেই থেকে গিয়েছিল তাঁদের জীবনে। কেউই এখনও ‘জামাই’ হওয়ার সুযোগ পাননি। তাই আর অপেক্ষা নয়—এবার নিজেরাই জামাই সাজলেন তিন বন্ধু!

রবিবার সকালে গুসকরা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আচমকাই দেখা গেল তিন যুবক—সুরজিত পাত্র, রোহন সাঁতরা ও সোমনাথ পালিত—পরনে রঙিন পাঞ্জাবি, মাথায় টোপর, হাতে মাছ, দইয়ের ভাঁড় আর মুখে চওড়া হাসি। চারপাশে লোক জমতেই মজার ছলে বললেন, “দশ বছর ধরে জামাইষষ্ঠীর ভোজের গল্প শুনছি, আর নয়! একদিনের জামাই হলেও চলবে—পান্তাভাতেই খুশি!”

প্রথমে অনেকেই হতবাক হলেও পরে বুঝে যান, পুরো ব্যাপারটাই নিছক কৌতুক আর অভিনব প্রতিবাদ। বলাই বাহুল্য, হাসির রোল ওঠে গোটা বাজার চত্বরে। দোকানদার থেকে পথচলতি মানুষ—সকলেই মুগ্ধ এমন ব্যতিক্রমী প্রচেষ্টায়।

সুরজিতদের বক্তব্য, “মেয়ের বাড়ি মানেই জামাইয়ের জন্য আয়োজন। কিন্তু বাজারের যা হাল, কাটা কাতলা ৫০০, খাসির মাংস ৮৫০—শাশুড়ি আদর করতে চাইলেও শ্বশুরের পকেটের দিকে তাকাতে হয়। তাই বলছি, দামি মেনু নয়, শুধু একটু মনটুকুই দিন।”


তাঁদের এই রসিকতায় সাড়া দেন সাধারণ মানুষও। এক প্রবীণ মহিলা বলেন, “আমার ঘরে মেয়ে নেই, কিন্তু জামাই ভাড়া নিতে পারি!” আরেকজন হেসে বললেন, “পান্তাভাত দেব, কিন্তু জামাইয়ের মতো নাক উঁচু করে বসে খেতে হবে!”

গুসকরার রাস্তায় রবিবারের সকালে যেন জমে উঠল এক অনন্য জামাইষষ্ঠী। আর তার নায়ক তিন ‘আইবুড়ো’—যাঁদের মজার মিছিলে উৎসব পেল এক নতুন রঙ।
আরও পড়ুন – শাহের সভায় গিয়ে অসুস্থ! হাসপাতালে মৃত্যু বিজেপি পঞ্চায়েত প্রধানের

_
_

_

_

_

_

_

_
