হাতে গোনা ক’টা দিন বাকি। তারপরই শারদোৎসবের আবেশে মাতবে আপামর বাঙালি। ইতিমধ্যেই শহরের রাস্তাঘাটে রঙিন হোর্ডিং এনে দিয়েছে উৎসবের আমেজ। এবার পুজোর আগে শহরের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে সোমবার পুরভবনে একাধিক দফতরকে নিয়ে বৈঠক করলেন মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পুলিশ, দমকল, পূর্ত দফতর, এইচআরবিসি, রেল, সিইএসসি, বন্দর কর্তৃপক্ষ-সহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা। পাশাপাশি ছিলেন মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার, তারক সিং, বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়, স্বপন সমাদ্দার, মিতালি বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিভিন্ন বরোর চেয়ারম্যান। শহরের রাস্তার অবস্থা, বিদ্যুৎ ও পানীয় জল সরবরাহ, নিকাশি ব্যবস্থা, পার্কিং ও শৌচাগার পরিষেবা—সব বিষয় নিয়েই দীর্ঘ আলোচনা হয়।

মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, শহরের অধিকাংশ রাস্তা এখন মোটামুটি ভালো অবস্থায় আছে। কিছু রাস্তার কাজ বৃষ্টির কারণে দেরি হয়েছে, তবে ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব ঠিক হয়ে যাবে। অতিবৃষ্টির জন্য নিকাশি বিভাগ ও পাম্পিং স্টেশন প্রস্তুত থাকবে। পুরসভার কন্ট্রোল রুম ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। বৈঠকে পুলিশের কাছে সেইসব রাস্তাগুলির তালিকা চাওয়া হয়েছে যেগুলিতে অল্প বৃষ্টিতেই জল জমে পিচ নষ্ট হয়। সেগুলিতে ১০০ শতাংশ পেভার্স ব্লক বসানো হবে। এ ছাড়া গড়িয়াহাট-গোলপার্ক এলাকায় পার্কিং সমস্যার সমাধানে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। পুজোর সময় শহরের সব ‘পে অ্যান্ড ইউজ’ টয়লেট ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, পানীয় জলের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে বিশেষ কড়াকড়ি করা হয়েছে। উৎসবের দিনগুলিতে শহরবাসীর যেন কোনও অসুবিধা না হয়, তার জন্য সব দফতরকেই সতর্ক করে দিল পুরসভা।

আরও পড়ুন- স্বৈরতান্ত্রিক দুর্নীতিপরায়ণ বাম শাসনের বিরুদ্ধে নেপালের নবীন সমাজ

_

_

_
_
_

_
_