সামাজিক নিরাপত্তা কতটা তলানিতে গেলে শিশুশ্রমে বাধ্য হয় সাধারণ মানুষ, তার নজির বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে। খেলাধুলো ও পড়াশোনার বয়সে শিশুদের পিঠে-মাথায় উঠছে ভারী বোঝা। ১২-১৪ ঘণ্টার শিফটের চাপে জলের মতো খরচ হয়ে যাচ্ছে মূল্যবান শৈশব। আবার পান থেকে চুন খসলেই মালিকের অত্যাচারের শিকারও হতে হচ্ছে। তাও বেকারত্বের জ্বালায় নামমাত্র রোজগারের আশাতেই গতকয়েক বছরে লাফিয়ে বাড়ছে শিশুশ্রমের (child labour) হার। বিশেষ করে বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলিতে শিশুশ্রমিকের বাড়বাড়ন্ত চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে।
বিজেপিশাসিত উত্তরপ্রদেশ (Uttarpradesh), বিহার (Bihar) শিশুশ্রমের নিরিখে দেশের শীর্ষে। এমনকী, যোগীরাজ্য কিংবা বিহার থেকে কাজের জন্য শিশুরা পাচার হচ্ছে অন্য রাজ্যগুলিতেও। যদিও কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকার কিংবা সংশ্লিষ্ট ডবল ইঞ্জিন রাজ্যগুলিতে বিজেপি সরকারের শিশুশ্রম নিয়ে কোনও হেলদোল নেই। উল্টে শিশুপাচারে অনেকসময়ই বিজেপি নেতাদের প্রচ্ছন্ন অথবা পরোক্ষ যোগ উঠে আসে। সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে এর তীব্র নিন্দা করা হয়েছে।

সমাজমাধ্যমে তৃণমূলের তরফে তুলে ধরা হয়েছে বিজেপি রাজ্যগুলির শিশুশ্রম (child labour) নিয়ে সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত কিছু শিরোনাম। যেখানে পরপর যোগীরাজ্য উত্তরপ্রদেশ (Uttarpradesh), মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও বিহারে শিশুশ্রমের ছবিটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। দেখা যাচ্ছে, প্রায় আড়াই লক্ষের শিশুশ্রমিকের জেরে দেশে শিশুশ্রমের শীর্ষে রাজত্ব করছে উত্তরপ্রদেশ। আবার ২০২৪ সালে দেশের বাণিজ্যনগরী মুম্বই থেকে ৮৭ জন শিশুশ্রমিককে উদ্ধার করেছে পুলিশ, যার বেশিরভাগই বিহার (Bihar) ও উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। বিহারেও গত একবছরে একহাজারেরও বেশি শিশুশ্রমিক উদ্ধার হয়েছে।

কিছুদিন আগে আবার মধ্যপ্রদেশের এক সুরা প্রস্তুতকারী কারখানা থেকে ৬০ জন শিশুশ্রমিককে উদ্ধার করা হয়েছিল। অকথ্য অত্যাচারে যাদের শরীরে ফোসকা পড়েছে, জায়গায়-জায়গায় গায়ের চামড়া উপড়ে নেওয়া হয়েছে। আবার পাঞ্জাবের এক ইটভাটায় উত্তরপ্রদেশ থেকে পাচার হওয়া ৪৭ শিশু উদ্ধার হয়েছে।

–

–

–

–

–

–
–
–
–
–


