উপজাতি মর্যাদার দাবিতে উত্তাল অসম! শান্তিপূর্ণ মিছিলে লাঠিচার্জ পুলিশের, আহত শতাধিক

Date:

Share post:

বিজেপি যখন রাজবংশীদের নিয়ে নির্লজ্জ রাজনীতিতে নেমেছে বাংলায়, ঠিক তখনই কোচ-রাজবংশী ছাত্রদের উপর নির্মম অত্যাচার চালাল পাশের গেরুয়া রাজ্য অসমে। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের উপরে বিনা প্ররোচনায় লাঠি চালাল বিজেপির পুলিশ। ঘটনায় প্রায় ১০০ জন আহত হন। তাঁদের ধুবড়ি সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আপাতত তাঁদের অবস্থা স্থিতিশীল হলেও ঘটনায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে এলাকাজুড়ে।

শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের উপরে পুলিশি নির্মমতার তীব্র নিন্দা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এক্স হ্যান্ডেলে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তফসিলি উপজাতির মর্যাদা দীর্ঘদিন ধরেই দাবি করে আসছেন কোচ-রাজবংশীরা। সেই দাবির প্রতিই শান্তিপূর্ণভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করছিলেন তাঁরা। কিন্তু বিজেপির পুলিশ তাঁদের অত্যন্ত নিষ্ঠুরভাবে জবাব দিল পাশবিক শক্তি দিয়ে। নির্মমভাবে টেনে-হিঁচড়ে হেনস্থা করা হয় পুরুষ এবং মহিলাদের। জখম হন অন্তত ১০০ জন। পুলিশি নিষ্ঠুরতার একমাত্র কারণ, আমজনতার আওয়াজকে ভয় পায় বিজেপি। মানুষের ন্যায্য দাবির প্রতি তাদের অ্যালার্জি আছে। পুলিশি স্বেচ্ছাচারিতা আসলে গেরুয়া সরকারের মদতপুষ্ট গুণ্ডামি। তৃণমূলের বক্তব্য, কোচ-রাজবংশীরা ন্যায্য দাবির কথা বলছেন, কিন্তু বিজেপি জবাব দিচ্ছে দমননীতি দিয়ে। এটাই হল বিজেপির আসল রূপ। এভাবেই গণতান্ত্রিক দাবিকে হিংস্রভাবে দমন করছে বিজেপি।

সংগঠনের দাবি, শান্তিপূর্ণভাবে দাবি জানাতেই তাঁরা রাস্তায় নেমেছিলেন। কিন্তু আচমকা হিমন্ত সরকারের পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনী মিছিল আটকায়। শুরু হয় লাঠিচার্জ। এতে বহু ছাত্র আহত হন। ঘটনাকে ঘিরে গোলকগঞ্জে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। আন্দোলনের পিছনে রয়েছে দীর্ঘ দিনের ক্ষোভ। কোচ-রাজবংশী সম্প্রদায় বছরের পর বছর ধরে উপজাতি মর্যাদার দাবি জানিয়ে আসছে। ছাত্র সংগঠনের বক্তব্য, বারবার নির্বাচনে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও দাবি পূরণ হয়নি। এবারও প্রতিশ্রুতি পূরণ না হলে আন্দোলন আরও তীব্র হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা। যদিও এই ঘটনায় একজন পুলিশ আধিকারিকে সাসপেন্ড করেই দায়ভার ঝেড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। লাঠিচার্জের প্রতিবাদে শনিবার ধুবড়ি জেলায় ডাকা হয়েছে বনধ। দোকানপাট, বাজার আংশিক বন্ধ রয়েছে। পরিবহণেও প্রভাব পড়েছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই আন্দোলন কেবল মর্যাদার দাবি নয়। এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও সাংবিধানিক সুরক্ষার প্রশ্নও। ফলে বিষয়টি রাজ্যের রাজনীতিতে বড় প্রভাব ফেলতে পারে।

আরও পড়ুন- মনীষীদের অপমানে কড়া ব্যবস্থা! জিরো টলারেন্স নীতি তৃণমূলের

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

spot_img

Related articles

অসমে হিমন্ত সরকারের ফের তীব্র বাংলা বিদ্বেষ! ডি-ভোটার তালিকায় রাখা হল বাঙালিদের 

অসমে হিমন্ত বিশ্বশর্মার বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে ফের উঠল বাঙালি-বিরোধিতার অভিযোগ। রাজ্যে একসময় যেভাবে ‘বাঙালি খেদাও’ অভিযান চলেছিল, তারই...

বিজেপির অসমে হিন্দু-বিতাড়ন! ২১৮টি পরিবারকে উচ্ছেদ একদিনেই 

হিন্দুদেরও নিস্তার নেই বিজেপি-শাসনে! বিজেপি-রাজ্য অসমে এবার শুরু হয়েছে হিন্দু পরিবারগুলির উপর নিপীড়ন। ভোটের আগে পাশে থাকার বুলি...

বিজেপি শাসিত রাজ্যে নৃশংশ ঘটনা, মায়ের প্রেমিকের হাতে খুন ১০ বছরের বালক

ডবল ইঞ্জিন সরকারের রাজ্যে এবার প্রেমিকের সহায়তায় ১০ বছরের বালককে হত্যা(Murder) করে কাটা দেহ স্যুটকেসে লুকিয়ে রাখলেন মা।...