Monday, November 24, 2025

রাজ্য বিজেপির নতুন সভাপতি শমিক ভট্টাচার্য: তৃণমূলকে হারানো সম্ভব নয়, বার্তা ফিরহাদের

Date:

Share post:

প্রত্যাশা মতোই আরএসএস-এর নির্দেশেই আস্থা বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। শত গোষ্ঠীতে বিভক্ত বঙ্গ বিজেপিকে এক সুতোয় গাঁথার ব্যর্থ চেষ্টায় শেষ পর্যন্ত এক বছরের বেশি পরে নতুন রাজ্য সভাপতি নির্বাচন করল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। রাজ্য নেতা শমিক ভট্টাচার্য (Shamik Bhattacharya) ছাড়া অন্য কোনও মনোনয়ন জমা না পড়ায় শমিকই যে রাজ্য বিজেপির নতুন সভাপতি (BJP state president), তাতে আর কোনও সন্দেহই নেই। তবে রাজ্যের নেতৃত্ব বদল করে যে বিজেপি আখেরে বাংলায় কোনও প্রভাব ফেলতে পারবে না, স্পষ্ট করে দিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।

বুধবারই বিজেপির নতুন রাজ্য সভাপতির নাম নিশ্চিত হয়ে যাবে, সম্ভাবনার কথা বিশ্ববাংলা সংবাদ মঙ্গলবারই জানিয়েছিল। সেই সঙ্গে শমিক ভট্টাচার্যের উপর যে আরএসএস-এর (RSS) আস্থা থাকার কারণে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্বও আস্থা প্রকাশ করতে চলেছেন, এমন সম্ভাবনার কথাও বলা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত বুধবার নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত শমিক ভট্টাচার্য ছাড়া আর কারও মনোনয়ন (nomination) জমা পড়েনি। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা সুনীল বনসলের উপস্থিতিতে নির্বাচনী আধিকারিক দীপক বর্মনের হাতে মনোনয়ন পত্র জমা দেন। যদিও সভাপতির নাম ঘোষণা করা হয় সন্ধ্যায়।

রাজ্য সভাপতির নাম যে একরকম নিশ্চিতই ছিল, তার প্রমাণ বিজেপি নেতৃত্ব সভাপতির সংবর্ধনার মঞ্চ বাধার কাজ প্রায় সেরে ফেলেছে বুধবার দুপুরে। মনোনয়ন পর্ব মেটার পরেই শমিক জানান, দল নিজস্ব ছন্দেই চলছে। নেতৃত্বের দেওয়া দায়িত্ব তিনি পালন করবেন। সেই সঙ্গে শাসকদল তৃণমূলকে বার্তা দেন, বিজেপির সংগঠন নেই বলে যে দাবি করা হয়, তার আসল রূপ এবার প্রকাশিত হবে।

কার্যত বিজেপির নবনির্বাচিত রাজ্য সভাপতির এই বুলি যে ফাঁকা আওয়াজ তা প্রমাণ করে দেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। শমিক ভট্টাচার্যের নতুন পদের জন্য তাঁকে অভিনন্দন জানান ফিরহাদ। তিনি বলেন, শুভেচ্ছা জানাই শমিককে। দীর্ঘদিন ওনার সঙ্গে এই বিধানসভায় (state assembly) একসঙ্গে কাজ করেছি। নতুন কাজে তিনি অবতীর্ণ হয়েছেন তার জন্য শুভেচ্ছা।

আরও পড়ুন: হাসিনার ছয়মাসের কারাদণ্ড! মামলার সঙ্গে যুক্তদের হুমকির অভিযোগ

তবে তৃণমূল প্রসঙ্গে শমিক যে মত পোষণ করেন, তার পাল্টা ফিরহাদ জানান, আশা করা ভালো। প্রত্যাশা ভালো নয়। শমিক (Shamik Bhattacharya) নিজেও জানেন তৃণমূলকে সরানো অসম্ভব। সভাপতি (state president) বদল করলেই তৃণমূলের যে ভিত্তি তা সরানো সম্ভব নয়। বিজেপি নিজেদের সংগঠনের মধ্যে থাকুক। আনন্দ করুক। সভাপতি হোক। খাওয়া দাওয়া হোক। কিন্তু তৃণমূলকে সরানোর প্রত্যাশা কখনই সম্ভব হবে না। কারণ তৃণমূলের নেত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাঁর উপর সমস্ত বাংলার মানুষের আস্থা আছে।

spot_img

Related articles

ব্যাক টু ব্যাক ব্যর্থতা, ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট বন্ধ করুন গম্ভীর

অপদার্থ ব্যাটিং অর্ডার, হতশ্রী ফুটওয়ার্ক, ধৈর্যহীন ভারতীয় দলের ক্রিকেটে স্পষ্ট দোসর কোচের ব্যর্থতা আর ক্যাপ্টেনের দায়িত্বজ্ঞানহীনতা। ঘরের মাঠে...

অনুসন্ধান: পরিবারিক ছবির সাফল্যের পরে প্রথম থ্রিলারেই বাজিমাৎ সম্রাজ্ঞীর

পর পর মহিলা কেন্দ্রিক পরিবারিক ছবির পরে প্রথম থ্রিলার সিরিজের চিত্রনাট্যেই বাজিমাৎ করলেন সম্রাজ্ঞী বন্দ্যোপাধ্যায় (Samragyee Banerjee)। হইচই...

মেডিক্যাল কলেজে কেন অধিকাংশ মুসলিম সম্প্রদায়ের: শিক্ষাঙ্গনে বিজেপির গেরুয়া রঙ!

বৈষ্ণোদেবী মেডিকেল কলেজে এমবিবিএসের ৫০টি আসনের মধ্যে মুসলিম সম্প্রদায়ের ৪২ জন পড়ুয়া ভর্তি হয়েছেন। কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, সম্পূর্ণ...

টেলিসম্মানের পুরস্কার মূল্য ক্যান্সার আক্রান্তদের দান চন্দনের, ধন্যবাদ জানালেন মুখ্যমন্ত্রীকে

বাংলা টেলিভিশন জগতের (Bengali Television Industry) অন্যতম বড় সম্মান টেলি অ্যাকাডেমী পুরস্কার (Tele Academy Award) থেকে প্রাপ্ত অর্থ...