অভিজিৎ ঘোষ
কোথায় বাংলার বিপ্লবীরা! এই ভুল বললাম… ব্র্যান্ডেড বিপ্লবীরা? অভিনয়-টভিনয় কিংবা বা অন্য কিছু-টিছু করে মোটেও সময় পান না। তবু আত্মার টান, দায়বদ্ধতা (!), মানবিকতা বলে তো একটা ব্যাপার আছে! কারণে-অকারণে রাস্তায় দুমদাম নেমে পড়তে তো আপনারা ওস্তাদ!! কিন্তু ২০২৪-এর ৯ অগাস্টের পর তো একটা বছর পেরিয়ে গেল। অনেক হয়েছে। আরে শরীরে জং ধরে যাবে তো! করছেনটা কী?

আরে ভাই আপনাদের জন্যই তো অপেক্ষা করছি। আর কত অপেক্ষা করাবেন? মোমবাতি রেখেছি, দেশলাই রেখেছি, রাস্তায় আঁকার জন্য চক-ডাস্টার রেখেছি, জলের বোতল রেখেছি। কিছু ওআরএসও বলে রাখলাম। ভাদ্রের গরম, খুব সোয়েটিং হচ্ছে আজকাল। আর কিছু লাগবে নাকি? যদি রাত জাগা-টাগার প্ল্যানট্যান থাকে, তাহলে একটা ক্যাটারারকে বলে দেব। নাকি গতবার যারা দিয়েছিল তাদেরকে বলব? শোনেন, আপনারা বলার আগেই কিন্তু ফান্ড রেজিংয়ের জন্য শিকাগো আর লন্ডনের ডাক্তারদার সঙ্গে কথা বলে রেখেছি। কিছু মাল চলে আসবেই। চিন্তা নেই। মন্দ হবে না!

আরে হলটা কী? এবার তো ওরা সুযোগ পেয়ে বলা শুরু করে দেবে। নামার আগে কিছু টুইট-ফুইট অন্তত ছাড়ুন। এখন সাড়া না দিলে পরে কিন্তু লোকে খিস্তি করবে। বলবে ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছে। এই বদভ্যাসটা ছাড়ুন। কেসটা কতটা খাবে, আমাদের কতটা ডিভিডেন্ট উঠবে, এসব হিসাব করতে করতে কিন্তু হাত থেকে অস্ত্রটা বেরিয়ে যাবে। তখন লোকে বিদেশি বলবে। আচ্ছা শুনুন, অপারেটিভ পার্টে আসি… একটু কান্নাকাটি করতে পারে কিংবা রাস্তায় নেমে দুরন্ত মুক্তাঙ্গন অভিনয় করতে পারে, এমন লোকজনের ডিমান্ড এবার বেশি। এই যেমন দেবলীনা, রিমঝিম, চৈতি, শ্রীলেখা, স্বস্তিকা, ঊষশী। আর হ্যাঁ, বলতেই ভুলে গিয়েছি সোহিনী। ও আমাদের টিমের ক্যাপ্টেন। ওর সন্তানের ডায়ালগটা লোকে দারুন খেয়েছে। এদের ছাড়া কিন্তু খেলা হবে না। লোক ধরে রাখতে হবে তো!

আপনাদের ঘরের লোকেরা এই ঘটনায় কেস খেয়ে বসে আছে বলে এত ভাবছেন? দেখুন, পাক্কা ৫০ ঘন্টা হয়ে গেল। যারা আপনাদের তখন উস্কেছিলো তারা এখন কেমন যেন নিষ্প্রভ। ছাড়ুনতো ওদের কথা! আপনারা নেমে গেলে দেখবেন স্রোত বইছে। আপনারাই তো বাংলার মুখ… বাংলার মুখ দেখিয়াছি, তাই পৃথিবীর রূপ খুঁজিতে যাই না আর…

স্লোগান কে লিখবে? বিচিত্রবীর্য, আসফাকুল্লা, অনিকেত না দেবাশিস? ক্যাচি হওয়া চাই। এক জিনিস কিন্তু বারবার খাবে না। এবার একটু জেনজি স্টাইল হলে মন্দ হয় না! কী বলেন শত-মীনাক্ষী!

আরে নামুন নামুন… নইলে কখন, কোথা থেকে কে যে টেনে নামিয়ে দেবে, তা ঈশ্বরই জানেন।

পুনশ্চ : যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) গভীর রাতে ছাত্রীর রহস্য মৃত্যু। ৫০ ঘন্টা পেরল। বিবেক কুমারদের খোঁজে আমার চোখ দূরবীনে!!!

–

–
