মাথার দাম ছিল ১ কোটি টাকা। সম্পর্কে মাওবাদী নেতা মালোজুলা কোটেশ্বর রাও ওরফে কিষেণজির (Kisenji) স্ত্রী। তেলেঙ্গানা পুলিশের (Police) কাছে আত্মসমর্পণ সুজাতার। তার সঙ্গে আরও তিন মহিলা মাওবাদীও আত্মসমর্পণ করেন। চারদশক ধরে লড়াই শেষে অবশেষে আত্মসমর্পণ করলেন সুজাতা (Sujata)।

গাদওয়াল অঞ্চলের বাসিন্দা সুজাতা খুব অল্প বয়সেই বিপ্লবের পথ নেন। তুতো ভাই প্যাটেল সুধাকর রেড্ডির হাত ধরেই মাওবাদীদের সঙ্গে যোগাযোগ সুজাতার। ১৯৮৪ সালে প্রবীণ মাওবাদী নেতা মালোজুলা কোটেশ্বর রাও ওরফে কিষেণজিকে বিয়ে করেন সুজাতা (Sujata)। দলে ক্রমশই প্রভাবশালী হয়ে ওঠেন কিষেণজির স্ত্রী। ২০১১ সালে যৌথবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে কিষেণজির মৃত্যুর পর দলে তাঁর প্রভাব বৃদ্ধি পায়। অত্যাধুনিক একে–৪৭ হাতে সক্রিয় ছিলেন সুজাতা। তাঁর বিরুদ্ধে মোট ১০৬টি মামলা রয়েছে। তিনিই মাওবাদী আন্দোলনের প্রথম প্রজন্মের অন্যতম মুখ।

২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে মাওবাদমুক্ত ভারত গড়ার কথা বলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এরপর থেকেই অন্ধ্রপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, ঝড়খণ্ডের মতো মাওবাদী অধ্যুষিত রাজ্যগুলিতে মাওবিরোধী অভিযান ব্যাপক গতি পেয়েছে। সুজতার মতো নেত্রীর আত্মসমর্পণ বড় সাফল্য। এর জেরে মাওবাদী কার্যকলাপ বড় ধাক্কা খাবে।

–

–

–

–

–

–

–
–